ভিডিও শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫

সরবরাহ নেই বোতলজাত সয়াবিন তেলের

বিগত কয়েক বছরে মেলেনি সবজির এমন সস্তা দাম

ছবি: সংগৃহীত, বিগত কয়েক বছরে মেলেনি সবজির এমন সস্তা দাম

স্টাফ রিপোর্টার : বিগত কয়েক বছরে মেলেনি সবজির এমন সস্তা দাম। শীতকালীন সবজির ভরা মৌসুম হলেও বিগত কয়েক বছর বেশি দামেই তা কিনতে হয়েছে। তবে এবারের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন।

আলু, পেঁয়াজ, বেগুন, কাঁচামরিচ, কপিসহ বেশিরভাগ সবজির দাম বিগত কয়েক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। মূলতঃ চাহিদার তুলনায় ব্যাপক উৎপাদন ও সরবরাহে সবজির দাম নিম্নমুখি বলছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।  
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বগুড়ার ফতেহ আলী বাজারসহ বেশিরভাগ বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি আলু মানভেদ ২৫/৩০ টাকা যা গত বছর ৫০/৬০, পেঁয়াজ ৪০/৫০ যা গত বছর ৭০/৮০, বেগুন ৩০/৪০ যা গত বছর ৬০/৭০, কাঁচামরিচ ৩০, গত বছর ৬০, ফুলকপি ১০, গত বছর ৩০/৪০, শিম ২০, গত বছর ৫০ টাকায় বিক্রি হয়। এছাড়াও মূলা ১০, গাজর ও টমাটো ৪০, মিষ্টি লাউ ও পেঁপেঁ ২৫, আদা ১০০ এবং রসনু ২৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

এই বাজারের ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম ও মো. খোকন বলছেন, বিগত কয়েক বছরের মধ্যে সবজির এমন কম দাম দেখা যায়নি। গত বছরের তুলনাতেও দাম অর্ধেক বা তারও কমে বিক্রি হচ্ছে। কারণ জানতে চাইলে এই ব্যবসায়ীরা বলছেন, স্থানীয় হাট-বাজারগুলোতে প্রচুর সবজির সরবরাহ, বিক্রেতার তুলনায় ক্রেতাও কম। মূলতঃ ব্যাপক উৎপাদন ও চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ বেশির কারণেই সবজির দাম কয়েক বছরের মধ্যে নিম্নমুখী।

আরও পড়ুন

এদিকে আমদানি প্রভাবে বেশিরভাগ চালের কেজিতে কমেছে দুই টাকা পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বগুড়ার এই বাজারে প্রতিকেজি রঞ্জিত চাল ৫৭/৫৮ টাকা, বিআর-৪৯ চাল ৬০, বিআর-২৮ চাল ৬৪/৬৫, কাটারিভোগ ৭৪/৭৭, মিনিকেট ৮০/৮২ এবং নাজিরশাইল চাল ৮২/৮৪ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। এছাড়াও দাম বাড়িয়েও সরবরাহ স্বাভাবিক করা যায়নি সয়াবিন তেলের। শহরের বেশিরভাগ বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। দু’একটি দোকানে মিললেও তা কিনতে হচ্ছে বেশি দামে। দুই লিটার বোতলজাত তেল ২৯০ এবং পাঁচ লিটার তেল বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকায়। এছাড়াও চিনির কেজি ১২৫, মসুরের ডাল ১২০/১৪০, খেসারি ডাল ১১০/১২০, মুগ ডাল ১৮০, বুটের ডাল ১৪০, আটা প্রতি এক কেজির প্যাকেট ৫০ ও ময়দা ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডিমের হালি ৪৪, ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৯০, ককরেল মুরগি ৩০০ এবং দেশি মুরগি ৪৮০ টাকায় বেচাকেনা হয়। এদিন গরুর মাংসের কেজি ৭০০ এবং খাসির মাংস এক হাজার টাকা। এদিন মাছের দাম কিছুটা কমে বিক্রি হতে দেখা যায়। শহরের ফতেহ আলী বাজারে এদিনে ইলিশ মাছ ৪শ’ থেকে আকারভেদে দুই হাজার টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা যায়। 

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মধ্যরাতে কেঁপে উঠল দেশের বিভিন্ন জায়গা

বিগত কয়েক বছরে মেলেনি সবজির এমন সস্তা দাম

লালমনিরহাটে আ’লীগ নেতা সুমন খানের সম্পত্তি বুঝে নিলো জেলা প্রশাসন 

চীনের সঙ্গে বাণিজ্য ব্যবধান কমাতে জোর দিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

বরিশালে ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা

‘২০২৫ সালের শেষে কিংবা ২০২৬ এর শুরুতে জাতীয় নির্বাচন’