বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শাহাদাতবরণকারী একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শহিদ ইকরামুল হক সাজিদ এর জন্য উক্ত বিভাগের উদ্যোগে গতকাল (৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার) স্মরণ সভা আয়োজিত হয়।
স্মরণসভায় উক্ত বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ সাজিদের স্মৃতিচারন করেন এবং তার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।
এসময়ে একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের পক্ষ থেকে সাজিদের প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন স্বরূপ আর্থিক অনুদান (৬,৮০০০০ টাকা) উপাচার্য মহোদয় তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেন।
এসময় বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মঞ্জুর মুর্শেদ ভূঁইয়া, উক্ত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শামসুন নাহার, শহিদ সাজিদের পরিবার এবং বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
নিউ একাডেমিক ভবনের নাম শহীদ সাজিদ ভবন নামকরণ ,বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাজিদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান সহ ,সাজিদের বড় বোনকে যোগ্যতার ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি প্রদানের দাবি তুলে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে উপাচার্য মহোদয় অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম ,পিএইচডি বলেন, " সাজিদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গর্ব। আমরা কেউই এইভাবে তাকে হারিয়ে গর্বিত হতে চাইনি। সাজিদ আমাদেরই সন্তান। সে যেনো এই জীবনেসহ পরবর্তী জীবনেও সফলতা পায় তার জন্য দোয়া করি। সাজিদের পরিবার যা হারিয়েছে ,তার পরিবারের মধ্যে দিয়ে যা যাচ্ছে তা কোনো কিছু দিয়েই পূরণ করা সম্ভব নয়। শিক্ষার্থীরা যেই দাবি করছেন তা সম্পূর্ণ যৌক্তিক। সাজিদের স্মরণে শহীদ সাজিদের নামে নিউ একাডেমিক ভবনের নাম এই বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে (২০ অক্টোবর ) কিভাবে অফিশিয়ালি নামকরণ করা যায় তার আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।"
তারই সাথে, সাজিদের বড় বোন এর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে তার যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরীর জন্য যে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব তা নিবেন বলে নিশ্চিত করেছেন।
সেই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সাজিদের পরিবারের জন্য অর্থিক সাহায্য নিশ্চিত এর লক্ষে উপাচার্য স্যার বলেন, আসলে অর্থ দিয়ে সাজিদকে ফিরে পাওয়া যম্ভব নয়। তাও যতটুক সম্ভব বিশ্ববিদ্যালয় এর পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হবে তার পরিবারের জন্য কিছু করার জন্য। এর জন্য যদি দেশসহ অন্যান্য জায়গা থেকে সাজিদের স্মৃতিরক্ষার্থে , তাদের সহযোগিতার জন্য যতটুক সম্ভাবনা আছে তা খুজে বের করে তা কাজে লাগানোর চেষ্টা করব।
তিনি আরো বলেন,"আজ শহীদ সাজিদ আমাদের মাঝে নেই কিন্তু তার স্মৃতি আমাদের মাঝে আছে। আমি শহীদ ইকরামুল হক সাজিদ এর আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং তার শোকাবহ পরিবারকে ধৈর্য ধারণ করার তৌফিক দেয় তার দোয়া করছি। সেই সাথে আমি এইটাও বলতে চাই ,যেকোনো সময়ে আপনাদের যেকোনো প্রয়োজন হলে আমাদের স্মরণ করবেন আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করব আপনাদের পাশে থাকার এবং সাজিদকে বেহেশতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করুক এই বলে আমি আমার বক্তব্য শেষ করছি।"
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।