শীতকালে ভিটামিন ডি’র ঘাটতি মেটাবেন যেভাবে
সুস্বাস্থ্য়ের জন্য ভিটামিন ডি জরুরি। শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি না থাকলে ক্যালশিয়াম ও ফসফরাস শোষণ নিয়ন্ত্রণে বাধাগ্রস্ত হয়। এছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, হাড়ের ব্যাধি, উচ্চ রক্তচাপ, বিষণ্নতার মতো নানা সমস্যা বেড়ে যায়। অনেকেই আছেন, যারা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট খান। তবে পরামর্শ ছাড়া অপ্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি গ্রহণের ফলে হার্টের সমস্যাও হতে পারে।
ভিটামিন ডি’র অভাবে কী কী সমস্যা দেখা দেয়?
ভিটামিন ডি এর অভাব মূল প্রভাব ফেলে ক্যালসিয়াম শোষণের ক্ষেত্রে। অর্থাৎ আপনি খাবারের মাধ্যমে যে ক্যালসিয়াম গ্রহণ করছেন তার সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকাও প্রয়োজন। না হলে শরীর সঠিকভাবে ক্যালসিয়াম শোষণ করতে সক্ষম হবে না। হাড়ের সুস্থতা ও শক্তি বজায় রাখার জন্য ক্যালসিয়াম একটি অপরিহার্য পুষ্টি। আমাদের পেশী, স্নায়ু ও দাঁতের শক্তি বজায় রাখার জন্যও এটি গুরুত্বপূর্ণ।
ভিটামিন ডি’র ঘাটতি কীভাবে পূরণ করবেন?
বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতে এমনিতেই সূর্যালোক কম হওয়ায় রোদ থেকে ভিটামিন ডি পাওয়া মুশকিল হয়ে ওঠে। তবে এই মৌসুমে ভিটামিন ডি’র ঘাটতি পূরণ করা যেতে পারে দুধ, পনির, মাশরুম, ডিম ও মাছ দিয়ে।
স্যামন মাছ ভিটামিন ডি এর একটি ভালো উৎস। যদি প্রতিদিন ১০০০ আইইউ ভিটামিন ডি প্রয়োজন হয়, তবে এটি আধা কেজি মাছ দ্বারা সরবরাহ করা যেতে পারে।
পাশাপাশি গর্ভবতী নারীদের ভিটামিন ডি সম্পর্কে সতর্ক হওয়া উচিত। রোদে থাকতে অসুবিধা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন ও এর সম্পূরক ওষুধ খান। ছোট শিশুদের যদি রোদে মালিশ করতে না পারেন, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন ও ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট দিন।
আরও পড়ুনস্কুলের শিশুদের রোদে বা বাইরে খেলতে উৎসাহিত করা উচিত। আপনি যদি বাড়িতে বা অফিসের ভেতরে কাজ করেন, তাহলে ১৫ মিনিট থেকে আধা ঘণ্টা সূর্যের আলো আপনার উপকার করতে পারে। রোদে থাকার জন্য প্রতিদিন দুপুরের খাবারের সময় বের হন বা অন্তত আধা ঘণ্টা হাঁটুন।
জামাকাপড় অতিবেগুনী রশ্মিকে আটকায়, তবে কিছু অংশ যেমন আমাদের বাহু, মুখ, পিঠ ইত্যাদি খোলা রাখুন। যাতে সেখান থেকে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। আবার অনেকেই দুধের সঙ্গে ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট খান, তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুধে ভিটামিন ডি মিশিয়ে খাওয়া ঠিক নয়। আপনি প্রথমে ওষুধ খান, তারপরে আপনি এক গ্লাস পানি, দুধ বা কমলার রস খেতে পারেন।
মনে রাখবেন, ভিটামিন ডি’র অভাব মারাত্মক রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। এর ঘাটতির কারণে উচ্চতা কমায়, হাড়ের ব্যথা, পেশীতে খিঁচুনি, নবজাতকের কম ওজন, প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরে অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি থাকে।
মন্তব্য করুন