খন্ডিত মাথা না মেলায় ডিএনএ টেস্ট করা হবে
স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ার শাজাহানপুরের বনানীতে শুভেচ্ছা আবাসিক হোটেলে স্ত্রী আশা মনি ও ১১ মাস বয়সী শিশুপুত্র আব্দুল্লাহ আল রাফিকে জবাই করে হত্যার ঘটনায় এবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে আশা মনির শ্বশুর মো: হামিদুর রহমান (৬০)কে। গতকাল সোমবার বিকেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শাজাহানপুর থানার ওসি মো: শহিদুল ইসলাম বলেন, হামিদুর এজাহারভুক্ত ২ নম্বর আসামি। সেও এই জোড়া হত্যাকান্ডে জড়িত বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। গতকাল সোমবার তাকেও আদালতের মাধ্যমে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এই জোড়া হত্যাকান্ডের ব্যাপারে জোড়ালো তদন্ত চলছে। তদন্তের স্বার্থে তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এর আগে একই দিনে জোড়া হত্যাকান্ডের মূল নায়ক আশা মনির স্বামী ও শিশু রাফির পাষান্ড বাবা সেনা সদস্য আজিজুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়। আজিজুল ইতোমধ্যে এই জোড়া হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দিও দিয়েছে।
গতকাল সোমবার বিকেলে বিকেলে তাকে বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট সাদিয়া আফসানা রিমার আদালতে সে এই তার স্ত্রী ও শিশু পুত্র হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। ম্যাজিস্ট্রেট তার দেয়া জবানবন্দি ১৬৪ ধারায় রেকর্ড করে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
এর আগে পুলিশের কাছে আজিজুল বলেছে,পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে তিনি তার স্ত্রী আশা মনিকে আগে এবং পরে ঘুমন্ত অবস্থায় তার শিশু পুত্র রাফিকে জবাই করে হত্যা করেন।
এদিকে শিশুটির খন্ডিত মাথাটি গতকাল সোমবার দ্বিতীয় দিনেও শহরের চেলোপাড়া রেল ব্রীজের নিচে সন্ধান মেলেনি। রাজশাহী থেকে আসা ডুবুরি দল ওইদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত চেলোপাড়া রেল ব্রীজের কাছে করতোয়া নদীতে চার ঘন্টা অনুসন্ধান চালিয়েও ওই শিশুর খন্ডিত মাথাটি উদ্ধার করতে পারেনি। পরে তারা এই উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করেন।
তবে শিশুটির মাথা না পেলেও মামলার তদন্তে কোন সমস্যা হবে না বলে পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন। এ বিষয়ে বগুড়া জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি)’র ওসি মো: মুস্তাফিজ হাসান বলেন, শিশুটির পরিচয় নিশ্চিত করতে তার বাবা গ্রেপ্তার সেনা সদস্য আজিজুলের ডিএনএ টেস্ট করা হবে।
এ জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের মর্গে ময়না তদন্তকালে শিশুটি আলামত হিসেবে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
অপর দিকে, গতকাল সোমবারই এই জোড়া হত্যাকান্ডের ঘটনায় শহরের নারুলি পূর্বপাড়ার বাসিন্দা নিহত আশামনির বাবা আশাাদুল ইসলাম মেয়ে আশার স্বামী সেনা সদস্য আজিজুল হক ও আজিজুলের বাবা হামিদুর রহমানের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, বগুড়ার শাজাহানপুরের বনানীতে গত রোববার শুভেচ্ছা আবাসিক হোটেলে স্ত্রী আশামনি ও শিশুপুত্র রাফিকে জবাই করে হত্যা করে পালানোর সময় স্বামী সেনা সদস্য আজিজুল হককে (২৪) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে হোটেল কর্তৃপক্ষ।
গত শনিবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। আটক আজিজুল হক (২৪) বগুড়ার ধুনট উপজেলার হেউটনগর গ্রামের কৃষক হামিদুর রহমানের ছেলে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।