নুহাশের পরিচালনায় মুগ্ধ ডা. এজাজ

বিনোদন ডেস্ক : ডা. এজাজ-ফারুক আহমেদ-স্বাধীন খসরু। এই তিন নাম নাটকের দর্শকদের কাছে বেশ পরিচিত। তারা তিনজন একসঙ্গে করেছেন অসংখ্য টিভি নাটক। তাদের জনপ্রিয় নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘তারা তিনজন’, ‘তারা তিনজন ফুচকা বিলাস’, ‘ভাইরাস’, ‘আবারো তিনজন’সহ বহু নাটক। নাটকগুলো রচনা করেছিলেন জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ।
দীর্ঘদিন এই তিনজনকে একসঙ্গে পর্দায় দেখার সৌভাগ্য হয়নি দর্শকদের। এবার সেই আক্ষেপ ঘুঁচাতে যাচ্ছেন হুমায়ূনপুত্র নুহাশ হুমায়ূন। ১৪ বছর পর তারা তিনজন আসছেন একই চরিত্রে। এবার নুহাশ হুমায়ূনের পরিচালনায়। নতুন এই প্রোজেক্টের নাম ‘ওরা তিনজন’। বাবার জনপ্রিয় এই ত্রয়ীকে নাটক আকারে নয়, পাঁচ পর্বের ছোট গল্পে পর্দায় আনছেন হুমায়ূনপুত্র। এদিকে হুমায়ূনপুত্রের নির্দেশনায় কাজ করে দারুণ উচ্ছ্বসিত তারা তিনজনের অন্যতম অভিনেতা ডা. এজাজুল ইসলাম। নুহাশের পরিচালনায় মুগ্ধ তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে এমটাই জানালেন তিনি।
ডা. এজাজ বলেন, হুমায়ূন আহমেদ স্যার ছিলেন আমার পথপ্রদর্শক, আমার ভেতরের অভিনয় সত্তা তিনিই জাগিয়ে তুলেছিলেন। ‘সবুজ ছায়া’ করতে গিয়ে তার ঘনিষ্ঠ হই, তারপর একের পর এক কাজ করতে থাকি। চলচ্চিত্র ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’, ‘দুই দুয়ারী’সহ তার পরিচালনায় একক নাটকে অভিনয়ের সুবাদে অভিনেতা হিসেবে তখন আমার পরিচিতি বেশ ভালোই। আমি আর ফারুক ভাই আগে থেকেই স্যারের নাটকে অভিনয় করি, এরপর যুক্ত হন স্বাধীন খসরু ভাই। ‘তারা তিন জন’ নাটকের একটি অংশে আমরা সারা দেহে মাটি মেখে গড়াগড়ি খাই, সেই দৃশ্য থেকেই তিনি সিদ্ধান্ত নেন আমাদের নিয়ে সিরিজ বানাবেন। সেই থেকে শুরু, সংখ্যা কত বলতে পারব না। তবে দশ বছর ধরে এই সিরিজে অভিনয় করেছি। অভিনেতা হিসেবে আমরা তিনজন যে আলাদা পরিচিতি পেয়েছি, তার বড় কারণ এই সিরিজ। ডা. এজাজ বলেন, স্যারের মৃত্যুর পর বহু লেখক-নির্মাতা আমাদের নিয়ে নাটক বানিয়েছেন, সিনেমাও হয়েছে। তবে কোনোটাই ভালো মানের হয়নি। আমাদের পুঁজি করে আলোচনায় আসতে চাইত, কিন্তু গল্পে দম ছিল না, একেবারেই গড়পড়তা। অভিনয় যেহেতু আমাদের নেশা, তাই করতে হতো।
আরও পড়ুননুহাশ হুমায়ূনের প্রশংসা করে এজাজুল ইসলাম বলেন, ‘বিজ্ঞাপনী সংস্থা থেকে ফোন করে এবার যখন বলা হলো, আমাদের নিয়ে বিজ্ঞাপন বানানো হবে। আমি স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছি, কারণ নতুন কিছু তো নয়। তেমন প্রত্যাশাও ছিল না। যখন শুনেছি নুহাশ হুমায়ূন নির্দেশনা দেবে, তখন আমিই বেশি আগ্রহী হয়ে উঠি। সেই চিরচেনা নুহাশপল্লী ও তার আশপাশে শুটিং হওয়ায় বেশ নস্টালজিক হয়ে পড়েছি। নুহাশের পরিচালনাও আমাকে মুগ্ধ করেছে। অলৌকিকভাবে বাবা ও ছেলের পরিচালনায় বেশ মিল পেয়েছি, দুজনই আনন্দ নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করেন। শুটে আমাদের রসায়ন দেখে নুহাশ চিৎকার করে বলে ওঠে, এই তিনজনকে নিয়ে আমি আরো বড় কিছু বানাব। নুহাশ আমার সন্তানসম, তার সাফল্য আমাকেও আনন্দিত করে। তার পরিচালনায় সামনে আরো অভিনয় করতে পারলে খুবই ভালো লাগবে।
মন্তব্য করুন