কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে
সেই আদিকাল থেকেই আমাদের সমাজে বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষের বসবাস। কেউ কৃষক, শ্রমিক, জেলে, তাঁতি, কামার, কুমার প্রভৃতি। এ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজন মিটাচ্ছে।
কৃষক যদি খাদ্যের যোগান না দেয় তাহলে খাদ্য উৎপাদন করবে কে? শ্রমিক যদি কলকারখানায় কাজ না করে তাহলে আমাদের শিল্প উৎপাদন থেমে যাবে। ঠিক তেমনিভাবে অন্যান্য পেশার মানুষ যদি তাদের স্ব স্ব পেশা থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেয় তাহলে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে সমাজে। এ সমস্ত মানুষগুলো অল্পতেই তুষ্ট। তারা রাজনীতি বোঝেনা, সমাজনীতি বোঝেনা। তারা দুর্নীতি বোঝেনা। তারা শুধু চায় তাদের জীবনটা যেন সুখে শান্তিতে কাটে। প্রকৃতপক্ষে এরাই আমাদের শক্তি।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়েন। ড. ইউনূসকে প্রধান করে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের ৫৩বছরে নানা প্রতিকূলতার মাঝেও প্রবৃদ্ধি অর্জন ও দেশ এগিয়ে চলেছে। ক্রমশঃ আমাদের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হচ্ছে। কৃষি, পোশাক শিল্প ও প্রবাসি আয় এ তিনটি গুরুত্বপূর্ণ খাত যা আমাদের অর্থনীতিকে করছে সমৃদ্ধ।
পৃথিবীর প্রায় অধিকাংশ রাষ্ট্রের অর্থনীতির মূলভিত্তি কৃষি। মূলত কৃষির ওপর নির্ভর করেই জীবন জীবিকা নির্বাহ হয়। আবহমানকাল থেকে বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ হিসেবে বিশ্বে সুপরিচিত। বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। পরির্তন হচ্ছে দেশের অর্থনীতি। মানুষের জীবন যাত্রার মান বেড়েছে। দারিদ্র ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে। এক সময় মঙ্গা নামক এ শব্দটি দেশের উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের মধ্যে এক আতংকের নাম ছিল।
গরীব, অসহায় মানুষগুলোর জীবনকে চরম দুর্বিষহ করে তুলেছিল। সে শব্দ এখন ভুলে যাওয়া। বর্তমান অর্থনীতির ধারা যদি চলমান রাখা যায় তাহলে অদূর ভবিষ্যতে মঙ্গা নামক শব্দটি আর উত্তরাঞ্চলের সাধারণ মানুষকে তাড়া করবে না। যা হোক রোগ, শোক, দুঃখ, দারিদ্র এখনও আছে। কিন্তু এর সঙ্গে যুদ্ধ করে টিকে থাকার মতো মানুষের মনোবল বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে এমন কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ খাত রয়েছে। এ খাতগুলোর মধ্যে প্রধানমত হচ্ছে কৃষি, তৈরি পোশাক, বৈদেশিক মুদ্রা ইত্যাদি। মূলত বলা যায় এ ৩টি খাত বাংলাদেশের অগ্রসরমান অর্থনীতির ধারাকে সচল রেখেছে। বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ হিসাবে কৃষির গুরুত্ব অপরিসীম। কৃষক মাঠে ময়দানে কাস্তে, লাঙল, জোঁয়াল কাঁধে নিয়ে ক্ষুধা মুক্তির সংগ্রামে দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের কৃষকের চেয়ে আমাদের কৃষকের বুদ্ধি, মেধা অনন্য।
একজন কৃষক তার নিজস্ব অভিজ্ঞতা ও পরিকল্পনায় বছরে প্রায় ৪টি ফসল উৎপাদনের মত এমন দক্ষ কৃষক পৃথিবীতে আছে বলে আমার জানা নেই। ক্ষুধা মুক্তির রণাঙ্গনে আমাদের কৃষক যেন মুক্তিসেনা। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে বুদ্ধি কৌশলে তাদের উৎপাদিত ফসল দ্বারা বাংলাদেশক দাঁড় করিয়েছে চীন, ভারত, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্রের মত বৃহৎ রাষ্ট্রের সারিতে।
বাংলাদেশের কৃষক একদিন দেশকে নিয়ে যাবে উন্নত রাষ্ট্রের কাতারে। আমাদের স্বাধীনতার ৫৩ বছরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে সাফল্য রয়েছে তার মধ্যে আমাদের কৃষি ও কৃষকের সাফল্য সবচেয়ে বড় অর্জন। কিন্তু কৃষি যে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে এর মূল চালিকাশক্তি আমাদের কৃষক। এমনকি যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ, দুর্ভিক্ষ মোকাবেলায় আমাদের কৃষকের যথেষ্ট সাহস কৌশল ও দ্ক্ষতা রয়েছে যা অস্বীকার করা যায়না।
এ খাতের উন্নয়ন হলেও এ খাতের সাথে যারা জড়িত সে অবহেলিত কৃষক সমাজের তেমন উন্নয়ন ঘটেনি। তাই কৃষকের স্বার্থ রক্ষা করতে হবে। বর্তমান খাদ্যের স্বয়ংসম্পূর্ণতার যে ইতিহাস রচিত হয়েছে এর সিংহভাগ কৃতিত্ব কৃষক সমাজের। ফলে ধীরে ধীরে বদলে যাচ্ছে দেশের অর্থনীতির ধরন। কৃষির উন্নয়নের সাথে শিল্পের উন্নয়ন হচ্ছে। ফলে কৃষি ভিত্তিক অর্থনীতির সাথে শিল্পভিত্তিক অর্থনীতির পথে হাঁটছে বাংলাদেশ। এ অবস্থায় বাংলাদেশের অর্থনীতি অগ্রগতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
আমরা জানি বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ একটি ছোট্ট দেশ। বর্তমানে বাংলাদেশের জনসংখ্যা প্রায় ১৭ কোটি। পাশাপাশি দেশটি কৃষি প্রধান। সে আদি যুগ থেকে মানুষ কৃষি কাজের সাথে জড়িত। আর এ কাজের সঙ্গে যারা জড়িত তারা সাধারণত কৃষক সমাজ। ক্রমাগতভাবে জনসংখ্যা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কারণে দেশের খাদ্য উৎপাদন বাড়ানো জরুরি হয়ে পড়ে।
বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ হওয়ায় এদেশের কৃষক সমাজ কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন করে। বাংলাদেশে কৃষি অর্থনীতির মূলভিত্তি। কৃষকরা মাঠে ময়দানে বিভিন্ন ধরনের ফসল ফলায়। তারা দেশকে ভবিষ্যৎ খাদ্য নিরাপত্তার ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে।
কৃষি অর্থনীতির মূল ভিত্তি হওয়ায় অবহেলিত কৃষক সমাজ ঝড়, বৃষ্টি,বর্ষা-বাদল উপেক্ষা করে তারা ফসল উৎপাদন করে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে যাচ্ছে। বিশ্বের যেসব দেশ কৃষির ওপর নির্ভরশীল সেসব দেশের কৃষক সম্প্রদায়ই অর্থনীতির ভিত্তিকে সুদৃঢ় করেছে। সে হিসেবে বাংলাদেশ ও তার ব্যতিক্রম নয়। কেননা আবহমান কাল থেকে এদেশে কৃষি প্রধান দেশ হিসাবে সারা বিশ্বে পরিচিত। তাই বর্তমানে কৃষি খাতের দেশের যে অগ্রগতি বা খাদ্য উদ্বৃত্ত সেটা কৃষকের অবদান। তারাই আমাদের অন্নের যোগানদাতা।
বদলে যাওয়া আবহাওয়া, বৈশ্বিক অর্থনীতির ভীত দুর্বল হওয়া, খাদ্য সংকটের আশঙ্কার প্রেক্ষাপটে কৃষি ও কৃষকের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের কৃষক নিজর কথা না ভেবে রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে কঠোর পরিশ্রমে পবিত্র ঘামে রচনা করে যাচ্ছে কৃষি উৎপাদনের এক মহাকাব্য। কিন্তু দুর্ভাগ্য, কৃষক অধিকাংশ সময় ফসলের ন্যায্য মূল্য পাননা। অথচ বাংলাদেশের কৃষি যেভাবে অগ্রগতি হয়েছে সে অনুযায়ী আমাদের কৃষকের উন্নয়ন হয়নি।
আরও পড়ুনএকজন কৃষক লাঙ্গল জোয়াল কাঁধে নিয়ে ফসল উৎপাদন করে খাদ্যের যোগানদাতা হিসাবে আমাদের অন্ন যোগায়। কৃষক যদি খাদ্যের যোগান না দেয় তাহলে আমাদের অন্ন যোগাবে কে? তাহলে মানব সমাজ চরম সংকটের মুখে পড়বে। এতে দেশের জাতীয় অর্থনীতির গতি শূন্যের কোটায় দাঁড়াবে এবং চরমভাবে খাদ্য সংকটের মধ্যে পড়বে দেশ। তাই,কৃষকের স্বার্থ রক্ষা করতে হবে। বর্তমান আলু মৌসুমে আলু নিয়ে কৃষকের যেন স্বপ্ন ভঙ্গ না হয়। এবিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে নজর দেওয়া জরুরি বলে আমরা মনে করি।
এ কথা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই যে, এ দেশের মানুষ খুবই কষ্ট সহিষ্ণু। তারা প্রতিনিয়ত নানা ধরনের সমস্যা মোকাবেলা করছে। সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রানান্তর চেষ্টায় তারা বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত। দেশ বিদেশি নানা কাজে নিয়োজিত থেকে অর্থ উপার্জনের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখছে। তাই বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণভোমরার ভূমিকায় পালন করছে বিদেশে কর্মরত প্রায় ৮০ লাখ কর্মজীবী নারী পুরুষ।
তাদের প্রেরিত অর্থ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে ভারী করছে। শত প্রতিকূলতার মাঝেও বাংলাদেশকে সোজা হয়ে দাঁড়ানোর শক্তি যোগাচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের কর্মরত শ্রমিকরা তাদের পাঠানো অর্থ এক দিকে তাদের পরিবারকে স্বাচ্ছন্দে রাখছে, অন্যদিকে বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিতকে মজবুত করছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের জনশক্তি রপ্তানিতে যেসব দেশে নিয়ম কানুন বা বাধা বিপত্তি রয়েছে তা দূর করে জনশক্তি রপ্তানীতে স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠার যে প্রয়াস চলছে তা অব্যাহত রাখতে হবে।
কেননা সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে তাদের কর্মপ্রচেষ্টা ও বৈদেশিক অর্থ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বিদেশে কর্মরত শ্রমিকরা বা চাকরীজীবির আয় বাংলাদেশের প্রতিমাসে বৈদেশিক মুদ্রা আসে ২’শ কোটির অধিক। বর্তমান বাংলাদেশের জনসংখ্যা প্রায় ১৭কোটি। এ বিপুল জনগোষ্ঠীকে যদি প্রকৃত শিক্ষা, মনন, মেধায় গড়ে তোলা যায় তাহলে তারা হবে দেশের সম্পদ। কারণ মানুষের শ্রম মেধা কাজে লাগিয়ে দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি সম্ভব।
তাই বিপুল জনগোষ্ঠীকে যদি সত্যিকার অর্থে দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করা যায় তাহলে বাংলাদেশ দ্রুত উন্নত রাষ্ট্রের সারিতে পৌঁছে যাবে। এজন্য প্রয়োজন একটি সুচিন্তিত মানব সম্পদ উন্নয়ন নীতিমালা এবং বিজ্ঞান প্রযুক্তি নির্ভর কারিগরি শিক্ষার প্রসারের মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থানের পথ তৈরি করা। শুধু বিদেশি রেমিটেন্স নয় আমাদের তৈরি পোশাক শিল্প খাত জাতীয় অর্থনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। শুরু থেকেই বাংলাদেশের পোশাক বিদেশিদের দৃষ্টি আকর্ষন করেছে।
হাঁটি হাঁটি পা পা করে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রশংসা অর্জনের পাশাপাশি ক্রমান্বয়ে এর চাহিদাও বাড়ছে। এই শিল্প প্রায় ১.৫ বিলিয়ন লোকের কর্মসংস্থানের সুব্যবস্থা করেছে। একই সাথে অর্জন করছে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা যা আমাদের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করছে। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার পোশাক শিল্পের তৈরি পোশাক বিদেশে রপ্তানির অর্থ জাতীয় অর্থনীতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিনত হয়েছে।
সুতরাং আমরা বলতে পারি বাংলাদেশ থেকে বিদেশে অবস্থানরত বিভিন্ন শ্রমিকের পাঠানো রেমিটেন্সের পর বৈশিক মুদ্রা আয়ের সবচেয়ে বড় খাত পোশাক শিল্প। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক দেশের অগ্রগতি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে কিরূপ অবদান রাখছে। এক কথায় বলতে গেলে বাংলাদেশে রেমিটেন্সের পর বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সবচেয়ে বড় খাত পোশাক শিল্প। সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে এ শিল্পকে শীর্ষে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। তবে কিছু অসুবিধা, প্রতিবন্ধকতা রয়েছে যা দূর করা জরুরি।
রাজনৈতিক অস্থিরতা, ভবন ধস, অগ্নিকান্ড, উপযুক্ত কর্মপরিবেশের অভাব ইত্যাদি। কিন্তু এত কিছু অসুবিধার মধ্যেও এ শিল্প বহির্বাণিজ্যে অনেক দূর এগিয়েছে। বাংলাদেশকে তুলে ধরেছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের একটি উজ্জল সম্ভাবনা রয়েছে। ভবিষ্যতে এ শিল্পের আরও বিকাশ ঘটাতে হলে এ শিল্পে বিদ্যমান সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা দূরীকরণের উদ্যোগ নিতে হবে।
আমাদের পোশাক শিল্পের সমস্যা নিয়ে বিশ্ব ব্যাংক এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছিল, অগ্নিকান্ড, কর্মপরিবেশ, শ্রমিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা গেলে এ শিল্প থেকে রপ্তানী আয় ৪২বিলিয়ন ডলার উন্নীত করা সম্ভব। সুতরাং কোনো কারণে যেন, এ শিল্পের উজ্জল সম্ভাবনা বিনষ্ট না হয় সেদিকে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে অবশ্যই নজর দিতে হবে।
সুতরাং আমাদের অর্থনীতির সমৃদ্ধির জন্য যা যা দরকার তার সবগুলোই বাংলাদেশে রয়েছে। কৃষি, পোশাক শিল্প ও প্রবাসি আয়ের ক্ষেত্রে যারা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে বিশেষ করে পোশাক শিল্পে কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা খুবই জরুরি। তাছাড়া কৃষকের স্বার্থ ও বিদেশে কর্মরত নারী শ্রমিকের শারীরিক, মানসিক নির্যাতন ও নানা হয়রানির সম্মুখিন তা বন্ধে অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা অতি জরুরি।
মোহাম্মদ নজাবত আলী
লেখকঃ সাবেক শিক্ষক ও কলামিস্ট
সহকারী শিক্ষক (অবঃ)
চামরুল উচ্চ বিদ্যালয়
দুপচাঁচিয়া, বগুড়া।
মন্তব্য করুন