নাটোরের গুরুদাসপুরে চিরকুট লিখে চুরি হচ্ছে বাণিজ্যিক মিটার
গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি : নাটোরের গুরুদাসপুরে একের পর এক চুরি হচ্ছে বৈদ্যুতিক মিটার। চুরি যাওয়ার পর মিটারের পাশে রেখে যাওয়া হচ্ছে চিরকুটে বিকাশ নম্বর। চোর চক্রের সদস্যদের বিকাশ নম্বরে টাকা পাঠালেই মিলছে চুরি যাওয়া বাণিজ্যিক মিটার। গত রোববার দিবাগত রাতে গুরুদাসপুর পৌরসভার চাঁচকৈড় কাঠহাটা এলাকা থেকে ১৩টি বাণিজ্যিক মিটার চুরির ঘটনা ঘটে।
একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটলেও পুলিশ চোর চক্রের বিরুদ্ধে কোন কার্যকরি পদক্ষেপ নিতে পারছে না বলে অভিযোগ গ্রাহকদের। জানা যায়, গুরুদাসপুর পৌরসভার বাণিজ্যনগরী চাঁচকৈড় বাজারের কাঠহাটা এলাকায় প্রায় ২০টি ‘ছ’ মিল রয়েছে। রোববার দিবাগত রাতে ১৩টি ‘ছ’ মিলের বাণিজ্যিক মিটার চুরি হয়ে যায়। সকালে মিল মালিক ও শ্রমিকরা এসে দেখেন মিটার নেই।
মিটারের পাশেই দেওয়া আছে চোর চক্রের মোবাইল নম্বর। সেই নম্বররে চুরি যাওয়া মিটার গ্রাহকরা কল দিলে প্রতি পিচ মিটারের জন্য ১০ হাজার টাকা করে দাবি করা হয়। পরবর্তীতে পাঁচ হাজার টাকা প্রতি পিচ মিটারের বাবদ দিলে মিটারের সন্ধান দিবে বলে জানায় চোর চক্রের সদস্যরা। এরপর চোরের বিকাশে পাঁচ হাজার টাকা করে পাঠানোর পরে গ্রাহকরা মিটারের সন্ধান পাচ্ছেন।
আরও পড়ুননাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ (গুরুদাসপুর জোনাল অফিস) এর ডিজিএম মমিনুর রহমান বিশ্বাস বলেন, চুরি যাওয়া মিটার গ্রাহকদেরকে চোর চক্রকে টাকা না দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। প্রতিটি মিটার লোহার খাঁচা করে তালাবদ্ধ করে রাখলে চুরি কমবে। তাছাড়াও চোর চক্রকে পাঁচ হাজার টাকা না দিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে ৬ হাজার টাকা খরচ করলেই আবার তারা নতুন মিটার নিতে পারবেন। চোরদের টাকা দেওয়া বন্ধ করলেই আর চুরি করবে না।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম সারওয়ার হোসেন বলেন, মিটার চোর চক্রের বিরুদ্ধে পুলিশ ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। অতিদ্রুত চোর চক্রকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবে।
মন্তব্য করুন