ট্রাকের শব্দে ঘুমহীন মানুষ
বগুড়ার কাহালুতে রাতের বেলায় অবৈধভাবে পুকুর খনন

কাহালু (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার কাহালু উপজেলায় রাতের আঁধারে অবৈধভাবে এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে পুকুর খনন কোনভাবেই থামানো যাচ্ছে না। আর খনন করা মাটি বহনে ট্রাকের শব্দে নির্ঘুমে রাত কাটাচ্ছে উপজেলার চার গ্রামের মানুষ।
জানা গেছে, উপজেলার বীরকেদার ইউনিয়নের গুলিয়ারপাড়া গ্রামের পূর্ব মাঠে ওই গ্রামের এক ব্যক্তি সরকারি অনুমতি ছাড়া তিন ফসলি প্রায় ৬ বিঘা জমিতে পুকুর খননের কাজ করছেন। রাতের আঁধারে এস্কেভেটর দিয়ে খনন কাজ চালানো হচ্ছে। খনন করা মাটি দিয়ে পুকুরের পাড় বেঁধে বাকি মাটিগুলো বিক্রি করা হচ্ছে। দিনের বেলায় প্রশাসনিক ঝামেলার কারণে রাত ১০টার পর থেকে শেষ রাত পর্যন্ত পুকুর খননের কাজ করা হচ্ছে। পুকুর খননের মাটিগুলো হাইড্রোলিক ট্রাকের মাধ্যমে সারারাত ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এদিকে গুলিয়ারপাড়া মাঠের মাটি রাতের বেলায় পরিবহনের সময় ট্রাক্রের শব্দে দুর্গাপুর ইউনিয়নের থলাপাড়া এবং বীরকেদার ইউনিয়নের ভোলতা ও শেকাহার গ্রামের মানুষ প্রায় নির্ঘুমে রাত কাটাচ্ছেন। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ভোলতা গ্রামের ওপর দিয়ে মাটি পরিবহনের সময় ওই গ্রামের মানুষের বেশকিছু ট্রাক আটকালে সেখানে ট্রাকের ড্রাইভার হেলপারের সাথে তুমুল বাক্বিতন্ডার সৃষ্টি হয়।
অপরদিকে উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের নলঘরিয়া গ্রামের জনৈক ব্যক্তি রাতের বেলায় তার প্রায় আট বিঘা তিন ফসলি জমিতে মাটি খনন করে পুকুর তৈরি করাসহ খনন করা মাটি ট্রাক দিয়ে ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছেন। রাতের বেলা মাটি পরিবহনের সময় ট্রাকের শব্দে নলঘরিয়া গ্রামের মানুষ আরাম করে ঘুমাতে পারছেন না।
আরও পড়ুনতবে এ ব্যাপারে গ্রামের নিরীহ মানুষ প্রতিবাদ করার সাহস পান না, কারণ প্রতিবাদ করলেই নতুন কোন ঝামেলা আসতে পারে। এদিকে উপজেলা প্রশাসন রাতে বেলায় অবৈধ মাটি কাটার বিরুদ্ধে তেমন একটা অভিযান পরিচালনা করে না বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কাওছার হাবীব বলেন, রাতের বেলায় গুলিয়ারপাড়া গ্রামের মাঠে নতুন পুকুর খনন করার সময় সম্প্রতি সেনাবাহিনীর সদস্যরা মাটি খননের কাজে নিয়োজিত পাঁচজনকে আটক তাদের জেলে দিয়েছে। নলঘরিয়া গ্রাম সম্পর্কে কথা বলা হলে তিনি বিষয়টি দেখছেন বলে জানান।
মন্তব্য করুন