ভিডিও বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫

তিস্তার ধু-ধু বালুচরে বাহারি ফসল

তিস্তার ধু-ধু বালুচরে বাহারি ফসল। ছবি : দৈনিক করতোয়া

রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : এক সময় উত্তরের মঙ্গার কথা এলেই সামনে আসতো নদ-নদী আর চরাঞ্চলের মানুষের কথা। চরাঞ্চলের কথা এলেই মানুষ ভেবে নেন কুড়িগ্রামের রাজারহাটের তিস্তার চর। বর্ষায় যতদূর চোখ যেত তিস্তায় ততদূরে থৈ-থৈ পানি আর শুষ্ক মৌসুম হলেই তো ধূ-ধূ বালুর মরুভূমি। তিস্তা নদীর চরে সময়ের বিবর্তনে মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের হাতছানি দিয়েছে চাষাবাদ। ১২ মিশালী ফসল আর সবজি দিচ্ছে কোটি টাকার হাতছানি। ব্যাপক সম্ভাবনাময় তিস্তার চরগুলো।

সরেজমিনে রাজারহাট উপজেলার বিভিন্ন চর ঘুরে দেখা যায়, রূপালী বালুর চাদরে ঘিরে সবুজ সমারোহ এ যেন আরেক অপরূপ লীলাভূমি। যতদূর চোখ পড়ে ততদূরে বিস্তৃত চরাঞ্চল ভরে গেছে বাদাম, তিল, তিসি, ভুট্টা, গম, পেঁয়াজ, রসুন ও আলুর মতো নানা অর্থকারী ফসলের সমারোহে। কৃষকরা এখন ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।

সূত্র মতে, ২০২৫ সালে বাদাম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ১৭৫ হেক্টর, ভূট্টা ৪২০ হেক্টর, আলু ২ হাজার ৭৬০ হেক্টর, সরিষা ১ হাজার ৩৬০ হেক্টর, পেঁয়াজ ১২০ হেক্টর, মিষ্টি কুমড়া ৪৫ হেক্টর ও গম ৭৫ হেক্টর জমিতে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে রাজারহাট উপজেলা কৃষি বিভাগ।

রাজারহাট উপজেলার রামহরি চর এলাকার জিয়াউর রহমান (৪৫) নামের এক কৃষক বলেন, ২ একর জমিতে আলু চাষ করেছি। ফলন মোটামুটি ভালো হয়েছে, বাজার ভাল থাকলে দাম ভালো পাওয়া যাবে। এক সময়ে এই জমিগুলোতে চাষাবাদ হত না।

এখন সবধরনের চাষাবাদ হয়, আগের মঙ্গা আর নেই বললেই চলে। এছাড়া ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের খিতাব খাঁ গ্রামের ইউসুফ আলী (৫০) এক একর জমিতে, সাইফুল ইসলাম (৪০) ৩ একর জমিতে, জাকির হোসেন ৫ একর জমিতে আলু চাষ করেছে। কিন্তু আলুর বাজারে ধ্বস নেমে আসায় তাদের কপাল কুচকে গেছে।

আরও পড়ুন

একই গ্রামের মফিজ উদ্দিন (৫৫) ২বিঘা জমিতে সরিষা, গোপাল বসুনিয়া (৬৫) ২একর জমিতে ভূট্টা, সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুস সাত্তার মন্ডল বাবু (৫২) ২একর জমিতে মিষ্টি কুমড়া ও আবুল কালাম আজাদ (৫২) ১ একর  জমিতে গম চাষ করেছে।

ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের খিতাব খাঁ গ্রামের খায়রুল ইসলাম বলেন, এক একর জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছি। বিঘা প্রতি ২০-২৫ মণ পেঁয়াজ পাওয়া যাবে। তবে পেঁয়াজের বাজার ভাল নয়। ঢাকার পাইকাররা এলে ভাল বাজার পাওয়া যেত এবং লাভবান হতাম।

রাজারহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুন্নাহার সাথী বলেন, চলতি বছর গত বছরের চেয়ে আলু সবচেয়ে বেশি জমিতে আবাদ বেশি হয়েছে। পেঁয়াজ যে পরিমাণে চাষ করেছে তাতে লোকাল মোটামুটি জোগান দিবে। বিভিন্ন বাজারে বাজারজাত করার জন্য অনেক প্রতিষ্ঠানে সাথে আলোচনা চলছে। যাতে করে এলাকার বাইরে সকল কৃষি পণ্য সরবরাহ করা যায়। কৃষি বিভাগের বিভিন্ন কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে পরামর্শ ও সহযোগিতা করে যাচ্ছে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

হোটেল-রেস্তোরাঁয় ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ মানে ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’

প্রমত্ত পদ্মার বুকে এখন ধু ধু বালুচর

বগুড়ার কাহালুতে হেরোইনসহ স্বামী-স্ত্রী গ্রেপ্তার

তিস্তার ধু-ধু বালুচরে বাহারি ফসল

বগুড়ার ধুনটে কলেজছাত্র হত্যা মামলায় বাবা-ছেলেসহ গ্রেপ্তার ৩

লালমনিরহাট সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ায় এবার বোতল ঝুলিয়েছে বিএসএফ