সিরাজগঞ্জের তাড়াশে সরিষার ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করছেন মৌ-খামারিরা
তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : চলনবিল অধ্যুষিত তাড়াশ উপজেলার মৌ-খামারিরা এখন মধু সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সরিষার ফুলের মিষ্টি সুবাসে ভরে ওঠা মাঠের পরিবেশ মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত। মৌ-চাষিরা এলাকার বিস্তীর্ণ সরিষা ক্ষেতের পাশে মৌ-বাক্স বসিয়ে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত। এখানকার মধু দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহের পাশাপাশি বিদেশেও রপ্তানি হয়।
কৃষি অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলনবিলের তাড়াশ উপজেলায় এ বছর ১১ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশের নানা জেলা থেকে আসা ৩৫ থেকে ৪০ জন মৌ-চাষি প্রায় ১ হাজার ৫৫০টি মৌ-বাক্স স্থাপন করেছেন। এ মৌসুমে ৭০ থেকে ৮০ মেট্রিক টন মধু সংগ্রহের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
তাড়াশ উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের কুন্দইল গ্রামের কৃষক মোঃ সারদুল ইসলাম জানান, “এ বছর আগেভাগেই বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় নির্ধারিত সময়ের আগেই সরিষার চাষ শুরু করা সম্ভব হয়েছে। এর ফলে মৌ-চাষিরা মধু সংগ্রহের কাজ শুরু করেছেন। মৌমাছির পরাগায়নের ফলে সরিষার ভালো ফলনের সম্ভাবনায় আমরা আনন্দিত।
সাতক্ষীরা থেকে আসা সম্রাট মৌ খামারের মালিক শফিকুল ইসলাম বলেন, “সরিষার মাঠে প্রচুর ফুল ফুটেছে। তবে তীব্র ঠান্ডার কারণে কিছু মৌমাছি মারা যাচ্ছে। যদি কুয়াশা আর ঠান্ডা কমে যায়, মধু সংগ্রহ আরও ভালো হবে। আমরা আশা করছি, লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব হবে।
আরও পড়ুনতাড়াশ ডিগ্রি কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক চন্দ্র নারায়ন ভৌমিক বলেন, মৌ-চাষ একটি পরিবেশবান্ধব শিল্প। এটি ফসলের উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অল্প পুঁজিতে এপিস মেলিফেরা জাতের মৌমাছি পালন করে বেশি মুনাফা অর্জন সম্ভব।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, বিগত বছরের তুলনায় এ বছর সরিষার আগাম চাষ হয়েছে। ফুলের পরিমাণও পর্যাপ্ত। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভালো ফলন হবে। মৌ-চাষিরাও সফলভাবে সরিষার ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করতে পারবেন।”
মন্তব্য করুন