ভিডিও বুধবার, ০১ জানুয়ারি ২০২৫

নওগাঁর মান্দায় ফলদ বাগানে সফল চাষি হারুন

নওগাঁর মান্দায় ফলদ বাগানে সফল চাষি হারুন, ছবি : দৈনিক করতোয়া

মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি : ছোটবেলা থেকেই কৃষি কাজের সাথে জড়িত ছিলেন। এক সময় কৃষি কাজ ছেড়ে ফলদ বাগান তৈরির উদ্যোগ নেন। বাড়ির পাশের জমিতেই গড়ে তোলেন পেয়ারার বাগান। সফলও হন। এরপর তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি।

পেয়ারায় সফলতা পেয়ে বাগানের পরিধি বাড়াতে থাকেন। একে একে চাষ করেন ড্রাগন, মাল্টা, কমলা ও আঙ্গুরের। মাল্টার বাগানে নতুন করে রোপণ করেছেন পেয়ারা ও আম গাছের চারা। বাগানের উত্তরদিকে পলিনেট হাউজে চাষ করছেন বিষমুক্ত সবজির।

ফলদ বাগানে সফল এই চাষির নাম হারুন অর রশীদ। তিনি নওগাঁর মান্দা উপজেলার সাহাপুর গ্রামের বাসিন্দা। একমাত্র ছেলে খালেকুজ্জামান রাজীবকেও এই পেশায় দক্ষ করে তুলেছেন। এখন তার বাগানে রয়েছে ড্রাগন, মাল্টা, পেয়ারা ও কমলার গাছ। অন্য বাগানগুলোতে ফল না থাকলেও মাল্টার বাগানে থোকায় থোকায় ঝুলছে মাল্টা।

চাষি হারুন অর রশীদ বলেন, বর্তমানে ৩বিঘা জমিতে ড্রাগনের বাগান রয়েছে। শুধু এই বাগান থেকে এ বছর ৮ লাখ ৮২ হাজার টাকার ফল বিক্রি করেছেন। দাম কম না হলে বিক্রির পরিমাণ আরও বেশি হত। এছাড়া ১বিঘা ১৫ কাঠা জমিতে মাল্টা, ২বিঘা জমিতে কমলা ও ১ বিঘা জমিতে পেয়ারার বাগান গড়ে তুলেছেন। অনেক এলাকায় ধর্ণা দিয়ে বাগানের জন্য উন্নতমানের চারা সংগ্রহ করতে হয়।

সফল এই চাষি আরও বলেন, টেলিভিশন ও ইন্টারন্টের মাধ্যমে পরিবেশ বান্ধব ফসল উৎপাদনে পলিনেট হাউজের বিষয়ে জানতে পারি। এরপর দফায় দফায় যোগাযোগ করি উপজেলা কৃষি অফিসে। আমার আগ্রহ দেখে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পলিনেট হাউজ তৈরিতে সহায়তার আশ্বাস দেন।

আরও পড়ুন

পরবর্তীতে রাজশাহী বিভাগে কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ১৫ কাঠা জমিতে এই পলিনেট হাউজটি তৈরি করে দেয়। শুরুতে মুলা, গাঁজর, ধনিয়া, পালং ও লাল শাকসহ কয়েক ধরনের সবজির চাষ করা হয়েছিল। পলিনেট হাউজটি পরিবেশবান্ধব। পোকা-মাকড়ের আক্রমণ নেই। তাই এখানে উৎপাদিত সবজিতে কীটনাশক ব্যবহারের প্রয়োজন হয় না।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শায়লা শারমিন বলেন, পলিনেট হাউজ উন্নতমানের পলিওয়েল পেপারে আবৃত চাষযোগ্য কৃষি ঘর। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা করে নিরাপদ ফসল উৎপাদনে আধুনিক ও নির্ভরযোগ্য প্রযুক্তি।

কৃষি কর্মকর্তা আরও বলেন, এই প্রযুক্তি প্রয়োগে আর্দ্রতা ও তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে বছরব্যাপি উচ্চমূল্যের ফসল ফলানো যায়। এই প্রযুক্তিতে উৎপাদিত ফসল প্রাকৃতিক দুর্যোগেও নিরাপদ ও অক্ষত থাকে। কীটনাশক ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে না তাই এখানে উৎপাদিত সবজি বিষমুক্ত ও সম্পূর্ণ নিরাপদ। কৃষক হারুন অর রশীদ একজন সফল চাষি ও উদ্যোক্তা।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নওগাঁর মহাদেবপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত

উত্তরাঞ্চলে নানা আয়োজনে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

নওগাঁর আত্রাইয়ে ভ্যানচোর আটক

বগুড়ার শেরপুরে ইলেকট্রিক সামগ্রীর দোকানে আগুন

বগুড়া বারের তিন আইনজীবীর মৃত্যুতে ফুলকোর্ট রেভোরেন্স

নাটোরের বড়াইগ্রামে থার্টিফাস্ট পালনকালে ছাদ থেকে পড়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু