ভিডিও শনিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫

গাজার পূর্ণ দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ : আব্বাস

গাজার পূর্ণ দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ : আব্বাস, ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গাজা উপত্যকার পূর্ণ দায়িত্ব নিতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত আছে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ফিলিস্তিনের সরকারি জোট ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ)। 

শুক্রবার ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট এবং পিএ জোটের বৃহত্তম শরিক ফাতাহের শীর্ষ নেতা মাহমুদ আব্বাসের দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে এ তথ্য। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট আব্বাসের নির্দেশনা অনুযায়ী গাজা উপত্যকার পূর্ণ দায়দায়িত্ব নিতে যাবতীয় প্রস্তুতির শেষ করেছে ফিলিস্তিনের সরকার। এই দায়িত্ব পালনের জন্য যেসব প্রশাসনিক ও নিরাপত্তা টিম প্রয়োজন, সেসব গঠনের কাজও শেষ হয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার গাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের ফিরিয়ে আনা, পানি ও বিদ্যুৎসহ জরুরি সব পরিষেবা ফের চালু করা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা এবং উপত্যকার ভবন, রাস্তাঘাট ও অবকাঠামো পুনর্গঠনের কাজে নেতৃত্ব দেবে পিএ।

গাজা উপত্যকায় এক সময় ফাতাহ ক্ষমতাসীন ছিল। ২০০৬ সালের নির্বাচনে সেখানে হামাস জয়ী হয়। তারপর ২০০৭ সাল শেষ হওয়ার আগেই ফাতাহকে উপত্যকা থেকে বিদায় করে হামাস। বস্তুত ২০০৬ সালের পর আর কোনো নির্বাচন হয়নি গাজায়। ফলে, গত প্রায় ১৯ বছর ধরে উপত্যকা নিয়ন্ত্রণ করছে হামাস। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে যে অতর্কিত হামলা ঘটেছিল, তার মূল পরিকল্পনাকারী এবং নেতৃত্বের ভূমিকায়ও ছিল হামাস। নজিরবিহীন সেই হামলায় নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ জন। পাশাপাশি ২৫০ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে গিয়েছিল হামাস ও প্যালেস্টাইনিয়ান ইসলামিক জিহাদের যোদ্ধারা।

আরও পড়ুন

হামলার জবাব দিতে এবং আটক জিম্মিদের উদ্ধার করতে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী, যা পুরোপুরি শেষ হচ্ছে আগামীকাল রোববার। ১৫ মাসের ভয়াবহ এই অভিযানে গাজায় নিহত হয়েছেন ৪৬ হাজার ৭ শতাধিক এবং আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ১৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। এছাড়া উপত্যকার প্রায় ২২ লাখ জনসমষ্টির অধিকাংশই বাড়িঘর ছেড়ে উদ্বাস্তু হতে বাধ্য হয়েছেন। ইসরায়েলি বাহিনীর টানা বোমা বর্ষণে গাজার ৬০ শতাংশেরও বেশি ভবন সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। বিদ্যুৎসহ অন্যান্য জরুরি পরিষেবা কাঠামো ভেঙে পড়েছে এবং ধ্বংসস্তুপের যে পরিমাণ জঞ্জাল সেখানে জমেছে, তা সম্পূর্ণ পরিষ্কার করতে ১২ থেকে ১৫ বছর লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

শনিবার যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েল, তার অন্যতম একটি শর্ত বা ধারা হলো-হামাস আর গাজার নেতৃত্বে থাকতে পারবে না। এ ব্যাপারে হামাস প্রকাশ্যে কোনো প্রতিক্রিয়া না জানালেও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গোষ্ঠীটির নেতৃত্ব এই শর্তে সায় দিয়েছে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সংস্কার দরকার, তবে দ্রুত নির্বাচনের ঘোষণা দিতে হবে: ফখরুল

বেসরকারি শিক্ষকদের পেনশন সুবিধা

সিলেটে পৌনে ৩ কোটি টাকার চোরাচালানের মালামাল জব্দ

এত ক্ষমতার মালিক তো দেশ ছেড়ে পালালেন কেন : জামায়াত আমির

বিশ্ব বাজারে পাম ও জ্বালানি তেলের দাম কমেছে

নারায়ণগঞ্জে অর্ধকোটি টাকার চুরি হওয়া কাপড় উদ্ধার