জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে আগাম আলু রোপণে ব্যস্ত কৃষক
বাগজানা (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি : আমন ধান কাটা মাড়াই মৌসুম শুরু না হলেও কিছু কিছু আগাম জাতের আমন ধান কাটায় ওই সব জমি ও ফাঁকা ভিটে মাটিতে আগাম আলু চাষের জন্য জমি প্রস্তুতসহ আলু রোপণে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার কৃষকরা।
বাজারে এবার আলুর উচ্চমুল্য থাকায় আগাম জাতের আলু চাষ করে আরও লাভবান হওয়ায় আশায় অন্যান্য বারের তুলনায় এবার অধিক পরিমাণে আলু চাষে ঝুঁকে পড়েছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা।
উপজেলার বাগজানা, ধরঞ্জী, রতনপুর, নন্দইল, তাজপুর, আয়মারসুলপুর, কড়িয়া, কেশবপুর, নওয়ানাসহ কয়েকটি গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে কৃষকরা আলু চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এ সময় কথা হয় উপজেলার বাগজানা ইউনিয়নের খোর্দ্দা (গঙ্গাঁপ্রসাদ) গ্রামের কৃষক দেলোয়ার হোসেনের সাথে।
তিনি বলেন, বাজারে যার আলু যত আগে উঠবে, তার লাভ তত বেশি। তাই আগে ভাগেই আলু আবাদ করছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলেও এবার বীজের দাম একটু বেশি। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার প্রতিবিঘা আলুর বীজে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা বেশি কিনতে হচ্ছে। প্রয়োজনীয় সারের সরবরাহও স্বাভাবিক। তিনি এবার ২ একর জমিতে আগাম জাতের আলু রোপন করছেন বলে জানান।
একই গ্রামের মাহাবুব আলম বাবু বলেন, এবার ১ একর জমিতে আগাম জাতের আলু চাষের প্রস্তুতি নিয়েছেন। তিনি জানান, প্রতি বিঘা জমিতে আগাম জাতের আলু রোপনে খরচ হচ্ছে ৩৫-৪০ হাজার টাকা। বিঘা প্রতি আলু উৎপাদন হবে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ মণ।
আরও পড়ুনবাজারে আগে আলু তুলতে পারলে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হবে প্রায় ৮০ থেকে ১শ’ টাকা কেজি দরে। আশা করছেন, বিঘা প্রতি আলু বিক্রি করে খরচ বাদে লাভ হবে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। ধরঞ্জী ইউনিয়নের শ্রীমন্তপুর গ্রামের আলুচাষী মাহফুজার রহমান জানান, আগাম জাতের আলু চাষ করে ভালো দাম পাওয়া যায়।
তাছাড়া ৬০-৬৫ দিনের মধ্যে এ আলু ক্ষেত থেকে তোলা যায় বলে কৃষকদের আলু চাষের আগ্রহ বেশি। পাঁচবিবি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফর রহমান বলেন, আগাম আলু একটা লাভজনক সবজি। বাজারে উচ্চ মুল্য থাকায় এবার তুলনামূলক বেশি আলু চাষে ঝুঁকছে কৃষক।
আগাম আলু ও অন্যান্য রবি ফসল চাষে পরামর্শসহ সকল প্রকার সহযোগিতা করবে পাঁচবিবি কৃষি অফিস। উল্লেখ্য যে, চলতি আলুচাষ মৌসুমে প্রায় ১ হাজার হেক্টর জমিতে আগাম আলু চাষ হবে।
মন্তব্য করুন