ভিডিও রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

হজের নিয়তে মাসিক সঞ্চয়ে কামিয়াব হোক আজন্মসঞ্চিত হজ

হজ ইসলামের অন্যতম রুকন। আল্লাহর নিকট মুসলিমদের আত্মসমর্পণের সর্বোৎকৃষ্ট বাহ্যিক প্রকাশ ঘটে হজ পালনের মাধ্যমে। প্রত্যেক সামর্থ্যবান ব্যক্তির উপর হজ ফরয। মুসলিম উম্মার সম্মিলন ও ফরজ ইবাদত হিসেবে এর গুরুত্ব যেমন অপরিসীম তেমনি এর প্রতিদান সীমাহীন। রাসূল (সঃ) অন্য সকল আমলের উপর হজের মর্যাদাকে পূর্ব ও পশ্চিম দিগন্তের দূরত্বের সাথে তুলনা করেছেন। কবুল হজের পুরস্কার জান্নাত। হজের প্রতিটি কর্ম সম্পাদনের জন্য রয়েছে পৃথক ফযীলত ও মর্যাদা। এই ইবাদতের মাধ্যমে বিশ্ব মুসলিম একত্রিত হওয়ার সুযোগ লাভ করে। রাসূল (সঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর উদ্দেশ্যে হজ করেছে। যার মধ্যে সে অশ্লীল কথা বলেনি বা অশ্লীল কার্য করেনি, সে হজ হ’তে ফিরবে সেদিনের ন্যায় (নিষ্পাপ অবস্থায়) যেদিন তার মা তাকে প্রসব করেছিলেন’। বুখারী হা/১৫২১; মুসলিম হা/১৩৫০; মিশকাত হা/২৫০৭।


হজ ও ওমরাহ পালনকারীকে আল্লাহর মেহমান বলা হয়েছে। আর এক্ষেত্রে মেহমানের সাথে তার আশানুরূপ আচরণ করা হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘হজ ও ওমরাকারীরা আল্লাহর প্রতিনিধি দল। তারা দোয়া করলে তাদের দোয়া কবুল করা হয় এবং তারা কিছু চাইলে তাদের তা দেওয়া হয়।’ (মুসনাদে বাজজার: ১১৫৩)
রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি হজের সংকল্প করে সে যেন অবিলম্বে তা আদায় করে। কারণ মানুষ কখনও অসুস্থ হয়ে যায়, কখনও প্রয়োজনীয় জিনিস বিলুপ্ত হয়ে যায় এবং কখনও অপরিহার্য প্রয়োজন সামনে এসে যায়। (মুসলিম হাদিস নং-১৩৩৭) কেউ যদি হজ অস্বীকার করে বা কোনো ধরনের অবহেলা প্রদর্শন করে তবে সে আল্লাহর জিম্মার বাইরে বলে বিবেচিত হবে। 

যেহেতু হজ আর্থিক ইবাদতের সাথে সম্পর্কিত। তাই অনেকে দরিদ্র হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় হজ পালন থেকে বিরত থাকে। অথচ হজ দারিদ্র্য বিমোচন করে। রাসুল (স.) বলেন, ‘তোমরা হজ-ওমরা সঙ্গে সঙ্গে করো। কেননা, এ দুটি দারিদ্র্য ও গোনাহ এভাবে দূর করে, যেভাবে হাঁপর লোহা ও সোনা-রূপার ময়লা দুর করে। আর মকবুল হজের বিনিময় হলো জান্নাত’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ২৮৮৭)। অন্য এক হাদিসে হজের জন্য খরচকৃত সম্পদকে সাতশো গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করে  দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। 

আরও পড়ুন


তবে স্বল্প বা সীমিত আয়ের মানুষের পক্ষে হজের জন্য একসাথে বড় অংকের অর্থের ব্যবস্থা করা খুবই কঠিন। আর তাই তাদের আজন্মসঞ্চিত হজের নিয়ত পূরণ করতে ব্যাংক এশিয়ার রয়েছে হজ ডিপোজিট স্কিম। এটি মূলতঃ একটি ইসলামি সঞ্চয় ও বিনিয়োগ পন্থা, যা ইসলামিক বিনিয়োগ পদ্ধতি অনুসারে বিনিয়োগ করে তার মুনাফা সঞ্চয়কারীদের হিসাবে ওয়েটেজ অনুযায়ী যোগ করে তাদের হজ পালনে সহায়তা করে। 
এ স্কিমে আমানতকারী ১ থেকে ১০ বছরের মেয়াদে হিসাব খুলতে পারবেন। মেয়াদান্তে হজ সম্পাদনের প্রয়োজনীয় প্রাক্কলিত অর্থের পরিমাণ বিবেচনা করে জমার কিস্তির পরিমাণ নির্ধারণ করা যায়। উচ্চ ওয়েটেজের ভিত্তিতে মুনাফা প্রদান করা হয়। কোন ব্যক্তি দীর্ঘ মেয়াদের জন্য হিসাব খোলার পর যদি মেয়াদপুর্তির পূর্বেই হজ পালন করতে চান সেক্ষেত্রে হিসাবটি ১ বছর অতিক্রান্ত হয়ে থাকলে কোন প্রকার কর্তন ছাড়াই সে সময় পর্যন্ত অর্জিত সকল মুনাফা প্রদান করা হয়ে থাকে। 
মেয়াদান্তে হজ সম্পাদনের জন্য মুনাফাসহ মোট টাকা এক সাথে উঠানো যায়। যে কোন প্রাপ্তবয়স্ক বাংলাদেশী নাগরিক এই হিসাব খুলতে পারেন। এক নামে একটি হিসাব খোলা যায়। অনিবাসী বাংলাদেশীরাও এই হিসাব খুলতে পারেন। হজ ডিপোজিট স্কিম চালু করতে যোগাযোগ করুন ব্যাংক এশিয়ার যে কোন শাখা, ইসলামিক উইন্ডো, উপ-শাখা ও এজেন্ট পয়েন্টে। বিস্তারিত জানতে কল করতে পারেন ব্যাংক এশিয়ার কন্টান্ট সেন্টার নাম্বারে- ১৬২০৫, সপ্তাহের যে কোনো দিন যে কোনো সময়। 

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বগুড়ার গাবতলীতে আ.লীগ ও যুবলীগের ২ জন গ্রেপ্তার

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় বিষ দিয়ে প্রবাসীর পুকুরের মাছ নিধনের অভিযোগ, প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার নার্সারী করে স্বাবলম্বী বেলাল

সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরের বেতিল বাসস্ট্যান্ডে দোকানে আগুন

বগুড়ার ধুনটে মেলাকে কেন্দ্র করে দুই চেয়ারম্যানসহ বিএনপি’র ২৭ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ

দিনাজপুরের বিরলে সড়ক দুর্ঘটনায় এক শ্রমিক নিহত