লেবাননে এখন পর্যন্ত ৪৭ ইসরায়েলি সেনার মৃত্যু
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গত ৩০ সেপ্টেম্বর লেবাননে ইসরায়েলের স্থল বাহিনীর অভিযান শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত দেড় মাসে দেশটিতে ৪৭ জন ইসরায়েলি সেনার মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ বুধবার ৬ জন সেনা প্রাণ হারিয়েছে।
এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, বুধবার নিহত এই ৬ সেনা ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর গোলানি ব্রিগেডের অন্তর্ভূক্ত ছিল। দক্ষিণ লেবাননে সামরিক অভিযান চালানোর সময় তারা নিহত হয়। নিহতরা হলো-ক্যাপ্টেন ইতায় মার্কোভিচ (২৪), স্টাফ সার্জেন্ট সারিয়া এলোবিম (২১), স্টাফ সার্জেন্ট ডিরোর হেন (২০), স্টাফ সার্জেন্ট নির গোফের (২০), স্টাফ সার্জেন্ট শালেভ ইৎজহাক সাগ্রোন (২১) এবং স্টাফ সার্জেন্ট ইয়োয়াভ ড্যানিয়েল (১৯)।গতকাল ইসরায়েলের নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ এক ভাষণে বলে, লেবাননে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযানে কোনো ছাড় দেবে না প্রতিরক্ষা বাহিনী। তিনি ভাষণ শেষ করার কিছুক্ষণ পরেই বিবৃতি দিয়েছে আইডিএফ।
২০২৩ সালের অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস অতর্কিত হামলা চালানোর পর হামাসকে নির্মূলের উদ্দেশে গাজায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ। এদিকে গাজায় আইডিএফ’র অভিযান শুরুর পর হামাসের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া শুরু করে ইরানের সমর্থনপুষ্ট সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ; পাল্টা জবাব হিসেবে দক্ষিণ লেবাননে রকেট-ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে আইডিএফও।
আরও পড়ুন
এক বছরেরও বেশি সময় ধরে গাজায় অভিযান চালিয়ে হামাসকে দুর্বল করার পর গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে লেবাননে অভিযান শুরু ইসরায়েলের বিমান বাহিনী। সেই অভিযান শুরুর ৭ দিনের মধ্যে নিহত হন হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতা সৈয়দ হাসান নাসরুল্লাহসহ গোষ্ঠীটির অধিকাংশ শীর্ষ নেতা ও কমান্ডার। ফলে গোষ্ঠীটির চেইন অব কমান্ড এক অর্থে প্রায় ভেঙে যায়। ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে লেবাননে অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের স্থলবাহিনী।
মন্তব্য করুন