বগুড়ার সোনাতলায় গাছের ডালে বসানো কলসিতে সংসার পাখিদের
সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার সোনাতলায় গাছের ডালে বসানো কলসিতে সংসার পেতেছে পাখিরা। আর এই পাখির কিচিরমিচির শব্দে মুখর হয়ে উঠেছে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার গড়ফতেপুর গ্রাম। প্রায় এক বিঘা জমিজুুড়ে বিভিন্ন গাছে বসানো হয়েছে পাখিদের জন্য মাটির কলসি।
নানা প্রজাতির ফলদ ও বনজ গাছ লাগিয়ে সবুজায়ন করা হয়েছে। এসব গাছের ডালে কলসি বসানো হয়েছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সোনাতলা পৌর এলাকার গড়ফতেপুর গ্রামসহ আরও তিনটি গ্রামের মানুষকে রক্ষায় স্বাধীনতার সময় মাটি দিয়ে উঁচু করে দেয়াল নির্মাণ করা হয়।
যদিও কালের পরিবর্তনে সেই দেয়াল আর নেই, কিন্তু গাছগাছালি ঠিকই আছে। সেই গাছগাছালি ও ছায়াঘেরা এলাকায় পথচারীদের বিশ্রামের জন্য ৭-৮ বছর আগে নির্মাণ করা হয় চৌচালা বিশ্রামখানা (‘বারামখানা’)। লালন গবেষক ড. আজাদুর রহমানের সহযোগিতায়ও তৎকালীন সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার শফিকুর আলমের তত্ত্বাববধানে সরকারিভাবে প্রতিষ্ঠা করা হয় পৌর এলাকার গড়ফতেপুর এলাকায় ‘বারামখানা’।
এর পাশে রয়েছে বিশাল মাঠ ও নদী। মাঠের চারপাশ ফুল ও ফলের গাছে ভরপুর। বারামখানা প্রতিষ্ঠার পর চারদিকে থাকা গাছগুলোয় পাখির বাসা তৈরির পরিকল্পনা করে স্থানীয় পরিবেশবাদী সংগঠন ‘পরিবেশ উন্নয়ন পরিবার’। পাখির অবাধ বিচরণের জন্য আরও কিছু গাছ লাগানো হয়। পাখিদের নিরাপদে বসবাসের জন্য গাছগুলোতে মাটির কলসি বেঁধে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনসেই কলসির মধ্যে বিভিন্ন প্রজাতির পাখিরা এসে খড়কুটো দিয়ে বাসা বাঁধতে শুরু করে। এলাকাটি তৈরি হয় পাখিদের অভয়ারণ্যে হিসেবে। সকাল-সন্ধ্যায় পাখিদের কলকাকলী আর কিচিরমিচির শব্দে পুরো এলাকা যেন নিমিষেই মুখরিত হয়ে ওঠে।
‘পরিবেশ উন্নয়ন পরিবার’র সভাপতি ইমরান এইচ মন্ডল বলেন, পরিবেশ সুন্দর রাখতে ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে আমাদের এ উদ্যোগ। যেহেতু বারামখানা চত্বরটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত একটি স্থান এবং আগে থেকেই এখানে পাখিদের বিচরণ রয়েছে, তাই পাখির জন্য বৃহৎ অভয়াশ্রম তৈরি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
মন্তব্য করুন