ভিডিও রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

নবান্নের দাওয়াতে জামাই গেলেন শ্বশুরবাড়ি

বগুড়ার নন্দীগ্রামে মাছের মেলায় ভিড় বেশি দামে অসন্তুষ্ট ক্রেতা

বগুড়ার নন্দীগ্রামে মাছের মেলায় ভিড় বেশি দামে অসন্তুষ্ট ক্রেতা, ছবি : দৈনিক করতোয়া

মো. বকুল হোসেন, নন্দীগ্রাম (বগুড়া) : বগুড়ার নন্দীগ্রামে নবান্ন উৎসবকে ঘিরে প্রত্যন্ত গ্রামে চলছে জামাই আপ্যায়ন। প্রতিটি বাড়িতেই দিনভর চলে নতুন চালের ভাত আর বড় মাছের রান্না। নবান্নের দাওয়াতে একদিন আগেই স্বামীর সঙ্গে বাবা-মায়ের কাছে ফিরেছেন মেয়ে। মেলা থেকে বড় মাছ, নতুন আলু, সবজি ও দই-মিষ্টি কিনে জামাই যাচ্ছেন শ্বশুরবাড়ি।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উৎসব ঘিরে মুসলিম পরিবারেও চলে জামাই আদর। এবছর পৌর এলাকার ওমরপুর, উপজেলার রণবাঘা, কড়ইহাট, নাগরকান্দি ও ধুন্দার বাজারে বসে মাছের মেলা। সারি সারি দোকানের সামনে মানুষের ভিড় থাকলেও দামে অসন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন ক্রেতারা। নিম্ন আয়ের মানুষেরা ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে মাছ কিনেছেন।

আজ রোববার (১৭ নভেম্বর) ওমরপুর বাজারের মেলায় ৪৫ কেজি ওজনের বাঘাআইড় মাছ এক হাজার ৩৫০ টাকা কেজি দাম হাঁকানো হয়। সেখানে অন্তত ২০টি দোকান বসে। জেলে থেকে শুরু করে খামারি ও ব্যবসায়ীরা মাছ নিয়ে মেলায় আসেন।

এদিন ভোর থেকেই মেলায় ভিড় করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। সারি সারি দোকানে চিতল, বাঘাআইড়, বোয়াল, কাতল, সিলভার কার্প, রুই, ব্রিগেডসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পসরা সাজিয়ে রাখেন। কেউ বড় মাছ দেখতে আসেন, আবার কেউ কিনে বাড়ি ফিরেছেন।

আরও পড়ুন

এবছর মেলায় বড় মাছ থাকলেও চাহিদা কম ছিল। ছোট ব্রিগেড ও সিলভার কার্প ১৮০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি এবং বড় ওজনভেদে ৫শ’ থেকে ৬শ’ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। রুই ২৪০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি ও কাতল কেজিতে ২৪০ থেকে ৪শ’ টাকা। ১০ কেজি ওজনের কাতলা ৮শ’ থেকে ৯শ’ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। চিতল মাছ ওজনভেদে কেজিতে ৭শ’ টাকা কেজি দাম হাঁকানো হয়।

মাছের দোকানের পাশে শীতকালীন হরেক রকমের সবজি ও দই-মিষ্টির দোকানও বসে। বড় মাছ কিনতে মেলায় আসেন সম্পদ চন্দ্র, মোহন কুমার, বেলাল হোসেন ও সবুজ কুমার। নবান্নের দাওয়াতে তারা শ্বশুরবাড়ি এসেছেন। তারা বলেন, মেলায় মাছের দাম অনেক বেশি। শ্বশুরবাড়িতে মান রক্ষায় মাঝারি ওজনের মাছ কিনেছেন।

গ্রামের মেলায় মাছের লাগামহীন দাম শহরের বাজারদর ছাড়িয়ে গেছে। মাছ বিক্রেতা মিন্টু মিয়া জানান, প্রতিবছর নবান্নের মেলা এলেই আড়তে ও খামার পর্যায়ে মাছের দাম বেশি হয়। তারা সীমিত লাভেই বিক্রি করেন। তবে উৎসব জানান দিতে একটু বেশি দাম হাঁকালেও ক্রেতারা দরদাম করে নিয়েছেন।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দিনাজপুরের বিরামপুরে পিকআপের ধাক্কায় আহত বৃদ্ধের মৃত্যু

ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু

প্রাকৃতিক দুর্যোগ কাটিয়ে শিম চাষে ঘুরে দাঁড়ানো চেষ্টায় পাবনার কৃষক

আবারও শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় বসানোর ষড়যন্ত্র চলছে : রুহুল কবির রিজভী

বগুড়ায় অভ্যন্তরীণ আমন ধান ও চাল সংগ্রহ অভিযান উদ্বোধন

বগুড়ার সারিয়াকান্দি গণকপাড়া কলেজ তালাবদ্ধ করার অভিযোগ