শিবগঞ্জে ফসলি জমির মাটি কাটার অভিযোগ উঠেছে

মোকামতলা ( বগুড়া) প্রতিনিধি : শিবগঞ্জে পৃথক বার পয়েন্টে ফসলি জমির মাটি কাটার অভিযোগ উঠেছে। ওই সব মাটি পৌঁছানো হচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটায়। মাটি বহনের ট্রাকের চাপায় নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক এমন অভিযোগ এলাকা বাসীর। অভিযোগ উঠেছে দিনের পরিবর্তে রাতে ভেকু মেশিন দ্বারা মাটি কাটা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার মোকামতলা ইউনিয়নের আমজানি কুড়িপাড়া গ্রামে দুই পয়েন্ট, দেউলি ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামে এক পয়েন্ট, সৈয়দপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামে দুই পয়েন্ট, আমঝুপি গ্রামের এক পয়েন্ট, কিশোরীপুর গ্রামে এক পয়েন্ট, রায়নগর ইউনিয়নের জিগাতলা গ্রামে এক পয়েন্ট, পিরব ইউনিয়নের জান গ্রামে দুই পয়েন্ট ও লাউ ঘাটা গ্রামে এক পয়েন্ট, আটমুল ইউনিয়নের আলিয়াহাট গ্রামে এক পয়েন্টে মাটি কাটা হচ্ছে।
ওই গ্রামবাসীরা জানান, ফসলি জমির মাটি কাটাতে আবাদি জমি কমে যাচ্ছে এবং মাটি বহনের ট্রাকের চাপায় নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক। এলাকাবাসী জানান, আগামি বর্ষার মৌসুমে গ্রামীণ সড়ক দিয়ে চলাচলে দুর্ভোগের আশংকা রয়েছে।
মাটি বহনের ট্রাকের শব্দে সড়কের পাশে বসবাসকারী মানুষের ঘুমেরও ব্যঘাত হচ্ছে। মাটি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি এলাকাবাসীর। সৈয়দপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোতালেব হোসেন জানান, ফসলি জমির মাটি কাটতে তিনি নিজে নিষেধ করেন। তার পরেও বন্ধ হয়নি। পরে তিনি বিষয়টি মৌখিক ভাবে থানার ওসি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানান কিন্তু মাটি কাটা বন্ধ হচ্ছে না বলে ওই চেয়ারম্যান জানান।
আরও পড়ুনপিরব ইউপি চেয়ারম্যান আসিফ মাহমুদ মিল্টন জানান তার ইউনিয়নে যারা ফসলি জমির মাটি কাটছে তাদেরকে মৌখিক ভাবে নিষেধ করেছেন তিনি। শিবগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল রউফ জানান ফসলি জমির মাটি কাটার অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহামিনা আক্তার জানান, কোন ক্রমে ফসলি জমির মাটি কাটতে দেওয়া হবে না, অভিযোগ পাওয়া মাত্রই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।
মন্তব্য করুন