ভিডিও শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫

২৮ জানুয়ারির পর বাড়বে তাপমাত্রা: আবহাওয়া অফিস

আজও দেখা মেলেনি সূর্য্যরে শীতে বিপাকে খেটে খাওয়া মানুষ

আজও দেখা মেলেনি সূর্য্যরে শীতে বিপাকে খেটে খাওয়া মানুষ, ছবি: দৈনিক করতোয়া

স্টাফ রিপোর্টার : আগের দিনের চেয়ে তাপমাত্রা অনেক এলাকায় কমেছে এবং অনেক এলাকায় কিছুটা বাড়লেও তেমন উত্তাপ ছড়াতে পারেনি পরিবেশে।

এদিকে বগুড়াসহ দেশের উত্তরের বেশিরভাগ জেলাতে দ্বিতীয় দিনেও সূর্য্যরে দেখা মিলেনি। আকাশে মেঘ এবং কুয়াশায় জুবু-থুবু হয়ে ছিল সারাদিন। সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে মানুষ এই অবস্থার মধ্যেই তাদের প্রয়োজনীয় কাজ সারার জন্য শহরে  ভিড় করেন। তবে প্রত্যেকেই  শীত এবং শির শিরে বাতাসে আপাদ-মস্তক ঢেকে বের হয়েছিলেন। এই অবস্থার মধ্যে সবচেয়ে বেশি কষ্টে পড়েছেন স্কুলগামী ছোট ছোট শিশুরা, বয়স্ক মানুষ রাস্তায় বের হওয়া খেটে খাওয়া মানুষ। এরই মধ্যে তাপমাত্রা আরও কমে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়িতে ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। বগুড়ার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আজসহ আগামি কয়েকদিন তাপমাত্রা  কোথাও কোথাও  আরও কমতে পারে এরপর  ২৮ জানুয়ারি থেকে তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে  জানানো হয়েছে। 

এদিকে শীত নিয়ে আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো রিপোর্ট:

নওগাঁ প্রতিনিধি : সারাদেশের মত নওগাঁয় গত দু’দিন ধরে ফের কনকনে শীতে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। আজ বৃহস্পতিবার সারাদিন দেখা মেলেনি সুর্য্যরে। নওগাঁ’র বদলগাছী আবহাওয়া অফিস সুত্রে জানা গেছে বৃহস্পতিবার জেলার তাপমাত্রা ছিল ১৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলমান এই তাপমাত্রায় কষ্ট বেড়েছে খেটে খাওয়া ছিন্নমুল মানুষদের। এই মানুষগুলো প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্রের অভাবে জুবুথুবু। সরকারিভাবে কম্বল ও চাদর বিতরণ করা হলেও তা চাহিদার তুলনায় ছিল অপ্রতুল। প্রতিবছরের তুলনায় এবারে বেসরকারি সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানসমুহ কর্তৃক খুব বেশি শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে না।

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের রৌমারীতে ঘন কুয়াশা ও হাড় কাপাঁনো কনকনে শীতে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষজন পড়েছেন চরম বিপাকে। গত ৩ দিন ধরে দিনভর সুর্যের মুখ দেখা যায়নি। ফলে ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছেন এ উপজেলার মানুষ। অনেকেই আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন। শীতের সাথে সাথে ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলাতেও হেড লাইট জালিয়ে গাড়ি চালাথে হচ্ছে। প্রচন্ড ঠান্ডায় হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিন ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াসহ নানা শীতজনিত রোগে রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সুত্রে জানা গেছে, কয়েকদিনের ঘনকুয়াশায় ঠান্ডাজণিত কারণে প্রতিদিন প্রায় ৭/৮ জন ডায়রিয়া রোগি ভর্তি হচ্ছে। এরমধ্যে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি। 

আরও পড়ুন

তাড়াশ( সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের তাড়াশে গত ২দিন ধরে উত্তরের হিমেল বাতাস ও কনকনে শীতে জন-জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে। দেখা মেলেনি সুর্যের । সব চাইতে বেশি অসুবিধায় পরেছে খেটে-খাওয়া মানুষ। এখন সমস্ত উপজেলায় চলছে ইরি-বোরো ধান রোপনের ভরা মৌসুম। সমস্ত মাঠ পানিতে ভিজিয়ে দেয়া হয়েছে। যার দরুন শীত আর ও বেশী অনুভুত হচ্ছে। কৃষি শ্রমিকরা মাঠে ধান রোপন ও বীজ উঠাতে গিয়ে পরেছে চরম বিপাকে। কিছু সময় কাজ করলেই শীতের তীব্রতার কারণে মাঠে থাকতে পারছে না।  অল্প সময় পর পর খর-কুটা জ্বালিয়ে শরীরে তাপ নিতে হচ্ছে। উপজেলার বেত্রাশীন গ্রামের মাঠে কাজ করতে আসা কৃষি শ্রমিক মোঃ আফসার আলী জানান, কিছু সময় ধান রোপন করলে প্রচন্ড শীতের কারনে হাতে ও পায়ে কোন শক্তি পাওয়া যায় না। হাতের মধ্যে থেকে কখন ধানের চারা পরে গেছে টের পাওয়া যায় না । বাধ্য হয়ে কিছু সময় পর পর খরকুটা জ্বালিয়ে আগুনের তাপ নিতে হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, এ ভাবে শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকলে রোপনকৃত চারার কিছু ক্ষতি হতে পারে। তবে প্রতিদিন সকালে মোটর চালিয়ে গরম পানি জমিতে দিলে কোন ক্ষতির সম্ভাবনা নেই।

তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি : ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার মানুষের জনজীবন। বৃষ্টির মত পড়ছে কুয়াশা। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাহিরে বের হচ্ছেন না। গ্রামগুলোতে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সূর্য়ের দেখা মেলেনি। ছিন্নমূল ও হতদরিদ্র মানুষজন খড়কুটো জ্বালীয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।

জানাগেছে, মাঘ মাসের শুরু থেকে শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে ঘন কুয়াশায় আর হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষ কষ্টে দিন যাপন করছে। রাস্তায় লোকজনের চলাচল একেবারেই সীমিত। এমনকি ভর দুপুরও সড়ক মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন হেটলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করছে। নদীর তীরবর্তী বসবাসরত পরিবারগুলোর মানুষজন হাড়কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন ।  
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. সাবরিনা নুসরত জাহান মৌ বলেন, শীতজনিত রোগে বর্হিবিভাগে শিশু ও বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যা দ্বিগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। চিকিৎসা প্রদান করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। পাশাপাশি শিশু ও বৃদ্ধ রোগীদের সর্তক থাকার পরামর্শ দেওয়া হেেয়ছে। উপজেলা প্রকল্প ও বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম জানান, শীতের প্রথম দিকে উপজেলার ৫ ইউনিয়নে পর্যায়ক্রমে বরাদ্ধকৃত ২৫৪০টি কম্বল ছিন্নমুল ও অসহায় মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। বর্তমানে জেলা পরিষদেরসহ ২৬০০ কম্বল রয়েছে সেগুলো বিতরণের প্রস্তুতি চলছে।

কাহারোল (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : প্রচন্ড শীত ও হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশার কারণে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষজন অন্যের বাড়িতে কাজ কর্ম করতে না পাড়ায় চরম অসুবিধার মুখে পড়েছেন তারা। গত কয়েকদিন থেকে আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঘ মাসের প্রচন্ড ঠান্ডা, হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশা। সন্ধ্যার পর পর উপজেলার হাট-বাজার ও রাস্তার মোড়ে গড়ে ওঠা দোকানপাট গুলো জনশুন্য হয়ে পড়ে। এদিকে আজ বৃহস্পতিবার সারাদিন দেখা নেই সূর্যের মুখ, সারাদিনেই ছিল আকাশ মেঘাচ্ছন্নসহ ঠান্ডা হিমেল হাওয়া। অনেকেই শীত বা ঠান্ডা নিবারনের জন্য খড়-কুটো জ্বালিয়ে ঠান্ডা নিবারন করার চেষ্টা করছেন। আবার কেউ কেউ নিজ বাড়িতে ঘরের মধ্যে কম্বল-কাথা ও চাদর মুড়িয়ে শুয়ে 

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিগত কয়েক বছরে মেলেনি সবজির এমন সস্তা দাম

লালমনিরহাটে আ’লীগ নেতা সুমন খানের সম্পত্তি বুঝে নিলো জেলা প্রশাসন 

চীনের সঙ্গে বাণিজ্য ব্যবধান কমাতে জোর দিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

বরিশালে ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা

‘২০২৫ সালের শেষে কিংবা ২০২৬ এর শুরুতে জাতীয় নির্বাচন’

যে কারণে পুরোনো ঠিকানায় ফিরলেন নুসরাত ফারিয়া