ভিডিও

রাতে চবিতে আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা, আহত ২

প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২৪, ০১:৩১ রাত
আপডেট: জুলাই ১৫, ২০২৪, ০১:৫৬ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে দুইজন আহত হয়েছেন। রোববার রাতে চবি ক্যাম্পাসের কাটা পাহাড় সড়কে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সোয়া ১১টার দিকে কোটা সংস্কারের দাবিতে ক্যাম্পাসের জিরো পয়েন্টে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভে 'তুমি কে আমি কে, রাজাকার, রাজাকার', 'চেয়েছিলাম ন্যায় বিচার, হয়ে গেলাম রাজাকার', ইত্যাদি স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ছাত্রলীগের ৪-৫ জন নেতাকর্মী কাটা পাহাড় এলাকায় আসেন। সেখানে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মাঝেই কয়েকটি বাজি ফোটান তারা।
এরপর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা পিছু হটে। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা কাটা পাহাড় দিয়ে শহীদ মিনারের দিকে মিছিল নিয়ে যাওয়ার পথে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া করে৷ পরে আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন। সেই সময় অন্তত চার থেকে পাঁচজনকে মারধর করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। আহত দুজন হলেন—সুমন ও সুমাইয়া। তাৎক্ষণিক তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।
আন্দোলনে থাকা শারমিন সুলতানা নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, কোটা সংস্কারের আন্দোলনে হঠাৎ ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী লাঠি নিয়ে হামলা করেন। আন্দোলনরত কয়েকজনকে চড়-থাপ্পড় দেন। নারী শিক্ষার্থীদের গালাগাল করেন। এতে প্রায় চার-পাঁচজন আহত হন। পরে একে একে সব পক্ষের নেতাকর্মীরা জিরো পয়েন্টে আসেন৷ সেখানে গিয়ে 'শেখ হাসিনা সংসদে, আমরা আছি রাজপথে', 'শেখ হাসিনার ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই', ইত্যাদি স্লোগান দেন।
তবে চবির সহকারী প্রক্টর লিটন মিত্র বলেন, 'অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু হয়নি। আমাকে একটি ছেলে ফোন করেছিল। কিন্তু তিনি বিস্তারিত কিছু বলেননি। আমি পরে ক্যাম্পাসে খবর নিয়েছি। এখন পর্যন্ত মারামারি বা অন্য কিছুর সংবাদ আমার কাছে আসেনি।'
অভিযোগ উঠেছে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের খবর প্রকাশ হলে বিভিন্ন হল থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সেখানে গিয়ে তাদের ওপর চড়াও হন। এসময় সুমন নামের এক শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধর করা হয়। সুমন চবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থী।
চলমান কোটা আন্দোলনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক রাসেল রাতে বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করছিলাম, আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হলো। কে মেরেছে তা জানি না। আমাদের দুজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন নারী শিক্ষার্থীও আছেন। আমাদের মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণও করা হয়েছে।
চবি ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক পার্থ প্রতিম বড়ুয়া বলেন, মারামারির পরে আমি এসেছি। তবে তাদের (মিছিলকারীদের) নেত্রীর নামে বাজে স্লোগান দিতে শুনেছি। এতদিন কিন্তু তাদের আন্দোলনে বাধা দেওয়া হয়নি, আমরাও চেয়েছি কোটার যৌক্তিক সমাধান আসুক। কিন্তু স্বাধীন দেশে ‘তুমি কে আমি কে- রাজাকার, রাজাকার’ স্লোগান দেওয়া কখনো কাম্য নয়।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS