ভিডিও শনিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫

নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তায়  ঠাকুরগাঁওয়ে মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণ প্লান্ট কাজ করছে

নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তায়  ঠাকুরগাঁওয়ে মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণ প্লান্ট কাজ করছে। ছবি : দৈনিক করতোয়া

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁও জেলায় নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তার উদ্দেশ্যে একটি আধুনিক মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণ প্লান্ট স্থাপন করা হয়েছে। বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে গরু জবাই ও মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে নিরাপদ গরুর মাংস।

এই উদ্যোগ খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি স্থানীয় যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুরে স্থাপিত এই প্লান্টে স্থানীয় প্রান্তিক খামারিদের কাছ থেকে গরু সংগ্রহ করা হয়। এতো স্থানীয় খামারিরা স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি অর্থনীতিকে আরও সমৃদ্ধ করছে।

আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল (ইফাদ), ডেনমার্ক দূতাবাস (ড্যানিডা) এবং পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)-এর আর্থিক সহায়তায় ইকো সোশ্যাল ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও) বাস্তবায়িত রুরাল মাইক্রো এন্টারপ্রাইজ ট্রান্সফরমেশন প্রজেক্ট (আরএমটিপি)-এর আওতায় এই প্লান্টটি স্থাপিত হয়েছে। 
প্লান্টের উদ্যোক্তা মাসুম বিল্লাহর নেতৃত্বে এটি একটি নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণের পর এটি প্রতি কেজি ৬৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

উদ্যোক্তা মাসুম বিল্লাহ বলেন, আমাদের ভিলেজ মিট এর লক্ষ্য হলো গ্রাহকদের কাছে নিরাপদ মাংস পৌঁছে দেওয়া। আমরা শতভাগ স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাংস প্রক্রিয়াজাত করছি এবং অনলাইন ও অফলাইন উভয় মাধ্যমেই বিক্রি করছি। এই উদ্যোগে ইএসডিও ও পিকেএসএফ-এর সহযোগিতা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।

আরও পড়ুন

"নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতের অঙ্গীকার নিয়ে আরএমটিপি প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ডা. বাবুল চন্দ্র বলেন, "এখানে কনট্রাক্ট খামারিদের মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর উপায়ে গরু মোটাতাজাকরণ করা হয়। গরুগুলো পর্যবেক্ষণের পর শতভাগ স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে হালাল উপায়ে জবাই করা হয় এবং প্যাকেটজাত করে বাজারে সরবরাহ করা হয়। এই মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণ প্লান্ট ঠাকুরগাঁও জেলায় খাদ্য নিরাপত্তা ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এটি স্বাস্থ্যসচেতন ভোক্তাদের জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর মাংস সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণ প্লান্ট থেকে মাংস কিনে সন্তুষ্ট গ্রাহকরা।  ঠাকুরগাঁওয়ের এক বাসিন্দা, রেজাউল করিম বলেন, "আমরা আগে বাজারের মাংস নিয়ে সব সময় শঙ্কিত থাকতাম। কিন্তু এখান থেকে মাংস কিনে আমরা নিশ্চিত হতে পারি যে এটি নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যসম্মত।

"আরেক গ্রাহক, গৃহিণী নাহিদা সুলতানা জানান, "এই প্লান্ট থেকে মাংস কেনার পর রান্না করতে সুবিধা হয়। কারণ এটি পরিষ্কার এবং তাজা। অনলাইনে অর্ডার দেওয়ার পর সময়মতো বাসায় ডেলিভারিও পেয়ে যাচ্ছি।
স্থানীয় রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম বলেন, "আমাদের রেস্তোরাঁর জন্য আমরা এখান থেকে নিয়মিত মাংস ক্রয় করে থাকি। এর মান খুব ভালো এবং আমাদের গ্রাহকরাও সন্তুষ্ট। এই প্লান্ট আমাদের ব্যবসার জন্য বড় সুবিধা এনে দিয়েছে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কলরেট ও ইন্টারনেট নিয়ে সুখবর

মায়ের জন্য দোয়া চাইলেন তারেক রহমান

‘লাল সন্ত্রাস’ ঘোষণাকারী মেঘমোল্লার বসুকে গ্রেপ্তারের দাবি সমন্বয়ক মাহিনের

ইডেন কলেজ ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

ইমাম-মুয়াজ্জিন ও খাদেমরা পাবেন সম্মানী ভাতা, কে কত?

আজ সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি