পুঁজি, প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ ছাড়া এই খাতের উন্নয়ন সম্ভব নয়
বগুড়ায় শুরু হয়েছে চার দিনব্যাপী আঞ্চলিক লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য ও প্রযুক্তি মেলা

স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ায় শুরু হয়েছে চার দিনব্যাপী আঞ্চলিক লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য ও প্রযুক্তি মেলা-২০২৫। লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোডাক্ট বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতির যৌথ উদ্যোগে শহরের টিটু মিলনায়তন চত্বরে আজ রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বেলুন উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করা হয়।
এর আগে টিটু মিলনায়তনে মেলাটির উদ্বোধনী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতি বগুড়ার সাধারণ সম্পাদক কামাল মিয়ার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মেজবাউল করিম।
প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. আবদুর রাজ্জাক। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিপ ব্রেকিং এন্ড রিসাইকেলার্স এসোসিয়েশনের সহকারী সম্পাদক নাজমুল ইসলাম, প্রবৃদ্ধি প্রকল্প সুইস কনট্রাক্ট’র সিনিয়র কনসালটেন্ট নাহিদা সুলতানা বর্ষা।
সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন এলইপিবিসি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-পরিচালক এসএম আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল মেশিনারি মার্চেন্ট এসোসিয়েশন’র (বামমা) বগুড়ার সাধারণ সম্পাদক রাজেদুর রহমান রাজু, ফাউন্ড্রি ওনার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি আব্দুল মালেক আকন্দ, বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতি বগুড়ার সহ-সভাপতি রাজু আহমেদ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতি বগুড়ার অফিস সেক্রেটারি মোশারফ হোসেন মীর।
উদ্বোধনী সভায় বক্তারা বলেন, বগুড়া শিল্পের শহর। বগুড়াকে যে ক’টি শিল্প এগিয়ে নিয়েছে তার মধ্যে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং অন্যতম। পুঁজি, প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ ছাড়া এই খাতের উন্নয়ন সম্ভব নয়। এছাড়া এই খাতের উন্নয়নের জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি ও শিল্প পার্কেরও প্রয়োজন রয়েছে। বিগত বছরগুলোতে বগুড়ার লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টর বৈষম্যের শিকার হয়েছে।
আরও পড়ুনবগুড়ার এই শিল্পখাতকে বাঁচাতে হলে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন। এই সেক্টরে যারা কাজ করেন তাদের বেশিরভাগের স্বল্প পুঁজি থাকে। ব্যাংক ঋণ নিতে গেলে পণ্য উৎপাদন হওয়ার আগেই ঋণের সুদ টানতে হয়। তাই উদোক্তাদের সহজ শর্তে ব্যাংক যেন ঋণ দেয় সে ব্যাপারে সরকারের সহযোগিতার বিকল্প নেই। সরকার যদি সহযোগিতা করে তবে বগুড়ার এই শিল্পখাতটি ঘুরে দাঁড়িয়ে দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে।
আয়োজক কমিটির একজন বামমা বগুড়ার সাধারণ সম্পাদক রাজেদুর রহমান রাজু বলেন, এর আগেও আমরা মেলা করেছি। তবে সরকারি উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতি, বামমা ও ফাউন্ড্রির যৌথ উদ্যোগে প্রথম এ ধরণের মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলার মাধ্যমে উদ্যোক্তারা তাদের উৎপাদিত পণ্যগুলো মানুষের মাঝে প্রদর্শন করতে পারছেন এবং সরকারও আমাদের পণ্যগুলো সম্পর্কে জানতে পারছে।
আমাদের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরের মাধ্যমে আমদানি বিকল্প ৫০ শতাংশ পণ্য আমরা উৎপাদন করতে সক্ষমতা অর্জন করবো। ফলে বিদেশের আমদানিকৃত পণ্যের ওপর আমাদের নির্ভরশীলতা কমে যাবে।
মেলায় ৬০টি স্টল রয়েছে। আগামীকাল মেলার দ্বিতীয় দিনবেলা ১১টায় টিটু মিলনায়তনে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ে এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া মেলা উপলক্ষ্যে প্রতিদিন সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। মেলা চলবে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।
মন্তব্য করুন