চিরকুটে হুমকি পেয়ে সন্ধ্যায় শিশুর হাত বাধা মরদেহ উদ্ধার
নিউজ ডেস্ক: নড়াইলের কালিয়া উপজেলার নড়াগাতী থানার খাশিয়াল ইউনিয়নের পাকুড়িয়া গ্রামের ধান খেত থেকে হাত রশি দিয়ে বাঁধা হামিদা খানম (৬) নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার(১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে সকালে বাড়ির পাশে হত্যার হুমকি দেয়া একটি চিরকুট পেয়েছিল নিহতের পরিবারের লোকজন।
নিহত শিশু হামিদা খানম কালিয়া উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের কৃষক সাহানুর শেখের ছোট মেয়ে।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে হামিদার মা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বিছানায় শুয়ে ছিলেন। এ সময় মায়ের কাছ থেকে একটি আপেল হাতে নিয়ে বাড়ি থেকে বন্ধুদের সঙ্গে খেলার উদ্দেশে বের হন হামিদা। পরে বিকেল ৪টার দিকে তাকে খোঁজ করে বাড়ির লোকজন। কিন্তু আশেপাশে কোথাও তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। তখন সকালের চিরকুটের বিষয়টি মনে পড়ায় পরিবারের লোকজন সন্দেহ বাড়ে। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে সন্ধ্যার দিকে বাড়ি উত্তর পাশে একটি ধানক্ষেতের মধ্যে হামিদার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। এসময় রশি দিয়ে তার হাত বাঁধা এবং কচুরিপানা দিয়ে মরদেহের কিছু অংশ ঢাকা ছিল। পরে পরিবার ও স্থানীয়রা সেখান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে।
হুমকি দেয়া ওই চিরকুটে লেখা ছিল, 'তোরা যদি খুদ চালান দিস। তাহলে মনে রাখবি, তোর সন্তানদের মধ্যে একজনকে হারাবি বা তোর ভাইয়ের মেয়েকে। এটা আমার শেষ কথা।'
আরও পড়ুনচিরকুটে শামিমা আক্তার ও হামিদার নাম লেখা ছিল। শামিমা ও হামিদা দুই বোন। দুবোনের একজনকে হত্যা করা হবে সেটাই বোঝানো হয়েছিলো ওই চিরকুটে।
পরিবারের সদস্যদের দাবি , বুধবার (১৩ নভেম্বর) রাতে কেউ হামিদাদের বাড়ির পাশে একটি চিরকুট ফেলে যায়। সেই চিঠিতে সন্তান হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছিল। পূর্বশত্রুতার জের ধরে যারা হুমকি দিয়েছিল, তারাই হাত বেঁধে পিটিয়ে হত্যা করেছে হামিদাকে।
এ ব্যাপারে নড়াগাতী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রাথমিক তদন্তে এটা স্পষ্ট যে, পারিবারিক শত্রুতার জেরে শিশুটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। অতিদ্রুতই ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে এবং জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
মন্তব্য করুন