ভিডিও

গুলি করে সহকর্মীকে হত্যা

নিহত মনিরুলের বাড়িতে শোকের মাতম, বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন মা

প্রকাশিত: জুন ১০, ২০২৪, ০৭:২৪ বিকাল
আপডেট: জুন ১০, ২০২৪, ০৭:২৪ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

রাজধানীর গুলশানে ক‚টনৈতিক পাড়ায় সহকর্মীর গুলিতে নিহত পুলিশ সদস্য মনিরুল হকের গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। ছেলেকে হারিয়ে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন মা। শোকে স্বজন-প্রতিবেশীরাও।

সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মনিরুল হকের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন আছেন তার স্ত্রী তানিয়া সুলতানা তন্বী। দুজন নারী তার মাথায় পানি ঢালছেন। বাবাকে খুঁজে ফিরছে দেড় বছর বয়সী ছেলে তাকি। কেঁদে চলেছে সেও।

 

কিছুক্ষণ পরে সংজ্ঞা ফিরে পান তানিয়া সুলতানা। এসময় তাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমার স্বামীরে যেভাবে হত্যা করছে তাকেও (অভিযুক্ত) সেভাবে মারা হোক। আমার স্বামীকে যতটুকু কষ্ট দিয়ে মারছে, তারেও সেভাবে কষ্ট দিয়ে মারা হোক। আমার স্বামী একজন পুলিশ সদস্য। তারে কেন গুলি কইরা মারলো? আমি এর সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। আমার সন্তানের কী অইবো? আমার সন্তানরে কে দেখবো?’ বলতে বলতে আবারও জ্ঞান হারান তিনি।

আরেকটি কক্ষে বিলাপ করছিলেন নিহত মনিরুলের বোন আফরোজা আক্তার, মাহমুদা হাসান ও মাকসুদা আক্তার। আহাজারি করতে করতে তারা বলছিলেন, ‘আমার ভাইকে এভাবে মারলো কেন? সে তো মানুষের জীবন বাঁচাতে চাকরিতে গেছে, তারে মারলো কেন? আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চাই। দোষীর সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।’

এদিকে ১০টার দিকে বিষ্ণুপুর গ্রামের ঈদগাহ মাঠে মনিরুলের জানাজা সম্পন্ন হয়। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জানাজায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান নন্দন, আটপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাওহিদুর রহমান, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সুলতান উদ্দিন, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস রানা আঞ্জু, ইউপি চেয়ারম্যান রুকুনুজ্জামান রুকন, চাচা হুমায়ুন কবীর লিটন, সাবেক চেয়ারম্যান টিএম জয়নাল আবেদীন প্রমুখ।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS