ভিডিও বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বিচার বিভাগ স্বাধীন ও কার্যকর করার প্রস্তাব এসেছে : প্রেস সচিব

সংগৃহীত,বিচার বিভাগ স্বাধীন ও কার্যকর করার প্রস্তাব এসেছে : প্রেস সচিব

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে বিচারবিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখানে বিচার বিভাগকে স্বাধীন ও কার্যকর করার প্রস্তাব এসেছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। শফিকুল আলম বিচার বিভাগ সংস্কার প্রতিবেদন নিয়ে কথা বলেন।

তিনি বলেন, আগের সরকারগুলো বারবার বলেছে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন। কিন্তু কার্যত বিচার বিভাগ কখনোই স্বাধীন ছিল না। এজন্য কমিশন বলেছে, বিচার বিভাগকে পুরোপুরি স্বাধীন ও কার্যকরভাবে স্বাধীন করতে হবে। এটি ৩৫২ পৃষ্ঠার একটি বড় রিপোর্ট।

শফিকুল আলম বলেন, লিগ্যাল সার্ভিসে স্বচ্ছতা আনার জন্য জাজ অ্যাপয়েন্টমেন্টের ব্যাপারে নতুন কিছু রিকমেন্ডেশন দিয়েছেন। তার আলোকে কিন্তু কাজও হয়েছে। জাজ এপয়েন্টমেন্টের ব্যাপারে নতুন নীতিমালা নিয়ে আসা হয়েছে। আরেকটা ছিল অ্যাটর্নি সার্ভিস স্থায়ী করার বিষয়। আমাদের বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর অনেক দেশে স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস আছে। আপনারা জানেন সারা বাংলাদেশের ৪০০০ এর মতো পাবলিক প্রসিকিউটর থাকে। সরকার তাদের নিয়োগ দেয়। দেখা গেছে, সরকারগুলো তাদের কাছাকাছি যারা তাদের মধ্য থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্টটা করা হতো। দেখা যেত এই সরকার এলে তার মতো করে প্রসিকিউটর নিয়োগ করেন, আবার আরেক সরকার তার মতো করে প্রস্তুত নিয়োগ দেন। এই কথাটাকে বাদ দিয়ে একটা স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস রিক্রুটমেন্ট হবে, যেভাবে বিসিএসে হয়।

আরও পড়ুন


স্বতন্ত্র তদন্ত সংস্থার বিষয়ে তিনি বলেন, কমিশন স্বতন্ত্র তদন্ত সংস্থার কথা জানিয়েছেন। যেগুলো সাধারণত পুলিশ তদন্ত করে সেগুলো গভর্মেন্ট পলিটিক্যালি ব্যবহার করে। ফলে যে তদন্তগুলো হয় সেগুলো পলিটিক্যাল মাস্টারকে হ্যাপি করার জন্য। আমরা দেখেছি বাংলাদেশের কেসগুলো কীভাবে কুলসিত হয়েছে পুলিশের তদন্তের কারণে। পুলিশের তদন্তগুলো ফলটি এবং ম্যানুপুলেট করা যায়। এজন্য তারা স্বতন্ত্র তদন্ত সংস্থার কথা বলেছেন।

শফিকুল আলম আরও জানান, সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চগুলো ডিভিশনে সেটআপ করার জন্য বলেছেন তারা। কারণ বাংলাদেশের জনসংখ্যা বাড়ছে। স্বাধীনতার পর আমাদের হাই কোর্ট যেখানে ছিল, এখনো সেখানেই আছে। এজন্য হাইকোর্টের বেঞ্চগুলো বাড়িয়ে ডিভিশনে নেওয়ার কথা বলেছে। এছাড়া ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টগুলো উপজেলা পর্যন্ত নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। গরিব মানুষের জন্য যে লিগাল এইড সার্ভিস দেওয়া হয়, সেটি আরও বৃদ্ধি করে গ্রাম পর্যন্ত চলে যায় অবস্থা কথা বলা হয়েছে।

এছাড়া কোর্টের ভেতর আইনজীবীরা যে পলিটিক্স করেন সে বিষয়ে একটা নীতিমালা দেওয়া হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নরসিংদীতে লটকন বাগানে পড়ে ছিল প্রায় ১০০ কেজি গাঁজা

শেখ হাসিনাকে বিচারের আওতায় আনতে হবে : তারেক রহমান

সাতক্ষীরায় লিফলেট বিতরণকালে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আটক

নাটোরের সিংড়ায় শিবিরের ফ্রি ব্লাড গ্রুপ ক্যাম্পেইন

হেরা ফেরি ৩-তে ফিরছেন টাবু

বগুড়ার ধুনটে জৌলুস হারাচ্ছে ২শ’ বছরের পুরোনো বকচর মাছ-মিষ্টির মেলা