যৌথবাহিনীর অভিযানে আটক ২
বগুড়ায় প্রায় ৫০০ বস্তা নকল সার ও কীট নাশক তৈরীর উপকরণ জব্দ
স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ায় মাটি-চুন, সিমেন্ট দিয়ে সার ও কীটনাশক তৈরী করার সময় হাতে-নাতে দুই শ্রমিককে আটক করে যৌথবাহিনী। পুলিশ ও সেনা সদস্যদের সমন্বয়ে এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন বগুড়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদমান আকিফ।
গতকাল শনিবার রাত দশটায় পরিচালিত অভিযানে, প্রায় একশো বস্তা টিএসপি সার, ২২ বস্তা জিংক ক্রোজিং ছাড়াও চমক বোরন, এবি ফুরানসহ নানা প্রকার তৈরী সার, কিটনাশক এবং এসব পণ্য তৈরীর সরঞ্জামও জব্দ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে মাটি-চুন, সিমেন্টের মতো পদার্থ দিয়ে তৈরী এ সব সার ও কীটনাশক অন্তত সতেরটি ব্র্যান্ডের মোড়কে বাজারজত করে আসছিলো বেনামী এই প্রতিষ্ঠান।
প্রস্তুতকৃত ভেজাল পণ্য ছাড়াও ৩ শো বস্তারও বেশি মাটি, সিমেন্ট, চুনসহ বিভিন্ন কাঁচামাল এবং ভেজাল সার ও কীটনাশক তৈরীর নানা প্রকার সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ সময় মালিক পক্ষের কেউ উপস্থিত না থাকলেও সার তৈরীর সময় দুইজন শ্রমিককে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। প্রতিষ্ঠানটির কোন বৈধ কাগজপত্র কিংবা সাইন বোর্ড নেই।
বগুড়া জেলার সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাদমান আকিফ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভেজাল সার ও নকল কীটনাশকের কারখানায় অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযান চালানোর সময় ওই কারখানায় ৪ জনকে দেখা গেলেও ২ জন পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুনঅন্য দুই জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের একজন ভ্যান চালক অন্যজন সেখানকার কর্মী। তিনি আরও জানান, তারা টিএসপি জিংক, বোরণ এর মত গুরুত্বপূর্ণ সার তৈরী করছিলো। এছাড়াও ১৭টি নকল কীটনাশক তৈরী করছিলো। তাদের কাছ থেকে কীটনাশকের লেবেল জব্দ করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে শেরপুরের গৌতম নামের এক ব্যক্তি ওই বাড়ি ভাড়া নিয়ে ভেজাল সার ও কীটনাশক তৈরী করছিলো। তাকে পাওয়া যায়নি। তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হবে। ‘অভিযান শেষে নকল সার ও কীটনাশক কারখানাটি সিলগালা করা হয়। ভেজাল বিরোধী অভিযান চলমান থাকবে।’
মন্তব্য করুন