চার দেশের ভূখণ্ড নিয়ে ‘বৃহত্তর ইসরায়েলের’ মানচিত্র প্রকাশ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মধ্যপ্রাচ্যের চারটি আরব দেশের ভূখণ্ডকে অন্তর্ভুক্ত করে একটি কথিত ‘বৃহত্তর ইসরায়েলের’ মানচিত্র প্রকাশ করেছে তেল আবিব। নতুন মানচিত্রে ফিলিস্তিন, জর্ডান, সিরিয়া ও লেবাননের ভূখণ্ডকে বৃহত্তর ইসরায়েলের বলে দাবি করা হয়েছে। মানচিত্রের বিষয়টি সামনে আসতেই ফিলিস্তিন, জর্ডান ও সৌদি আরব এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। খবর : আরব নিউজ।
চলতি সপ্তাহে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই মানচিত্রটি ছড়িয়ে পড়ে। এতে ফিলিস্তিন, জর্ডান, সিরিয়া ও লেবাননের বিস্তীর্ণ ভূখণ্ড কথিত বৃহত্তর ইসরায়েলের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অধিকৃত পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র নাবিল আবু-রুদেইনে ওই মানচিত্রকে সব আন্তর্জাতিক আইন ও প্রস্তাবের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ইসরায়েলের দখলদারির নীতি, অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের হামলা এবং আল-আকসা মসজিদের বিরামহীন অবমাননা বন্ধ করতে জরুরি ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পদক্ষেপ নেয়া উচিত।
জর্ডানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইসরায়েলের পক্ষ থেকে প্রকাশিত মানচিত্রকে ‘উস্কানিমূলক ও ভিত্তিহীন’ বলে উল্লেখ করেছে। তারা বলছে, বর্ণবাদের ভিত্তিতে নেয়া ইসরায়েলি পদক্ষেপ যেমন জর্ডানের সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করতে পারবে না, তেমনি তা ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায়সঙ্গত অধিকারও লঙ্ঘন করতে পারবে না। ইসরায়েল সরকারকে অবিলম্বে এ ধরনের উস্কানিমূলক পদক্ষেপ ও বেপরোয়া বক্তব্য-বিবৃতি বন্ধ করতে বলেছে জর্দানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তা না হলে এসব পদক্ষেপ কেবল মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা বৃদ্ধি করবে। এছাড়া বুধবার ইসরায়েলি ওই মানচিত্রের নিন্দা ও প্রত্যাখ্যান করেছে সৌদি আরব। রিয়াদ বলেছে, এই ধরনের চরমপন্থি দাবি ইসরায়েলের উদ্দেশ্য প্রকাশ করে, যা তাদের দখলদারিকে সুসংহত করতে, রাষ্ট্রগুলোর সার্বভৌমত্বের ওপর প্রকাশ্য আক্রমণ চালিয়ে যেতে এবং আন্তর্জাতিক আইন ও নিয়ম লঙ্ঘন করতে চায়।
আরও পড়ুনসৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই অঞ্চল এবং জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি লঙ্ঘন বন্ধে তাদের ভূমিকা পালন করার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছে। এ ছাড়া অন্য দেশের সার্বভৌমত্ব এবং তাদের সীমানার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে সৌদি।
মন্তব্য করুন