মধ্য মাঘে এসে মৌসুমের সর্বোচ্চ কুয়াশার দেখা পেল শীতার্ত মানুষ, দুপুরের পর সূর্য্যরে দেখা
স্টাফ রিপোর্টার : মৌসুমের সবচেয়ে বেশি কুয়াশায় বেশ ভোগান্তিতে পড়েন পথে বের হওয়া কর্মজীবী মানুষেরা।
আজ শুক্রবার সকালে যারা বের হয়েছেন তারা শীতের সকাল এবং কুয়াশায় মোড়ানো পরিবেশ দেখতে পেয়েছেন। অনেকে হাটতে বের হয়ে হাটতে পারেন নি। সাথে ছিল মাঘের কনকনে ঠান্ডা । ঘন কুয়াশার জন্য রাস্তার যানবাহনগুলো হেডলাইট জালিয়ে চলেছে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত।
কয়েকদিন থেকেই দিনের বেশিরভাগ সময় সূর্যের দেখা মিলছে না। তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। শীতের হিমেল হাওয়ায় জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। বেশি দুর্ভোগে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ, শিশু, বৃদ্ধ ও অন্যান্য প্রাণিকূল। এরপর গত দুইদিন হলো দুপুরের পর সূয্যের দেখা মিললেও তাতে খুব একটা উত্তাপ ছিল না। আজও সূর্য্যরে দেখা মেলে দুপুরে। সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় নামাজের আগে পর্যন্ত শহরের লোকজনের আনাগোনা কম ছিল। তবে দুপুরের পর মানুষ বের হতে শুরু করে।
আরও পড়ুনশহরের আজিজুল হক কলেজের সামনে রক্শার মধ্যে বসে থাকা রিকশাচালক কুদ্দুস হোসেন বলেন, ‘গত তিন দিন ধরে খুব বেশি ঠান্ডা পড়েছে। সকালে কুয়াশায় সামান্য দূরে কিছু দেখা যায় না। ঠান্ডার কারণে কাজে যেতেও মন চায় না। দুপুরের পর রোদ উঠলেও তাপ নেই, ঠান্ডাও কমেনি।‘
বগুড়া আবহাওয়া অফিস সূত্র জানান, আজ বগুড়ার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আজও কুয়াশা পড়তে পারে এবং দুপুরের পর আবার শীত অনুভব হবে।
মন্তব্য করুন