বগুড়ায় বিএনপির সমাবেশে ড. খন্দকার মোশাররফ
স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বর্তমান সরকারের মিথ্যাচার, ব্যর্থতা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে।
তারা বাংলাদেশকে ধিক্কার দিচ্ছে। আমেরিকা বিভিন্ন ব্যক্তির উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তারা আমেরিকায় প্রবেশ করতে পারবে না। আমেরিকার এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের জন্য লজ্জাজনক।
বাংলাদেশের গণতন্ত্র হরণকারীদল হিসেবে আওয়ামীলীগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই সরকারের অধিনে যত নির্বাচন হয়েছে প্রত্যেক নির্বাচন কলুষিত হয়েছে। তাই এই সরকারের অধিনে আর কোন নির্বাচন নয়। অবশ্যই নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী সংসদ নির্বাচন হতে হবে।
অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য তত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠায় বিএনপির নেতাকর্মিদের ছোট খাটো ভুলত্রুটি ভুলে গিয়ে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে। তিনি আজ শুক্রবার (২৬ মে) বগুড়া সেন্ট্রাল স্কুল মাঠে বিএনপির সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
বগুড়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপি কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য আলী আজগর তালুকদার হেনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এড. একেএম মাহবুবর রহমান, হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, রাজশাহী বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এ এইচএম ওবাইদুর রহমান চন্দন, বগুড়া জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক ও সাবেক এমপি গোলাম মোঃ সিরাজ, বিএনপির কেন্দ্রিয় সদস্য কাজী রফিকুল ইসলাম, সাবেক এমপি মোঃ মোশারফ হোসেন।
জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সহিদ উন নবী সালাম, কেএম খায়রুল বাশার ও মোঃ জাহিদুল ইসলাম হেলালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁন, ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল, লাভলী রহমান, এড. সাইফুল ইসলাম, এমআর ইসলাম স্বাধীন, জেলা যুবদলের আহবায়ক খাদেমুল ইসলাম খাদেম, যুগ্ম আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম, রাকিবুল হাসান শুভ, আবু হাসান, অধ্যক্ষ ইউসুফ আলী, মঈনুল হক বকুল, এড. মোজাম্মেল হক, ডা. আজফারুল হাবিব রোজ, নাজমা আকতার, সাইফুল ইসলাম রনি, এনামুল হক সুমন, আব্দুল ওয়াদুদ, রিগ্যান প্রমুখ।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া শহর বিএনপির সভাপতি হামিদুল হক চৌধুরী হিরু, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাফতুন আহমেদ খান রুবেল, সাধারণ সম্পাদক এড. সৈয়দ জহুরুল ইসলাম প্রমুখ।
‘উচ্চ আদালতের নির্দেশনাকে অধিনস্থ আদালত, গায়েবী মামলায় নির্বিচারে গ্রেফতার, মিথ্যা মামলা ও পুলিশি হয়রানী, দ্রব্য মূল্যের অসহনীয় ঊর্ধ্বগতি, বিদ্যুতের লোডশেডিং, সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদে এবং খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে’ ১০ দফা বাস্তবায়নে অয়োজিত এ জনসমাবেশে প্রধান অতিথি ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন আরও বলেন, এই সরকারকে বিদায় করতে হবে।
আওয়ামীলীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই গণতন্ত্র হত্যা করেছে। অর্থনীতি ধ্বংস করেছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য হাহাকার সৃষ্টি হয়েছে। মধ্যবিত্তরা গরীব হয়ে যাচ্ছে। ব্যাংক লুট করা হয়েছে। অর্থনীতি ধ্বংস করা হয়েছে। ইতোপূর্বে সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির নামে লুটপাট করা হয়েছে। ১৯৭৪ এর মত দেশে আবার দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। মানুষ সু বিচার বঞ্চিত হচ্ছে।
কোথাও সুবিচার নাই। বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে সাজা দেওয়া হয়েছে। তারেক রহমানকে সাজা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন এই সরকারের পদত্যাগ বিএনপির দাবি নয়, এই সরকারের পদত্যাগ জনগণের দাবি। খালেদা জিয়ার মুক্তি বিএনপির দাবি নয়, গণমানুষের দাবি। খন্দকার মোশাররফ আরও বলেন, শেখ মুজিবের বাকশাল থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়া।
আর বেগম খালেদা জিয়া এরশাদের স্বৈরাশাসন থেকে দেশকে মুক্ত করে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি বলেন যারা অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে তারা অর্থনৈতিক মুক্তি দিতে পারবে না। এই চরম সত্য কথাটা এদেশের মানুষ জানে এ কারণে মানুষ এখন আওয়ামীলীগের শোষন শাসন থেকে মুক্তি চাচ্ছে।
বিএনপি গণমানুষের দল। এই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটানো হবে। এদিকে সাবেক এমপি গোলাম মোহাম্মাদ সিরাজ তার বক্তব্যে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে উদ্দেশ্য করে বলেন ‘আগামী দিনে তারেক রহমান হবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং আপনি হবেন দেশের রাষ্ট্রপতি’। তার এই বক্তব্যে মাঠে উপস্থিত নেতা কর্মিরা করতালি দেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।