রেললাইনে পাকা মরিচের লালগালিচা

প্রকাশিত: মে ২৬, ২০২৩, ০৭:৪৯ বিকাল
আপডেট: মে ২৬, ২০২৩, ০৭:৫৫ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি: পাখির চোখে দেখলে নিচের রেললাইন প্রথম দর্শনে বোঝার উপায় নেই। বরং লালগালিচায় ঢাকা বিস্তীর্ণ পথ মনে হবে। কাছে গেলে স্পষ্ট হয় রেললাইন ধরে শুকাতে দেওয়া হয়েছে পাকা মরিচ।

এ দৃশ্য ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়া রেলস্টেশন এলাকার। মরিচ শুকিয়ে বাজারজাত করলে বাড়তি দাম পাওয়া যায়। তাই প্রতিদিন ভোরে বস্তায় শুকনা মরিচ রেললাইনের ধারে নিয়ে আসেন চাষিরা। দুইপাশে ও রেললাইনের পাতের মাঝখানে পাটি, মাদুর বিছিয়ে মরিচ শুকাতে দেন। পরে প্রক্রিয়াজাত শেষে সে মরিচ যায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।

আজ শুক্রবার (২৬ মে) রেললাইনের পাশে কথা হয় চাষি রবিউল ইসলামের সাথে। তিনি বলেন, কাঁচা অবস্থায় মরিচের দাম কম থাকে। এ কারণে শুকিয়ে বিক্রি করলে ভালো দাম পাওয়া যায়। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রাক নিয়ে এখানে মরিচ কিনতে আসেন ব্যবসায়ীরা। সে সময় স্টেশন এলাকা কর্মচঞ্চল থাকে।

মরিচ কিনতে আসা ব্যবসায়ী বিপুল দাস বলেন, এ জেলার মরিচের আকার, বর্ণ ও স্বাদের কারণে চাহিদা সবচেয়ে বেশি। এ স্টেশন এলাকা থেকে প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকার মরিচ কেনাবেচা হয়। এলাকার ৭০ ভাগ কৃষকই মরিচ চাষের সাথে জড়িত।

স্টেশন এলাকা থেকে কিছুটা দক্ষিণে রুহিয়া কুজিশহর, আসানগড়সহ জেলার হরিপুর, রাণীশংকৈল, পীরগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার ইউনিয়ন। এসব এলাকার বিস্তীর্ণ মাঠে গ্রীষ্মকালীন মরিচ চাষ হয়েছে। গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে কাঁচা-পাকা মরিচ। খেত থেকে তুলে পাকা মরিচ রোদে শুকাতে ব্যস্ত গৃহস্থরা। তাদের বাড়ির উঠান জুড়ে মরিচের ঝাঁজালো ঘ্রাণ।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের যাবতীয় পরামর্শ ও সেবা প্রদান করা হয়েছে। এবছর মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। চলতি বছর মোট ২ হাজার ২২৩ হেক্টর জমিতে দেশি জাতসহ বাঁশ গাইয়া, জিরা, মল্লিকা, বিন্দু, হট মাস্টারসহ বিভিন্ন হাইব্রিড জাতের মরিচের চাষ হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়