ভিডিও

দাঁতের ক্ষয় যেভাবে প্রতিরোধ করবেন

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৪, ০৫:৩৫ বিকাল
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৪, ০৫:৩৫ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

স্বাস্থ্যসম্মতভাবে নিয়মিত ব্রাশ করা যেমন দাঁতের ক্ষয় রোধ করে, তেমনি ত্রুটিপূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি দাঁতের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। মুখের যত্নে সঠিক স্বাস্থ্যবিধি, তার প্রতিকার ও প্রতিরোধ নিয়ে নিচের আলোচনা।

দন্তক্ষয়ের কারণ 

ত্রুটিপূর্ণ মৌখিক স্বাস্থ্যবিধি: আড়াআড়িভাবে ব্রাশ করা। শক্তি দিয়ে জোরে ব্রাশ করা। শক্ত ব্রিসল যুক্ত ব্রাশ ব্যবহার করা। নিয়মিত ব্রাশ পরিবর্তন না করা। দাঁতের প্রলেপ ঘষে তুলে ফেলে এমন টুথপেষ্ট বা মাজন ব্যবহার করা। ২ মিনিটের বেশি সময় ধরে বা দিনে ২ বারের বেশি ব্রাশ করা। ব্যবহারের অনুপযোগী আলগা দাঁত দীর্ঘদিন ব্যবহার করা। খিলাল ব্যবহার করা

অস্বাভাবিক মৌখিক অভ্যাস: দাঁত দিয়ে নখ কামড়ানো। দাঁতের আগায় সুই জাতীয় জিনিস নিয়মিত ব্যবহার করা। বরফের টুকরা কামড়ে খাওয়া। ঘুমের মধ্যে দাঁত চাবানো। অতিরিক্ত টকজাতীয় খাবার খাওয়া। অতিরিক্ত কোমল পানীয় খাওয়া। কোমল পানীয় কুলি করে খাওয়া।

লক্ষণ: যে কোনো বয়সেই হতে পারে, তবে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে পারে। মহিলাদের চেয়ে পুরুষদের বেশি হয়। যে হাত দিয়ে ব্রাশ করা হয় তার বিপরীত দিকে এ ক্ষয় দেখা যায়, যেমন-যে ডান হাতে ব্রাশ করে তার ক্ষয় বামে বেশি হয়। গালের দিকের দাঁতের অংশ ক্ষয় হলে সে জায়গাটা পিরিচ, ইংরেজি অক্ষর ‘ভি’-এর মতো, বা কুঠারের মতো খাঁজ কাটা থাকে। ক্ষয়ে যাওয়া জায়গাটা চকচক করে বা খসখসে থাকতে পারে। দাঁতে কামড় দেওয়ার জায়গায় ক্ষয় হলে দাঁতের স্বাভাবিক খাঁজকাটা ভাবগুলো মিশে গিয়ে সমান্তরাল হয়ে যায়, যেন করাত দিয়ে কেটে সমান করা হয়েছে। পুরোনো ফিলিং যদি রুপার হয় সেগুলো অনেক সময় দাঁতের চেয়ে উঁচু হয়ে বের হয়ে থাকে। প্রথম অবস্থায় মিষ্টি, টক, ঠান্ডা পানিতে দাঁতের সংবেদনশীলতা বেড়ে যায়। সময়মতো চিকিৎসা না হলে দাঁতের ভেতরের মজ্জা নষ্ট হয়ে যায় বা দাঁতের ওপরে মুকুট ভেঙে যেতে পারে। অনেক সময় মাড়ির কামড় বদলে যায়, ফলে কানে ব্যথার মতো অন্যান্যশারীরিক সমস্যা হতে পারে।

প্রতিকার: নিয়মিত ২ মিনিট সময় নিয়ে দিনে ২ বার মুখের পরিচর্চা করা। ব্রাশ ব্যবহারে সচেতন হওয়া। নরম ব্রাশ ব্যবহার করা। প্রতি ৩ মাস পর ব্রাশ পরিবর্তন করা। দাঁত সাদা করে এমন টুথপেস্ট ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ব্যবহার না করা। মাজনের ব্যবহার পরিহার করা। খিলালের ব্যবহার পরিহার করা, ডেন্টাল ফ্লস বা ইন্টারডেন্টাল ব্রাশ ডাক্তারের পরামর্শে ব্যবহার করা।

খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন:  প্রতিদিন অন্তত পক্ষে ২-৫ লিটার পানি পান করা। দুধ, দই, পনির ইত্যাদি ক্যালসিয়াম সংবলিত খাবার খাওয়া যা দাঁতের ক্ষয় রোধ করে। কোমল পানীয়, অ্যালকোহল ইত্যাদি পরিহার করা।

প্রতিরোধ: শিরশির করা প্রাথমিক সমস্যা, এ অবস্থায় যদি গর্ত না থাকে শুধু ফ্লোরাইডযুক্ত বা শিরশির রোধক টুথপেস্ট ব্যবহার করা । গভীরতা অনুযায়ী ফিলিং করা যাবে যা আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি দিয়ে দাঁতের সঙ্গে রং মিলিয়ে ফিলিং করা। লেজার দিয়েও এ চিকিৎসা করা যায়। যদি মজ্জা আক্রান্ত হয় তখন মজ্জার চিকিৎসা করতে হবে। মাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলে এর চিকিৎসা করতে হবে।

ডাঃমোঃ সাবিবর মোস্তাক রহমান (ডুরেন)
বি. ডি.  এস (ডি ইউ)
ওরাল এ্যন্ড ডেন্টাল সার্জন
সারা ডেন্টাল কেয়ার
শেরপুর রোড, বগুড়া।  



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS