দুর্নীতিমুক্ত সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্র গঠনে কতিপয় প্রস্তাবনা
বাঙালি জাতি বার বার রক্ত দিয়েছে অধিকার আদায়ের জন্য। ১৯৫২ সালে রক্ত দিয়ে মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। ১৯৭১ সালে রক্ত দিয়ে মাতৃভূমির স্বাধীনতা এনেছে। এমনকি স্বাধীনতার দীর্ঘ বছর পর ২০২৪ এসেও অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য রাজপথে ছাত্র-জনতার রক্ত ঝরলো!
যে আকাক্সক্ষা নিয়ে বাঙালি জাতি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, অর্থাৎ বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা, তা বাস্তবায়িত হয়নি স্বাধীনতার তেপান্ন বছর পরেও। সত্যিকার অর্থে সাম্য সমঅধিকার ও আত্মস্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
এছাড়াও সীমাহীন দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে দেশে চরম অর্থনৈতিক বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিনিয়ত দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, মাথাপিছু বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় দেড় লক্ষ টাকায় পৌঁছানো, আত্মস্বাধীনতা হরণ, চরম অর্থনৈতিক বৈষম্য সৃষ্টির কারণেই মূলত ২০২৪ এ এসে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন জনগণের সমর্থন পায় এবং চরম পর্যায়ে পৌঁছে গিয়ে শেষ পর্যন্ত তা সরকারের পতন ঘটাতেও সক্ষম হয়।
কিন্তু শুধু সরকার পরিবর্তনে জনগণের প্রকৃত কল্যাণ সাধিত হবে না, যদি রাজনীতি ও শাসন ব্যবস্থার গুণগত পরিবর্তন না হয়। তাই ছাত্র জনতার পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয় সংস্কারের যে দাবী উঠেছে তা বাস্তবায়ন করা বর্তমান অন্তর্বর্তিকালীন সরকারের সরচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
যত সংস্কারের কথাই বলিনা কেন, সব কিছুর মূলে যে সমস্যা তা হলো দুর্নীতি এবং দুর্নীতি। কেবলমাত্র দুর্নীতি ও অনিয়ম রোধ করতে পারলেই অনেক সংস্কার আপনা আপনিই হয়ে যাবে। এছাড়াও রাজনীতি ও শাসন ব্যবস্থায় কিছু পরিবর্তন আবশ্যক। একজন দেশপ্রেমিক ও সচেতন নাগরিক হিসাবে বাংলাদেশকে দুর্নীতিমুক্ত, সমৃদ্ধশালী, শান্তিপূর্ণ ও একটি কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে রাষ্ট্র সংস্কারের কতিপয় প্রস্তাব পেশ করছি।
১) সরকার শপথ গ্রহণের পূর্বে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যগণ তার সম্পদের প্রকাশ্য হিসাব দাখিল করবেন অত:পর শপথ বাক্য পাঠ করবেন। এছাড়াও চিরাচরিত শপথ বাক্য ছাড়াও নিজ নিজ ধর্মগ্রন্থের ওপর হাত রেখে দুর্নীতি করবনা কিংবা দুর্নীতিকে কোন রূপ প্রশ্রয় দেবনা বাক্যগুলি সংযোজন। উল্লেখ্য বিশ্বের ১ নম্বর পরাশক্তি খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাইবেলের ওপর হাত রেখে শপথ নেওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। এটি করতে পারলে অন্তত প্রাথমিক অত্মোপলব্ধি জাগ্রত হবে।
২) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বাধীনতার স্থপতি এবং বীর উত্তম জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠকারী হিসেব স্বীকৃতি প্রদান।
৩) সরকার প্রধান প্রতি মাসে একদিন টেলিভিশনে লাইভ প্রোগ্রামের মাধ্যমে সরাসরি যতটা সম্ভব জনগণের সমস্যা শুনবেন এবং তাৎক্ষণিক সমাধান দিবেন।
৪) প্রতি বছর ৩০ জুনের মধ্যে মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দাখিল বাধ্যতামূলককরণ।
৫) জাতীয় সংসদে ১৫% নারী ৫% সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ৫% ছাত্র প্রতিনিধি এবং ২% অনগ্রসর শ্রেণীর জন্য আসন সংরক্ষণ।
৬) সংবিধানের ৭০নং অনুচ্ছেদ বিলুপ্তি পূর্বক সংসদ সদস্যগণের স্বাধীনভাবে সংসদে তার ভুমিকা রাখার সুযোগ প্রদান।
৭) একই ব্যক্তি দুই মেয়াদের অধিক সরকার প্রধান থাকতে পারবেন না। যিনি সরকার প্রধান হবেন তিনি দলের প্রধান থাকতে পারবেন না। উল্লেখ্য পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও এর উদাহরণ রয়েছে।
৮) সংসদ সদস্যগণ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কোন দপ্তরের কমিটিতে থাকতে পারবেনা।
৯) সংসদ সদস্যসহ অন্য কাহারো শুল্কমুক্ত গাড়ী বা কোন কিছুই ক্রয়ের সুবিধা বাতিলকরণ।
১০) রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ব্যতিত অন্য সবার সরকারী খরচে বিদেশে চিকিৎসা গ্রহণের সুবিধা বাতিল।
১১) দুর্নীতি সংক্রান্ত তদন্ত কমিটিতে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও মিডিয়া অন্তর্ভুক্তকরণ।
১২) দুর্নীতির বিচার ৩ মাসের মধ্যে সম্পন্নকরণ এবং দুর্নীতির মামলা স্থগিতের বিধান রহিতকরণ।
১৩) দুর্নীতি দমন কমিশনের নিয়োগ প্রক্রিয়া সংস্কারকরণ।
১৪) দুর্নীতির গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ উঠলে মন্ত্রী বা কর্মকর্তাকে সাথে সাথে পদ ছাড়তে হবে। নির্দোষ সাব্যস্ত হলে পদ ফিরে পাবেন।
১৫) দুর্নীতির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করা অর্থ ফেরতে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ গ্রহণ।
১৬) গত ২০ বছরে দুর্নীতি ও লুটপাটকারীদের নিকট থেকে অর্থ আদায়ের কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ।
১৭) দখল, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড এবং অনিয়ম ঘুষ ও দুর্নীতি প্রতিরোধ সেল গঠন এবং সার্বক্ষণিক অভিযোগ গ্রহণের জন্য কল সেন্টার স্থাপন। প্রতিরোধ সেলের ফেজবুক পেজেও অভিযোগ প্রদানের ব্যবস্থাকরণ। অভিযোগ প্রাপ্তির ৬ ঘন্টার মধ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সত্যতা সাপেক্ষে প্রাথমিক শাস্তি নিশ্চিতকরণ। এছাড়াও ভুয়া ও মিথ্যা অভিযোগ প্রমাণিত হলে ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক মিথ্যা অভিযোগকারীকে ন্যূনতম ২ বছর শাস্তি প্রদানের বিধান।
১৮) ঘুষ দুর্নীতিমুক্ত ও জনবান্ধব পুলিশ বাহিনী গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় সংস্কারকরণ।
১৯) বৈধ লিজ প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক টোল আদায় ব্যতিত রাস্তায় সব ধরনের চাঁদা বা ফি আদায় নিষিদ্ধকরণ। পরিবহনে কোন রূপ অবৈধ চাঁদাবাজীর ন্যূনতম ১০ বছর কারাদন্ডের বিধান।
২০) ভ্রাম্যমাণ আদালতকে আরো শক্তিশালী, সম্প্রসারিত ও শাস্তির পরিমান বৃদ্ধিকরণ।
২১) চাকুরী বা পাসপোর্ট বা অন্য কোন ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রথা বাতিলকরণ।
২২) জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কিত সমস্যা সমাধান বা সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ৫০ সদস্য বিশিষ্ট একটি জাতীয় পরামর্শক কমিটি থাকবে। এই কমিটি সরকারের মেয়াদ শেষ হবার ৩ মাস পূর্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান ও অন্যান্য সদস্য বাছাই করবেন। যাদের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
