জবি প্রতিনিধি: রাজধানীর পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুর রহমান হলটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে হস্তান্তরের জন্য উচ্ছেদ নোটিশ দিয়েছে ঢাকা জেলা প্রশাসক। নোটিশে সাতদিনের মধ্যে হলটি খালি করতে বলা হয়েছে।
রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘হল ও ধূপখোলা মাঠ উদ্ধার কমিটি’ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তথ্যটি নিশ্চিত করেছে। পাশাপাশি হলসহ হাবিবুর রহমান হলে স্থাপনা নির্মাণের জন্য ডিসি অফিস বরাবর আবেদন দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
জেলা প্রশাসকের চিঠিতে বলা হয়, গত ২৬ সেপ্টেম্বর এই চিঠি ইস্যু হয়। চিঠিতে আব্দুর রহমান হলের ২২ জন অবৈধ দখলদারদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাদেরকে সাত দিনের মধ্যে দখলমুক্ত করার জন্য বলা হয়েছে।
এই বিষয়ে জবি হল ও ধুপখোলা মাঠ সংস্কার বিষয়ক কমিটির সদস্য নওশীন নাওয়ার জয়া বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসন সংকটের চেয়ে বড় সংকট আর একটিও নেই। তাই জবি সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম লক্ষ্য দ্রুত হলগুলো পুনরুদ্ধার, পুনরুদ্ধার করা হলগুলোতে স্থাপনা নির্মাণ ও অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করা। এই লক্ষ্য অর্জনে আমরা নিরলস চেষ্টা করে যাচ্ছি। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরিবর্তন, জেলা প্রশাসক পরিবর্তনসহ সকল প্রশাসনিক সেক্টরে ব্যাপক রদবদল হয়েছে। এতে আমাদের কাজে কিছুটা বেগ পোহাতে হলেও আমরা ধারাবাহিকতা ব্যাহত হতে দেয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ধূপখোলা মাঠ ও তৎসংলগ্ন ভবনটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য স্থায়ী খেলার মাঠ ও হল হিসেবে পেতে সরকারের কাছে আবেদন জানাব আমরা। এটিসহ দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য দ্রুত অস্থায়ী আবাসন ও ট্রান্সপোর্টের ব্যবস্থা করবেন বলে আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আবাসন সংকটসহ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি সংকট দূর করে কাঙ্ক্ষিত বিদ্যাপীঠে রূপ দেওয়ার আগ পর্যন্ত আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.রেজাউল করিম বলেন, ‘আমরা বেদখল হল উদ্ধারের জন্য কাজ করছি। কিছু অগ্রগতিও হয়েছে। সেইসঙ্গে ২ হলের স্থাপনা ও লিজ প্রক্রিয়ায় কিভাবে শিক্ষার্থীদের সুবিধা দেওয়া যায় সেটি নিয়েও জেলা প্রশাসককে চিঠি দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসককে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।