ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বৌ-শ্যালিকাকে হত্যা করে পালিয়েছে যুবক
_original_1740994453.jpg)
নিউজ ডেস্ক: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার গোপিনাথপুর ইউনিয়নের ধজনগর গ্রামের একটি বাড়ি থেকে এক তরুণী ও তার কিশোরী বোনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে নিহত তরুণীর স্বামী পালাতক রয়েছেন।
সোমবার (৩ মার্চ) সকাল সোয়া ১০টার দিকে তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। কসবা থানার ওসি মো. আব্দুল কাদের এতথ্য জানিয়েছেন।
মারা যাওয়ারা হলেন- একই গ্রামের রওশন আলীর মেয়ে জ্যোতি আক্তার (২০) ও তার বোন স্মৃতি আক্তার (১৩)।
পালাতক যুবকের নাম আমীর হোসেন (২৮)। তিনি কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার জামতলী গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে। তিনি নিহত জ্যোতি আক্তারের স্বামী। বছর দেড়েক আগে জ্যোতির সঙ্গে বিয়ে হয় আমীর হোসেনের।
সাবেক ইউপি মেম্বার মো. ইউনুস পাঠান জানান, খবর পেয়ে তারা এসে বিছানায় লাশ দেখতে পান। দুই বোনের শরীরে আঘাত না থাকায় শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরিবারের লোকজন বলছে, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। গতকাল রবিবার রাত ১টার পর ঘটানাটি ঘটানো হয়েছে বলে ধারণা করছেন তারা।
গোপীনাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কিভাবে কি হয়েছে সেটা জানার চেষ্টা করছে। আমীর হোসেন পালিয়ে গেছে।
কসবা থানার ওসি মো. আব্দুল কাদের বলেন, “রবিবার রাত ১১টা থেকে সোমবার ভোর ৫টার মধ্যে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিহতদের মধ্যে অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া স্মৃতি আক্তারের গলায় একটু দাগ আছে, তবে জ্যোতির শরীরের কোথাও কোনো দাগ নেই।”
তিনি আরো বলেন, “ধারণা করা হচ্ছে, বালিশ চাপ দিয়ে তাদের হত্যা করা হয়েছে। লাশ দুইটি ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালে পাঠানো হবে। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর হত্যার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।”
মন্তব্য করুন