২৩) মিডিয়ায় প্রমানিত কোন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড এসিড সন্ত্রাস বা হত্যাকান্ডের বিচার হবে এক মাসের মধ্যে এবং মিডিয়ায় প্রকাশিত ছবি/ভিডিও সমূহ প্রমাণক হিসেবে গণ্য হবে। সন্ত্রাস ও হত্যা মামলা ০৩ মাসের মধ্যে সম্পন্নকরণ।
২৪) সরকারী বেসরকারী যে কোন নিয়োগ শুধু মাত্র ছবি ও সাদা কাগজে দরখাস্ত করা যাবে। কোন ব্যাংক ড্রাফট লাগবেনা এবং চাকুরীর পর কাগজ পত্র গৃহীত হবে।
২৫) সরকারী চাকুরীতে প্রবেশের বয়স সীমা হবে ৩৫ বছর নির্ধারন। চাকুরীতে মৌখিক পরীক্ষা প্রথা বাতিলকরণ। তাৎক্ষণিক প্রশ্নপত্র প্রস্তুত পূর্বক পরীক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থাকরণ।
২৬) চাকরীতে শুধুমাত্র অনগ্রসর ও প্রতিবন্ধী কোটা সংরক্ষণ।
২৭) দেশে এবং দেশের বাহিরে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ।
২৮) কৃষিকে বৈদেশিক অর্থ উপার্জনের অন্যতম খাত হিসাবে প্রতিষ্ঠার জন্য প্রথিতযশা কৃষিবিদদের সমন্বয়ে পরামর্শক কমিটি গঠন।
২৯) যে কোন কৃষিজ দ্রব্য অধিক হারে উৎপাদন হলে সরকারীভাবে তা সংরক্ষণ অথবা রপ্তানির ব্যবস্থা গ্রহণ।
আরও পড়ুন৩০) উন্নত দেশের সাথে চুক্তি পূর্বক তাদের পতিত জমিতে ফসল উৎপাদনের জন্য সরকারীভাবে কৃষকদের প্রেরণের ব্যবস্থা গ্রহণ।
৩১) সব ধরনের ক্ষুদ্র, কুটির ও হস্ত শিল্পকে ব্যাপকভাবে উৎসাহিত ও সহযোগিতা প্রদান এবং তাদের উৎপাদিত পণ্য প্রয়োজনে সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় বিদেশে রপ্তানির ব্যবস্থা গ্রহণ।
৩২) দেশের বৃহৎ অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি কৃষক শ্রমিক ও প্রবাসীদের কল্যাণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ।
৩৩) কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষে সরকারী বা বেসরকারী উদ্যোগে ব্যাপকভাবে শিল্প কারখানা স্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন।
৩৪) অবাধ তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে ব্যাপক হারে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার অনুমোদন প্রদান। ৩৫) নারীদের দক্ষ জনশক্তি হিসাবে গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ।
৩৬) বিশ্ব বাজারে দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টির লক্ষ্যে ৬ষ্ঠ থেকে স্নাতক ও স্নাতক সম্মান শ্রেণী পর্যন্ত ইংরেজি ভাষা শিক্ষা কোর্স বাধ্যতামূলক করা সহ বিশ্বমানের শিক্ষা কারিকুলাম প্রণয়ন।
৩৭) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠন বাতিল ও ছাত্র সংসদ চালুকরণ।
৩৮) সব ধরনের মাদ্রাসা শিক্ষাকে আধুনিকায়ন ও মান উন্নয়ন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং তাদের দক্ষ জনশক্তি হিসাবে গড়ে তোলা।
৩৯) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটিতে সভাপতি হবেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অথবা কর্মকর্তা।
৪০) সকল রাজনৈতিক পদে শিক্ষাগতযোগ্যতার শর্ত সংযুক্তকরণ।
৪১) ইউপি চেয়ারম্যান, পৌর কাউন্সিলর, সিটি কাউন্সিলর, জেলা পরিষদের সদস্য পদে নির্বাচনে ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএ পাশ বা সমমান এবং ইউপি মেম্বার উচ্চ মাধ্যমিক পাশ নির্ধারণ।
