বগুড়ায় ডাকাত দলের ৭ সদস্য গ্রেপ্তার, সোনার গহনাসহ লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার
স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ায় লুন্ঠিত সোনার গহনা ও মালামালসহ আন্ত:জেলা ডাকাত দলের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে সদর থানার পুলিশের একাধিক টিম বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এই ডাকাতদের গ্রেপ্তার ও লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার করে। এ সময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বোল্ড কাটার, শাবল, বার্মিজ চাকু ও অন্যান্য আলামত জব্দ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার আব্দুল্লাহ মৃধাপাড়ার মৃত সামাদের ছেলে মো: সুলতান (৪৫), কুড়িগ্রামের রাজারহাটের ডাংহাট এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে মমিনুর রহমান (৩৪), বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার দেবচন্ডি গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে মুকুল ইসলাম ওরফে পোটল (৪১), বগুড়ার আদমদিঘী উপজেলার ছাতিয়ান গ্রামের বাবলু শেখের ছেলে রাকিব শেখ (২০), ও তার ভাই শাকিল শেখ (২৩), কাহালু উপজেলার আড়োলা গ্রামের মো: রফিকুলের ছেলে আল আমিন (১৯) ও সোনাতলার শিহিপুর বটতলার শফিকুল ইসলামের লাদেন (২২)।
গ্রেপ্তারকৃতরা একাধিক মামলার আসামি। গতকাল সদর থানায় প্রেসব্রিফিংকালে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া ও ট্রাফিক) সুমন রঞ্জন সরকার। তিনি বলেন, পুলিশ সুপার মো: জেদান আল মুসার পিপিএম এর নির্দেশনায় সদর থানার পুলিশের একাধিক টিম বিভিন্নস্থানে অভিযান চালায়। অভিযানকালে ওই ৭ ডাকাতকে গ্রেপ্তার ও লুট হওয়া সোনার গহনা ও অন্যান্য মালামালসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত লুন্ঠিত মালামালের মধ্যে রয়েছে দুটি কানের সোনার দুল, দুটি সোনার চেইন, একটি সোনার ব্রেসলেট, ২টি সোনার আংটি ও সাড়ে ৩ হাজার টাকা। তিনি বলেন, গত ২৮ জানুয়ারি দিনগত রাত ১টার দিকে ৬/৭ ডাকাত সদরের এরুলিয়ায় বিমান বন্দর মোড় এলাকায় কামাল হোসেনের বসতবাড়ির দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে।
আরও পড়ুনএরপর বাড়ির লোকজনদের ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এবং গামছা ও কাপড় দিয়ে তাদের হাত,পা ও মুখ বেঁধে ফেলে। এরপর ডাকাতদল কাঠের আলমারি খুলে ৫০ হাজার টাকা, ২ জোড়া সোনার দুল, ১টি সোনার চেইন, ১ জোড়া এমিটেশন বালা লুট করে। এরপর ডাকাত দল কামাল হোসেনের ছোট ভাই রেজাউলের ঘরে ঢুকে আলমারির ড্রয়ার ভেঙ্গে ১টি সোনার চেইন, ১টি সোনার বেসলেট, ২টি সোনার আংটি ও ১ জোড়া এমিটেশন বালা লুট করে নিয়ে যায়।
পরে এ ঘটনায় মামলা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ এই আসামিদের গ্রেপ্তার ও লুট হওয়া সোনার গহনাসহ মালামাল উদ্ধার করে। তবে অবশিষ্ট টাকা ও মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে প্রেসব্রিফিংকালে জানানো হয়।
ব্রিফিংকালে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোস্তফা মুঞ্জুর পিপিএম, সদর থানার ওসি এস.এম মঈনুদ্দীন, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) এ,কে,এম মঈন ঊদ্দিনসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন