বিনোদন ডেস্ক: ফজলুর রহমান বাবু, বাংলাদেশের এমনই একজন ভার্সেটাইল অভিনেতা, যাকে গল্পের প্রয়োজনে কাস্ট করার প্রয়োজন দেখা দিলে পরিচালক যদি তার কাছে আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং বাবুও যদি বুঝতে পারেন যে এই চরিত্রটি তার জন্য যথার্থ তবে তিনি তাতে বেশ আগ্রহ নিয়ে কাজ করেন। তাই গল্প ভাবনায় যদি ফজলুর রহমান বাবু থাকেন এবং ব্যাটে বলে মিলে গেলে যদি পরিচালক কাজ করাতে পারেন তাহলে সেই প্রজেক্টও যেন সোনায় সোহাগা।
এমন অনেক দৃষ্টান্তও আছে বাবুকে নিয়ে নির্মিত নাটক/সিনেমা নির্মাণের ক্ষেত্রে। সিনেমাতে অভিনয়ের জন্য বাবু বেশ কয়েকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারেও ভূষিত হয়েছেন। কিছুদিন আগে ইউটিউবে প্রকাশিত লিটু সাখাওয়াত রচিত ও সকাল আহমেদ পরিচালিত ‘দায়’ নাটকে এক অন্য ফজলুর রহমান বাবু’কে দেখা গেছে। এই নাটকে তিনি চাকরি হারা এক বিষণ্ন বাবার চরিত্রে দেখা গেছে। যিনি তার মা, স্ত্রী, সন্তানদের জন্য দিন রাত পরিশ্রম করেও পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে ভালোবাসা পাননি। বরং নানান চাপে তিনি একটি সময় মারা যান। গীতশ্রী, মুনিরা মিঠু, অলংকার চৌধুরীর সঙ্গে বাবুর অনবদ্য অভিনয় মুগ্ধ করেছে দর্শককে। অভিনয়ে বাবু অনবদ্য, এটা নতুন কিছু নয়।
তারপরও নতুন নতুন চরিত্রে বাবু অভিনয়ে যে কারিস্মা দেখান, সেটাই তার অভিনয়ের জাদু। ফজলুর রহমান বাবু বলেন, ‘তাহের শিপনের সঙ্গে যখন সকাল আহমেদ সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করতো, তখন থেকেই সকালকে আমি চিনি জানি। পরবর্তীতে যখন সকাল নিজেই এককভাবে পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করল বলা যায় প্রায় প্রতিটি নাটকে আমাকে রাখার চেষ্টা করে। সকাল হয়তো গিয়াস উদ্দিন সেলিম, নূরুল আলম আতিকদের মতো বাজেট পায় না, কিন্তু যে বাজেট সে পায় এই লিমিটেড বাজেটের মধ্যেই সকাল প্রচন্ড পরিশ্রম করে কাজটি ভালোভাবে করার চেষ্টা করে।
নির্মাতা হিসেবে নিঃসন্দেহে সকাল মেধাবী। দায়-নাটকে কাজ করেও আমার ভালোলেগেছে। যথারীতি এই নাটকে কাজ করার জন্যও আমি বেশ সাড়া পাচ্ছি।’ ফজলুর রহমান বাবু জানান এরইমধ্যে তিনি ভিকি জাহেদের পরিচালনায় ‘আমি কী তুমি’ ওয়েব কন্টেন্ট’র কাজ শেষ করেছেন। এই মুহুর্তে তিনি স্ত্রী কন্যাকে নিয়ে ফরিদপুর শহরের পশ্চিম আলীপুরে নিজ বাড়িতে আছেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।