৪২) পৌর মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, সিটি মেয়র ও সংসদ সদস্য পদে নির্বাচনে ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক সম্মান বা সমমান নির্ধারণ।
৪৩) স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ। যাতে কাউকে বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নিতে না হয়।
৪৪) যে কোন খাদ্য দ্রব্যে ভেজাল ও ক্ষতিকারক রাসায়নিক দ্রব্য মিশ্রণে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের বিধান।
৪৫) সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া পণ্য সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি করলে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীর লাইসেন্স বাতিল সহ ন্যূনতম ১০ বছর সাজার বিধান।
৪৬) যে কোন নকল পণ্যের উৎপাদনে ১০ বছর কারাদন্ডের বিধান।
৪৭) দেশের স্বার্থে যে কোন আবিষ্কার বা প্রতিষ্ঠাকে সর্বোচ্চ সহায়তা ও পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান।
৪৮) বিদেশে কর্মরত রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের শ্রম ও কর্ম সংস্থান, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং দূতাবাস সমূহে সর্বোচ্চ অগ্রাধীকার ভিত্তিতে সেবা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ। এছাড়াও তাদের সাথে কোন রকম অসহযোগিতা বা অনিয়ম করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ।
৪৯) দ্রুত বিচার নিষ্পত্তি ও বিচারক নিয়োগে বিচার ব্যবস্থায় ব্যাপক সংস্কারকরণ। ভুমি সংক্রান্ত মামলাগুলো স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানকে নিষ্পত্তির ক্ষমতা অর্পণ।
৫০) সমাজে পরিচিত মস্তান, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজদের মামলায় জামিনের সুযোগ রহিতকরণ।
৫১) ধর্মীয় বিষয়ে যে কোন সিদ্ধান্তে সহযোগিতা ও পরামর্শ গ্রহণের জন্য দেশের প্রথিতযশা আলেমগণের সমন্বয়ে একটি শরিয়া বোর্ড বা কমিটি গঠন।
৫২) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে/ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর ঘটিত সকল নির্যাতন, ধর্ষণ ও হত্যার দ্রুততর ও কঠোর বিচারের ব্যবস্থা গ্রহণ।
৫৩) সকল দেশের সাথে পাস্পরিক সমান সম্মান ও অধিকারের ভিত্তিতে বৈদেশিক সম্পর্ক স্থাপন।
৫৪) যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা ভাতা পাবেন। দেশের প্রচলিত দরিদ্র সহায়তা সমূহের পাশাপাশি বেকার ভাতা চালুকরণ। তবে তা ন্যূনতম স্নাতক বা সমমানের পাশ ও নিম্ন মধ্যবিত্ত, দরিদ্র ও অতিদরিদ্রদের জন্য কার্যকর হবে।
৫৫) রেল সহ অন্যান্য সরকারী লোকসানী খাত প্রয়োজনে বেসরকারী খাতে প্রদান।
৫৬) সকল দলের নেতাকর্মীদের নামে রাজনৈতিক মামলা তুলে নিয়ে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিতকরণ।
৫৭) উপমহাদেশের অন্যান্য দেশের সাথে সমন্বয় পূর্বক মোবাইল টক টাইম ও ইন্টারনেট চার্জ ধার্য্যকরণ।
৫৮) উপমহাদেশের অন্যান্য দেশের সাথে সমন্বয় পূর্বক সকল উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় পর্যালোচনার জন্য তদন্ত কমিশন গঠন।
৫৯) রাষ্ট্রীয় সেবা সহজীকরণের স্বার্থে প্রতিটি বিভাগে সচিবালয়ের ব্রাঞ্চ স্থাপন।
লেখক : পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা
বগুড়া পৌরসভা, বগুড়া।
01711-968340
মন্তব্য করুন