ভিডিও সোমবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৫

প্রতারণা অভিযোগে বগুড়া জেলা আ’লীগ নেতা ওপেলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

প্রতারণা অভিযোগে বগুড়া জেলা আ’লীগ নেতা ওপেলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। প্রতীকী ছবি

কোর্ট রিপোর্টার : প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে জাল দলিল তৈরির অভিযোগ এনে দায়েরকৃত মামলায় বগুড়ার জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রায়হান করিম মো. শাহারিয়ার আরিফ ওপেলের (৫০) বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। গতকাল রোববার বগুড়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুকান্ত সাহা এই পরোয়ানা জারি করেন। শাহারিয়ার আরিফ ওপেল শহরের জলেশ্বরীতলা রায় বাহাদুর সড়কের মৃত এম আরিফুর রহমানের ছেলে।

বগুড়া শহরের শেরপুর রোডের সাতানী বাড়ির সাবেক মন্ত্রী মৃত মামদুদুর রহমান চৌধুরীর ছেলে যোবায়ের রহমান চৌধুরী বাদি হয়ে গত বছরের ১৪ আগস্ট বগুড়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সদর আমলি আদালতে রায়হান করিম মো. শাহারিয়ার আরিফ ওপেলকে আসামি করে এই মামলা দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, তার বাবা মামদুদুর রহমান চৌধুরীর সাবেক সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী ছিলেন। বগুড়া শহরের সুত্রাপুর মৌজায় সাতমাথার অদূরে শেরপুর রোডে পৌরসভা কর্তৃক প্লান পাস করে নির্মিত চারতলা এমটিএম প্লাজা এবং তৎসংলগ্ন একতলা টিনসেড ভবনটি বাদি তথা সাতানী পরিবারের পারিবারিক সম্পত্তি। উক্ত ভবনসহ একতলা টিনসেডটি পৈত্রিক সূত্রে বাদি ও সাক্ষি মাহফুজুর রহমান চৌধুরী, জিসান রহমান, মেহনাজ রহমান, তাহমিনা রহমান, ওয়াসিম রহমান, জুবাইর রহমান, তানভির জামান সাদেক, নওরীন সাদেক প্রাপ্ত হয়ে তালাবদ্ধ রাখেন। বাদির চারজন নিরাপত্তারক্ষী ওই ভবনের নিরাপত্তায় নিয়োজিত।

আরও পড়ুন

বাদির বাবা মামদুদুর রহমান চৌধুরী বিগত ২০১৮ সালের ৪ এপ্রিল মারা যান। গত ৬ জুলাই বেলা ১১টার বাদি সাক্ষিসহ ওই ভবন পরিদর্শনে যান। এসময় ওই আসামি ১শ’ টাকা দামের তিনটি ননজুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে লিখিত একটি চুক্তিনামা প্রদর্শন করে জানান, গত ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল বাদির বাবা মামদুদুর রহমান চৌধুরী আসামির কাছ থেকে তিন কোটি টাকা গ্রহণ করে উক্ত ভবনের ২৯শ’ স্কয়ার ফুট জায়গার পজিশন আসামি বরাবর বিক্রি করেছেন।

আসামি ভবনটির পজিশন বুঝে দেওয়ার জন্য দাবি করে নিজেকে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দেন। বাদি ওই চুক্তিনামার ফটোকপি সংগ্রহ করে দেখেন যে, ওই চুক্তিনামার সই তার বাবার নয় এবং তার বাবা মামদুদুর রহমান চৌধুরী কোন চুক্তি করেননি বা দাবিকৃত টাকা গ্রহণ করেননি। বাদির বাবা মামদুদুর রহমান চৌধুরীর সই জাল দলিল সৃষ্টি করে প্রতারণামূলকভাবে তিন কোটি টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে দাবি করেছেন মর্মে অভিযোগে বলা হয়।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বগুড়ায় প্রায় ৫শ কেজি পলিথিন জব্দ : ১০ হাজার টাকা জরিমানা

ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ড. ইউনূসের শুভেচ্ছা

পল্লবীতে ‘ব্লেড বাবুকে’ কুপিয়ে হত্যা

চাকরি দেওয়ার নামে টাকা আত্মসাৎ, দুইজনের জেল

মেয়াদ বাড়ল ৬ সংস্কার কমিশনের

সাতক্ষীরায় ছিনতাইয়ের ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাসহ গ্রেপ্তার দুই