বগুড়ায় ছিনতাইকারি গ্যাং এর ৪ সদস্য গ্রেপ্তার, বিদেশি পিস্তল, গুলি ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার
স্টাফ রিপোর্টার: বগুড়ায় একটি বিদেশি পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি ও ৬টি ধারালো অস্ত্রসহ ছিনতাইকারি গ্যাং এর ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে সদর থানার পুলিশের একটি টিম তাদের গ্রেপ্তার ও ধারালো অস্ত্রগুলো উদ্ধার করে।
শুক্রবার বিকেল ৩ টায় সদর থানা চত্তরে আয়োজিত প্রেসব্রিফিংকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া ও ট্রাফিক) সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, গোপন সূত্রে সংবাদ পেয়ে বৃহস্পতিবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে শহরের রহমান নগরে জিলাদারপাড়ায় একাধিকছিনতাই ও অস্ত্র মামলার আসামি মো: জিহাদ (২৩) এর ভাড়া বাড়িতে অভিযান চালানো হয়।
অভিযানকালে তার শয়ন কক্ষ থেকে জিহাদকে গ্রেপ্তার করে তার দেহ তল্লাশি করা হয়। দেহ তল্লাশিকালে সে স্বীকার করে যে, তার কাছে একটি অবৈধ বিদেশি পিস্তল.গুলি ও ধারালো অস্ত্র রয়েছে। সে এই অস্ত্র ও গুলি তার কক্ষে লুকিয়ে রেখেছে। এরপর তার দেখানো মতে তার কক্ষের টেবিলের ওপরে থাকা লাল রং এর একটি পুতুলের মধ্যে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা একটি বিদেশি পিস্তল, ৭.৬৫ বোরের ৩টি গুলিসহ ১টি ম্যাগজিন উদ্ধার করা হয়। সেইসাথে শয়ন কক্ষের খাটের নিচ থেকে ৬টি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। ধারালো অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ২টি ছোরা, ১টি চাপাতি, ১টি দা ও ২টি হাসুয়া।
গ্রেপ্তারকৃত জিহাদ রহমান নগর জিলাদারপাড়ার মৃত আব্দুস সালামের ছেলে । এরপর তার স্বীকারোক্তি তার তিন সহযোগীকেও খান্দার ও মালগ্রাম এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুনগ্রেপ্তারকৃত তার তিন সহযোগীরা হলো, শহরের মালগ্রাম মধ্যপাড়ার মৃত রাঘুর ছেলে মো: রাসু (২০), ইসলামপুর হরিগাড়ি এলাকার চাঁন মিয়ার ছেলে আরিফ আহমেদ কবির (২৪) ও সুত্রাপুরের সাইদুল ইসলামের ছেলে রিয়াদ (১৯)। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন প্রেসব্রিফিংকালে আরও বলেন, পুলিশ সুপার মো: জেদান আল মুসার নির্দেশনায় এই অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে অংশ নেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( সদর সার্কেল) মো: মোস্তফা মুঞ্জুর,সদর থানার ওসি এস.এম মঈনুদ্দীন, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) এ,কে.এম মঈন উদ্দিনসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যরা।
এদিকে সদর থানার ওসি এস.এম মঈনুদ্দীন জানান, গ্রেপ্তারকৃত ৪ জন একটি ছিনতাই গ্যাং এর সক্রিয় সদস্য। শহর জুড়ে মোটর সাইকেলযোগে তারা ছিনতাই করে থাকে। কিছুদিন আগে তারা বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ নতুন ভবনের সামনে এক ব্যক্তির কাছ থেকে সাড়ে ১০ লাখ টাকা ছিনতাই করে। সে সময় ছিনতাইকৃত টাকার মধ্যে ৯৯ হাজার টাকা উদ্ধারও করা হয়েছে। শুধু এই স্থানই নয়,লাল রং এর ওই মোটর সাইাকেলযোগে তারা শহরের সুত্রাপুর, খান্দারসহ বিভিন্ন স্থানে ছিনতাই করে আসছিল। গতকাল শুক্রবার বিকেলে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
মন্তব্য করুন