বগুড়ার আদমদীঘিতে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে মারপিটের অভিযোগ
আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার আদমদীঘিতে যৌতুকের দাবিতে আয়েশা সিদ্দিকা (১৯) নামের এক গৃহবধূকে তার ভাসুরসহ পরিবারের লোকজন মারপিটে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে গৃহবধূ নিজেই বাদি হয়ে তার ভাসুর আলিফ হোসেন, আব্দুল খালেকসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদমদীঘি থানায় একটি লিখিত এজাহার করেছেন। আয়েশা সিদ্দিকা উপজেলার কাশিমালা গ্রামের রোস্তম আলীর মেয়ে এবং সান্তাহার লকু সিভিল কলোনির হাসান আলীর স্ত্রী।
গৃহবধূ আয়েশা সিদ্দিকার বাবা রোস্তাম আলী জানান, তার মেয়ের প্রায় দেড় বছর আগে সান্তাহার লকু সিভিল কলোনির হাসান আলীর সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তারা সুখেই ছিল। কিন্তু এতে বাঁধসাধে আয়েশার ভাসুর আলিফ হোসেনসহ তার পরিবারের লোকজন।
প্রায় এক বছর আগে থেকে ভাসুরসহ পরিবারের লোকজন দেড় লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে তার মেয়ে আয়েশা সিদ্দিকাকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করতো। এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ২৫ মে আয়েশা সিদ্দিকা ভাসুর আলিফ হোসেনসহ চারজনের বিরুদ্ধে বগুড়ার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১০৭/১১৭ ধারায় একটি আবেদন করেন। বিবাদীরা আদালতে মুচলেকা দিয়ে খালাস পান।
আরও পড়ুনএরপর বিবাদীরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে দেড় লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে পুনরায় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন অব্যাহত রাখেন। গতকাল সোমবার সকালে সান্তাহার বাসায় আয়েশা সিদ্দিকাকে তাদের দাবির যৌতুকের টাকা দিতে চাপ দেন। এতে আয়েশা সিদ্দিকা অপরাগতা জানালে ভাসুর আলিফ হোসেন, আব্দুল খালেকসহ পরিবারের লোকজন তাকে মারপিটে জখম ও আসবাবপত্র তছনছ করেন।
পরে তার বাবাসহ স্থানীয় লোকজন আহত আয়েশা সিদ্দিকাকে উদ্ধার করে আদমদীঘি হাসপাতালে ভর্তি করেন। আয়েশার স্বামী হাসান আলী বলেন, তাকেও মারধর করা হয়েছে। যৌতুকের দাবি তার নয় তার ভাইয়েরা এ দাবি করেছেন। আদমদীঘি থানার ডিউটি অফিসার এএসআই আমজাদ হোসেন অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মন্তব্য করুন