বগুড়ার বাজার: সবজিতে স্বস্তি, সরবরাহ সংকট সয়াবিনের
স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ার স্থানীয় হাট-বাজারগুলোতে শীতকালীন সবজির ব্যাপক সরবরাহে স্বস্তি ফিরেছে দামে। কোন কোন সবজির কেজি ১০ টাকাতে নেমেছে। তবে বাজারে নতুন আলু পুরোদমে উঠলেও দাম এখনও সাধারণের নাগালের বাইরে। আবার অনেক সবজির পাইকারি ও খুচরা দামে বিস্তর ফারাক লক্ষ্য করা গেছে। এদিকে দাম বাড়িয়েও বাজারে সরবরাহ সংকট কাটানো যায়নি বোতলজাত সয়াবিন তেলের।
আজ বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) বগুড়া শহরের ফতেহ আলী বাজারসহ বেশকিছু বাজার ঘুরে দেখা যায়, আলু মানভেদে ৫৫/৭০ টাকা কেজি, বেগুন ৫০/৬০, ফুলকপি ১০/১৫, মুলা ২০, কাঁচামরিচ, পাতাপেঁয়াজ ও শশা ৪০, পটল ৬০, ছিম ৩০/৫০, পেঁয়াজ ৫০/৬০, গাজর ৪০/৫০, টমাটো, করলা ও বরবটি ৮০, আদা ১২০, রসুন ২৪০/৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সবজি ব্যবসায়ীরা বলছেন, বগুড়ার স্থানীয় হাট-বাজারগুলোতে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বেড়েছে। সরবরাহ চাপে বেশিরভাগ সবজির দাম কমে তলানিতে ঠেকেছে। তবে কোন কোন সবজির দাম এখনও বেশি জানিয়ে তারা বলছেন, টমাটো ও আলুর দাম এখনও কিছুটা বাড়তি। এসব পণ্যের সরবরাহ আরও বাড়বে, আর তখনি দাম কিছুটা কমে আসবে।
এদিকে সাধারণ ক্রেতাদের অভিযোগ, পাইকারি বাজারে সবজির দাম কম থাকলেও শহরের অনেক বাজারের দোকানী তা দ্বিগুণ দামে বিক্রি করছেন। মুলা, কপি, ছিমসহ আরও কয়েকটি সবজির দাম বাড়িয়ে বিক্রি করার অভিযোগ করছেন তারা।
আরও পড়ুনএদিকে বগুড়ার বাজারগুলোতে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ সংকট এখনও কাটেনি। সরকার সয়াবিনের লিটার প্রতি ৮ টাকা দাম বাড়ালেও প্রায় এক মাস হলো বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না। বেশ কয়েকটি দোকান ঘোরার পর তেল পাওয়া গেলেও তাও বাড়তি দামে বিক্রির অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা। বাজারে এক লিটার বোতলজাত তেল মিললেও তার দাম ধরা হচ্ছে ১৮০/১৮৫ টাকা, দুই লিটার ৩৬০/৩৭০, আর পাঁচ লিটার তেল মিলছে ৮৫৫-৮৮০ টাকায়। আর এক কেজি খোলা তেল বিক্রি হচ্ছে ১৮৫ টাকায়। ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলছেন, প্রায় এক মাস হলো বেশিরভাগ কোম্পানি তাদের বোতলজাত সয়াবিন তেল সরবরাহ করছে না। যে দু’একটি কোম্পানি করছে তাও খুব সীমিত। আবার কোন কোন কোম্পানি অন্য পণ্য নেয়ার শর্তে তেল দিলেও তাও বেশি দাম ধরছে। বাজার কবে স্বাভাবিক হবে সে ব্যাপারেও তারা কিছু বলতে পারছেন না। অপরদিকে বাজারে প্রতি কেজি প্যাকেট আটা ৫০, ময়দা ৬৫, চিনি ১২৫, লাল চিনি ১৪০, মসুরের ডাল ১১০/১৪০, মুগ ডাল ১৮০/১৯০, নতুন মাসকলাই ২০০/২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বগুড়ার ফতেহ আলী বাজারে কাটারিভোগ চালের কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে ৭৪/৭৮ টাকা, বিআর-৭৫ চাল ৫২, রঞ্জিত ৫৫/৫৬, বিআর-২৮ চাল ৬৫/৬৮, গুটি স্বর্ণা ৫২/৫৩ এবং নাজিরশাইল চাল ৮০/৮২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও ডিমের হালি ৪৫, ব্রয়লার মুরগি ১৮০ ও ককরেল মুরগির দাম বেড় ৩০০/৩২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংসের কেজি ৭০০ ও খাসির মাংসের কেজি এক হাজার টাকা। তিন কেজি ওজনের কাতল মাছ প্রতি কেজি ৩২০, দুই থেকে আড়াই কেজি ওজনের রুই মাছ প্রতি কেজি একই দাম, চার কেজি ওজনের বিগহেড মাছ প্রতি কেজি ২৬০ টাকায় বেচাকেনা হতে দেখা যায়। এছাড়াও এদিন পাবদা মাছ মানভেদে ২৮০/৪০০ এবং টেংরা মাছের কেজি ৪০০/৪৮০ টাকায় বেচাকেনা হয়।
মন্তব্য করুন