ভিডিও শুক্রবার, ০৩ জানুয়ারি ২০২৫

বিডিআর হত্যা

তদন্ত কমিশনে যারা রয়েছেন, যা করবেন

ছবি সংগৃহীত

বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা পুনঃতদন্তে সাত সদস্যের স্বাধীন কমিশন গঠন করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আজ মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) কমিশন গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রজ্ঞাপনে কমিশনের কার্যপরিধি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। কমিশনের সভাপতি হিসেবে রয়েছেন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আ ল ম ফজলুর রহমান। 

কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- মেজর জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. সাইদুর রহমান (বীর প্রতীক), অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম-সচিব মুন্সী আলাউদ্দিন আল আজাদ, অবসরপ্রাপ্ত ডিআইজি ড. এম আকবর আলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. শরীফুল ইসলাম এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক মো. শাহনেওয়াজ খান চন্দন।

প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কমিটিকে তিন মাস সময় দেওয়া হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তর, পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের নামে সংঘটিত বর্বরতম হত্যাযজ্ঞের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ রিট পিটিশনে (নং- ১২১৬১/২০২৪) একটি জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠনের মাধ্যমে পুনঃতদন্তের নির্দেশনা দিয়েছে।
 
তাই সরকার ‌‘কমিশন অব ইনকয়ারি অ্যাক্ট, ১৯৫৬’ এর সেকশন-৩ এর দেওয়া ক্ষমতাবলে ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তর, পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের নামে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞের সঙ্গে জড়িত দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র ও প্রকৃত ঘটনার স্বরূপ উদঘাটন, ঘটনায় হওয়া দুটি মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ছাড়াও, ঘটনার ষড়যন্ত্রকারী, ঘটনার সহযোগী, ঘটনার আলামত ধ্বংসকারী, ঘটনা সংঘটনকারী এবং ঘটনা সংশ্লিষ্ট অপরাপর বিষয় ও অপরাধীদের চিহ্নিত করতে এ জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করেছে।

কমিশনকে ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে সংঘটিত ঘটনার প্রকৃতি ও স্বরূপ উদঘাটন করতে বলা হয়েছে।

এছাড়া ঘটনাকালে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড ও অন্যান্য অপরাধ সংঘটনকারী, সহায়তাকারী, ষড়যন্ত্রকারী, ঘটনার আলামত ধব্বংসকারী, ইন্ধনদাতা এবং ঘটনা সংশ্লিষ্ট অপরাপর বিষয়সহ দেশি-বিদেশি সংশ্লিষ্ট অপরাধী ব্যক্তি, গোষ্ঠী, সংস্থা, প্রতিষ্ঠান, বিভাগ, সংগঠন ইত্যাদি চিহ্নিত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তদন্ত কমিশনকে।

ওই হত্যাকাণ্ডের সময় ও হত্যাকাণ্ডের আগ-পরে সংঘটিত অপরাপর অপরাধের স্বরূপ উদ্‌ঘাটন, দায়ী ব্যক্তি, গোষ্ঠী, সংস্থা, প্রতিষ্ঠান, বিভাগ ও সংগঠন চিহ্নিত করা এবং ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করা বা ঘটনা ঘটাতে সহায়তাকারী অন্যান্য দেশি-বিদেশি ব্যক্তি, গোষ্ঠী, সংস্থা, প্রতিষ্ঠান, বিভাগ ও সংগঠনের সম্পৃক্ততা নিরূপণ এবং দোষীদের চিহ্নিতকরণ করতে কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন

হত্যাকাণ্ডসহ সংঘটিত অপরাপর অপরাধ প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থতার জন্য দায়ীদের চিহ্নিতকরণ এবং ওই ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা ও সংশ্লিষ্ট মামলায় অভিযুক্তদের দায় বা অপরাধ অক্ষুণ্ণ রেখে সংশ্লিষ্ট মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি এমন প্রকৃত অপরাধীদেরকে তদন্ত প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করতে কমিটিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তদন্ত কমিশন বাংলাদেশের যে কোনো স্থান পরিদর্শন এবং সন্দেহভাজন যে কোনো ব্যক্তিকে কমিশনে তলব ও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। কমিশন, প্রয়োজনে, উপযুক্ত যে কোনো ব্যক্তিকে কমিশনের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ তদন্ত কমিশনকে সাচিবিক সহায়তাসহ সব ধরনের সহায়তা ও কমিশনের প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করবে। কমিশনকে সহায়তা করতে সরকারি যে কোনো কর্মচারীকে দায়িত্ব দেওয়া যাবে।

কমিশনের প্রধান ও সদস্যরা সরকার নির্ধারিত সরকারি পদমর্যাদা, বেতন ও সম্মানি এবং সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে কমিশন প্রধান বা কোনো সদস্য অবৈতনিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে চাইলে বা সুযোগ-সুবিধা না নিতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদন নিতে হবে।

এর আগে সোমবার দুপুরে পিলখানার বিজিবি সদরদপ্তরে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আপনারা সব সময় চেয়েছেন বিডিআর একটা কমিশন হোক। রোববার রাতে কমিশনটিতে প্রধান উপদেষ্টা সই করে দিয়েছেন। কমিশনের সদস্য সংখ্যা সাতজন।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিএনপির মিছিলে গুলি করা ডিবির সেই কনক গ্রেফতার

আমরা বিদেশি বন্ধু চাই, প্রভু চাই না: জামায়াত আমির

‘নির্বাচন তাদের জন্য যারা দেশের মাটিকে আমানত মনে করে’

যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে: ব্যারিস্টার খোকন

প্রজন্মের পর প্রজন্ম জানে না ভোট কী : ফখরুল

ঐশ্বরিয়াকে খারাপ কিছু বললে সহ্য করব না: অমিতাভ