ভিডিও বুধবার, ০৮ জানুয়ারি ২০২৫

বগুড়ার ধুনটে যমুনায় নৌকার নোঙরে নষ্ট জিও ব্যাগ, ভাঙনের ঝুঁকিতে বাঁধ

বগুড়ার ধুনটে যমুনায় নৌকার নোঙরে নষ্ট জিও ব্যাগ, ভাঙনের ঝুঁকিতে বাঁধ

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার ধুনটে যমুনার কুলে নৌকার নোঙরের আঁচড়ে তীর সংরক্ষন প্রকল্পের আওতায় নদীর তীরে ডাম্পিং করা বালুবর্তি জিও ব্যাগ ছিড়ে ক্ষতি করছে মাঝি-মাল্লারা। এতে ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে নদীর ডান তীর রক্ষা বাঁধ এলাকা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের পূর্ব পাশ দিয়ে বহমান যমুনা নদী। প্রতি বছরই দফায় দফায় নদী ভেঙে তীরবর্তী বিভিন্ন অবকাঠামো, আবাদি জমি ও বসতবাড়ি বিলীন হয়। এই ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে পানি উন্নয়ন বোর্ড নদীর তীর সংরক্ষনন প্রকল্পের কাজ করে। ২০১১ সালে এই প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়।

পর্যায়ক্রমে ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ তীর এলাকায় ভাঙনরোধে কাজ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এ কাজের অংশ হিসেবে নদীর তীরের বালুমাটি স্লোপ করে তার উপর জিও ব্যাগ বিছানো হয়। আবার কোথাও কোথাও নদীর ভাঙন স্থান মেরামতের জন্য মাটি স্লোপ করে তার উপর বালুবর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হয়েছে। এতে ব্যায় হয়েছে প্রায় ১০০ কোটি টাকা।

এছাড়া বর্ষা মৌসুমে পানির প্রবল স্রোতে ভাঙন শুরু হলে জরুরী ভিত্তিতে সংষ্কার কাজের অংশ হিসেবে সেখানে বালুবর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হয়। এই জিও ব্যাগ গুলো নদী তীরে ডাম্পিং এর পর থেকে শত বছর টেকসই হওয়ার কথা। এভাবে নদীর তীরে বালুভর্তি জিও ব্যাগ এবং সিসি ব্লক ডাম্পিং করায় ভাঙনরোধ হয়েছে।

আজ সোমবার (৬ জানুয়ারি) সরেজমিন যমুনা নদীর তীরে গিয়ে দেখা যায়, যমুনা নদীতে প্রতিদিন পণ্যবাহী ও যাত্রী পরিবহনের জন্য চলাচল করছে শত শত নৌকা। নদীর তীর থেকে এসব নৌকা বিভিন্ন গন্তব্যে পৌছে। মাঝি-মাল্লারা এসব নৌকা নদীর কুলে নোঙর করেছে।

আরও পড়ুন

তারা নৌকা গুলোর নোঙর (লোহার তৈরী) নদীর কুলের বালুভর্তি জিও ব্যাগের সঙ্গে আটকে রেখেছে। এতে করে ফালার ন্যায় নোঙরের আঁচড়ে জিও ব্যাগ ছিড়ে লন্ডভন্ড হয়ে ব্যাগ থেকে বালু বের হয়ে পড়ছে। ফলে ছেড়া জিও ব্যাগ গুলো আর টেকসই হচ্ছে না। বর্তমানে নদীতে পানি নেই তাই এর বিরুপ প্রভাব চোখে পড়ছে না। কিন্ত বর্ষা মৌসুমে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে প্রবল স্রোতে ছেড়া জিও ব্যাগ গুলো ভাটির দিকে ভেসে যাবে। তখন ডান তীর রক্ষা বাঁধ ভেঙে নদীতে বিলীন হবে।

এ বিষযে যমুনা তীরের নৌকার মাঝি-মাল্লারা জানান, নদীর কুলে নৌকা আটকে রাখার জন্য নোঙর ব্যবহার করা হয়। এতে বালুভর্তি জিও ব্যাগ গুলো ছিড়ে কিছুটা ক্ষতি হচ্ছে। তবে এভাবে নদীর তীর রক্ষা বাঁধের ক্ষতি হওয়ার কোন শংঙ্কা নেই। যমুনা নদীর ঘাটে নৌকা বেধে রাখার কোন ব্যবস্থা না থাকায় এ পদ্ধতি ব্যবহার করছে বলে জানান তারা।

এ বিষয়ে ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খৃষ্টফার হিমেল রিছিল বলেন, এ বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা ছাড়লেন খালেদা জিয়া

তেঁতুলিয়ায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা কমেছে পর্যটকের সমাগম

পাবনার সুজানগরে অতিথি পাখি নিধন

বগুড়ার ধুনটে আন্তঃজেলা চোর দলের ২ সদস্য গ্রেপ্তার, চোরাই মালামাল জব্দ

সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে যমুনায় জেগে ওঠা চরে কালিবোরো ধান রোপণ শুরু

বিমানবন্দরের পথে খালেদা জিয়া