ভিডিও

তোপের মুখে শিল্পকলা ছেড়ে ফেসবুক লাইভে কান্নায় ভেঙে পড়লেন জ্যোতিকা জ্যোতি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪, ০৫:৩১ বিকাল
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৪, ১২:০৭ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

শোবিজের পাশাপাশি একটা সময় রাজনীতিতেও বেশ সক্রিয় ছিলেন অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি। পরিচিত ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠজন হিসেবেও। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে জ্যোতিকে এখন আওয়ামীপন্থি শিল্পী হিসেবেই চেনে সবাই।

সম্প্রতি আলোচনায় আসা ‘আলো আসবেই’ গ্রুপকাণ্ডেও তার উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। শিক্ষার্থীদের পক্ষ নিয়ে যেসব তারকা রাজপথে ছিলেন তাদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করতে দেখা যায় এই অভিনেত্রীকে। সব মিলিয়ে এই অভিনেত্রীর প্রতি প্রচণ্ড তিক্ততা সৃষ্টি হয়েছে সর্বমহলে; যার জন্য দায়ী জ্যোতির এসব সমালোচিত কর্মকাণ্ডগুলো।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর প্রথমবারের মত শিল্পকলা একাডেমিতে পা ফেলেন জ্যোতিকা জ্যোতি। মঙ্গলবার দুপুরে তিনি অফিসে প্রবেশ করা মাত্রই উত্তেজনা সৃষ্টি হয় তার সহকর্মীদের মাঝে। এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে শিল্পকলা একাডেমি ছাড়তে হয় তাকে।

গত সরকারের সময় পরিচালক হিসেবে শিল্পকলা একাডেমিতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছিলেন জ্যোতিকা জ্যোতি। সে জন্যেই অফিসে উপস্থিত হয়েছিলেন অভিনেত্রী। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সিনিয়র ইনস্ট্রাক্টর আইরিন পারভীন লোপা গণমাধ্যমকে জানান, জ্যোতিকা জ্যোতি অফিসে আসায় হতবাক তারা। তার কথায়, ‘যিনি স্বৈরাচার সরকারের হয়ে কথা বলেছেন, তিনি কীভাবে অফিসে আসেন। যারা সরাসরি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করতে উৎসাহিত করেছেন, যারা রক্ত ঝরার জন্য দায়ী, তাদের আমরা সহকর্মী হিসেবে চাই না।’

এই কর্মকর্তা জানান, জ্যোতি মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে অফিসে প্রবেশ করেন। এক পর্যায়ে জ্যোতিকে দেখে শিল্পকলার বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা জড়ো হতে থাকেন। এরপর জ্যোতিকে দেখে দরজা বন্ধ করে দেন। আইরিনের কথায়, ‘আমরা তাকে বলেছি অফিস থেকে চলে যেতে। কারণ, তিনি ‘আলো আসবেই’ নামে একটি গ্রুপে যুক্ত হয়ে আন্দোলন করা শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে কথা বলেছেন। এমন লোক আমরা দেখতে চাই না।’

আইরিন পারভীন এও জানান, নিজেকে এখনও সরকারের নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তা হিসেবেই ভাবেন জ্যোতি। তিনি মনে করেন, তার অধিকার রয়েছে অফিসে আসার।

এদিকে ফেসবুক লাইভে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন জ্যোতিকা জ্যোতি। তিনি বলেন, আমাকে চলমান পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে অফিস যেতে না করা হয়েছিল আমি বাসাতেই ছিলাম। অবিশেষে ভাবলাম আমার যেহেতু চাকরি রয়েছে আমি কেন যাব না। আমাদের সচিব স্যারের পরামর্শ ছিল না যাওয়ার।

তিনি বলেন, তবে আমি আজ অফিসে গিয়েছিলাম। যাওয়ার পর প্রথমে বিষয়টি বুঝতে পারিনি। বাইরে আমাদের সহকর্মীদের কিছু মানুষকে উত্তেজিত দেখেছি। আমাদের আরেকজন পরিচালক আছেন, তিনি আমাকে বিষয়টি বলেন। আমাদের মহাপরিচালক মিটিংয়ে ছিলেন। তার সঙ্গে দেখা করে সিদ্ধান্ত নিতাম আমি। তিনি আসার পর আমি দেখা করতে গেলে তিনি পরিস্থিতি দেখিয়ে বলেন, এই অবস্থায় কেন আসছেন আপনারা? এগুলো আমাকে সামলাতে দেন। তারপর যে সিদ্ধান্ত হয় হবে। আপনারা চলে যান।

জ্যোতিকা জ্যোতি বলেন, মহাপরিচালক যেহেতু আমাদের বলেছেন, আমরা তো অবশ্যই চলে যাব। এরপর আমার রুমে গিয়ে নিজের ব্যক্তিগত জিনিস ব্যাগে ভরি। তখন লবিতে গিয়ে বাইরের লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে চাই। কিন্তু তারা কথা বলতে চান না। ওই মুখগুলো আগে পরিচিত থাকলেও সেই মুখগুলো আজ খুব অপরিচিত লাগছিল। যাই হোক, পরে আমি সেখান থেকে চলে আসছি।

ফেসবুক লাইভে কথা বলার সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন জ্যোতিকা জ্যোতি।

 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS