বগুড়া ধুনটে চুরি ঠেকাতে পুলিশি টহল ব্যর্থ : সড়কে চেকপোস্ট
ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি : ধুনটে আশংকাজনক হারে বাড়ছে চুরির ঘটনা। পুলিশের নিয়মিত টহল ও সড়কে চেকপোস্ট বসিয়েও এই চুরি ঠেকাতে পারছে না। পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না। তবে পুলিশ বলছে, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা চুরির সঙ্গে কারা জড়িত, তা সন্দেহ করতে না পারায় তাদের লিখিত অভিযোগ তদন্তাধীনই থেকে যাচ্ছে।
জানা গেছে, গেল জানুয়ারী মাসে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে অর্ধশত চুরির ঘটনা ঘটেছে। তবে সবচেয়ে বেশি ঘটেছে গরু চুরির ঘটনা। পাশাপাশি মোটরসাইকেল, ভ্যান, অটোবাইক, নলকুপ, পণ্যসামগ্রী, বৈদ্যুতিক মিটার, ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনাও ঘটতে থাকে। অনেকের বাড়ি ও দোকান থেকে গেটের তালা কেটে ঘটছে চুরির ঘটনা।
সর্বশেষ গতকাল শুক্রবার রাতে শহরের সদরপাড়ার খোরশেদের গোয়ালঘর থেকে ৩টি গরু চুরি হয়েছে। এরআগে ২৮ জানুয়ারী পুলিশ কনস্টেবল শিবলুর মোটরসাইকেল, সাংবাদিক আব্দুল হামিদের ৩টি ট্রান্সফরমার ও আব্দুর রাজ্জাকের নলকুপ চুরি হয়েছে। ২২ জানুয়ারী পশ্চিমভরশাহীর কৃষক হারেজ, ইয়ার বক্স, শামছুল ও শহিদুলের ঘরে সিঁধ কেটে চুরি করেছে। ১৯ জানুয়ারী ডাকাত দল কালেরপাড়ার নাসিমের ঘরে ঢুকে অস্ত্রেরমুখে ৩ লাখ টাকা নিয়ে গেছে।
১০ জানুয়ারী অফিসারপাড়ার রাসেলের ১টি গরু এবং ৮ জানুয়ারী বাটিকাবাড়ির তাহেরের ৩টি গরু, ৫ জানুয়ারী সুলতানহাটার দুলালের ৪টি গরু, ১ জানুয়ারী কান্তনগর চরপাড়ার জাহিদুল ও হান্নানের ৪টি গরু চুরিসহ প্রায় অর্ধশত চুরির ঘটনা ঘটেছে। সংঘবদ্ধ চোরেরা এসব চুরির কাজে মিনি ট্রাক ব্যবহার করছে। এ কারণে গ্রামীণ পাকা সড়কে বসিয়েছেন চেকপোস্ট। প্রতিদিন রাত ১২টার পর সড়কে চলাচলকারী সন্দেহভাজন গাড়ি চেকপোস্টে থামিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
আরও পড়ুনবর্তমানে নাজুক অবস্থা হয়েছে এলাকার আইনশৃঙ্খলার। এ সুযোগে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে অপরাধীরা। কিছু সীমাবদ্ধতা নিয়ে পরিস্থিতি সামলাতে নাজেহাল পুলিশ। এ দিকে চুরি-ডাকাতির শিকার হয়েছেন এমন অনেকে পুলিশি সহায়তা নিচ্ছেন না। অর্থাৎ জিডি কিংবা মামলা করছেন না।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল আলম বলেন, চুরিতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে চান। এ জন্য সেগুলো আর এজাহার হিসেবে নেওয়া হয় না। তবে চুরি প্রতিরোধে তিনি সড়কে ১০টি চোকপোস্ট বসিয়েছেন এবং পুলিশি টহল আরও জোরদার করার পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান।
মন্তব্য করুন