ভিডিও

ফ্যাটি লিভার হলে যেসব লক্ষণ দেখা দেয়

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৪, ০৬:১৪ বিকাল
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৪, ০৭:৩০ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

স্বাস্থ্যকথা ডেস্ক: ফ্যাটি লিভার একটি গুরুতর ব্যাধি। এই রোগ গুরুতর আকার ধারণ করলে এর থেকে হতে পারে লিভার সিরোসিস। ফ্যাটি লিভার দুই ধরনের হয়- অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ ও নন অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ।
অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজের কারণ হলো মদ্যপান। অপরদিকে নন অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজের পেছনে থাকে জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাস।
এই অসুখের লক্ষণ প্রথমেই চিনে নিতে পারলে চিকিৎসা ও জীবনযাত্রার বদলের মাধ্যমে রোগী সুস্থ হয়ে ওঠেন। তাই এই কয়েকটি উপসর্গ দেখলে সাবধান হন-
ফ্যাটি লিভারে মুখে যে কয়েকটি লক্ষণ দেখা দিতে পারে: মুখ ফুলে যাওয়া, ঘাড়ের নীচের দিকের অংশ কালচে হওয়া, মুখের ত্বক লাল হয়ে যেতে পারে, মুখে র‌্যাশ বের হওয়া, মুখের ত্বকে চুলকানি ও ত্বক হলুদ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।
ফ্যাটি লিভারের অন্যান্য লক্ষণ কী কী: পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব, বমি হওয়া, ক্ষুধা না লাগা, ওজন দ্রুত কমা, পা ও শরীরের অন্যান্য অংশে পানি জমা, প্রচণ্ড দুর্বলতা, বিভ্রান্তি ইত্যাদি।
কীভাবে রোগ নির্ণয় করবেন: এই অসুখ নির্ণয় করার ক্ষেত্রে প্রথমে দেওয়া হয় লিভার এনজাইম টেস্ট। এই টেস্টেই খুব সহজে রোগটি সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা পাওয়া যায়। এছাড়া চিকিৎসক আলট্রা সাউন্ড করে দেখতে পারেন। পাশাপাশি লিভার বায়োপসি ও ফাইব্রোস্ক্যান করা যেতে পারে। এই দুটি টেস্টের মাধ্যমেই অনায়াসে রোগের পর্যায় সম্পর্কে জানা যায়। তাই দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই বললেই চলে।
রোগের চিকিৎসা: এই অসুখের চিকিৎসার ক্ষেত্রে কয়েকটি ওষুধ ব্যবহার করা হয়। সেই ওষুধগুলো দারুণ কাজ করে। তবে এর পাশাপাশি ডায়েট ও জীবনযাত্রায় কিছু বদল আনতে হয়। তাই কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা সবচেয়ে জরুরি- মদ্যপান না করা, ওজন কমানো, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইডস নিয়ন্ত্রণে রাখা। শাকসবজি বেশি করে খেতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।

 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS