ভিডিও

ফেরদৌস আরার প্রশ্ন, কেন ১৫ বছর নিষিদ্ধ ছিলাম

প্রকাশিত: অক্টোবর ০৩, ২০২৪, ১১:০৩ দুপুর
আপডেট: অক্টোবর ০৩, ২০২৪, ০১:৪৯ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

বিনোদন ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় বেতার ও টিভি চ্যানেলে কোন কোন শিল্পী পরিবেশন করতে পারবেন, আর কে কে পারবেন না, এর রয়েছে একটি অঘোষিত তালিকা। এমনকি রয়েছে একটি ‘কালো তালিকা’ও। সেই কালো তালিকায় নাম ছিল জনপ্রিয় নজরুলসংগীত শিল্পী ফেরদৌস আরার, ধারণা এই শিল্পীর। বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ও বাংলাদেশ বেতারে গত ১৫ বছর গান গাইতে পারেননি তিনি। অংশ নিতে পারেননি কোনো অনুষ্ঠানে। ভিন্নমতের হওয়ায় বিগত সরকারের আমলে অনেক শিল্পীই সেই কালো তালিকাভুক্ত ছিলেন।

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আবারও ফেরদৌস আরা বিটিভি ও বেতারের অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। কদিন আগে তার গাওয়া একটি আধুনিক গান প্রচার করা হয়েছে বিটিভিতে। মারজুক রাসেলের লেখা ‘আমি আমার মতোই আছি / তুমি তোমার মতো থেকো’ গানটি প্রচারের পর অনেকেই গানটির প্রশংসা করেছেন।এতদিন পর রাষ্ট্রীয় মাধ্যমে গান প্রচার হওয়ায় কেমন লাগছে? 
সাংবাদিক’কে ফেরদৌস আরা বলেন, ‘দীর্ঘ ১৫ বছর পর আবারও আমাদের প্রাণের প্রতিষ্ঠান বিটিভিতে গাইতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছে। শিল্পী তৈরিতে এ প্রতিষ্ঠানটির ভূমিকা বর্ণনাতীত। কিন্তু কী কারণে আমাকে দীর্ঘদিন কোনো অনুষ্ঠানে ডাকা হয়নি জানি না। শুনেছি অনেক শিল্পী রাজনীতি করার কারণে বিটিভি-বেতারে নিষিদ্ধ ছিলেন। কিন্তু আমি তো রাজনীতি করি না। আমাকে কেন এত বছর বঞ্চিত করা হয়েছে?’

বিএনপি সরকারের আমলে সচিব হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন ফেরদৌস আরার স্বামী ড. রফিকুল মুহাম্মেদ। বিগত সরকারের অনুসারীরা ধরে নিয়েছিলেন, রাজনৈতিকভাবে তারা বিএনপিপন্থী ও দলটির অনুগত। এ কারণেও ফেরদৌস আরাকে রাষ্ট্রীয় মাধ্যমে গান করতে দেওয়া হতো না বলে ধারণা অনেকের। আক্ষেপ করে এই শিল্পী বলেন, ‘আমার স্বামীর চাকরির কারণে যদি এমনটা হয়ে থাকে, সেটা কি কোনো যুক্তির কথা? আমার স্বামী কোনো রাজনীতি করতেন না। এ কোন দেশে বাস করি আমরা? শিল্পী তো নির্দিষ্ট কোনো দলের হতে পারে না, শিল্পী সবার, সব মানুষের জন্য গান করে।’



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS