সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার ও মেঘনা নদীরক্ষা প্রকল্প আটকে থাকায় প্রধান উপদেষ্টার বিস্ময়
_original_1741532254.jpg)
‘সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার নির্মাণ প্রকল্পের ফেজ-৩’ ও ‘মেঘনা নদী রক্ষায় মহাপরিকল্পনা’ প্রকল্পের অগ্রগতি জানতে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ রোববার (৯ মার্চ) রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনায় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রকল্প দুটির কাজ ১০ বছর আটকে থাকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।
বিস্ময় জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, এ রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প প্রায় ১০ বছর আটকে আছে! অথচ ঢাকা শহরের মানুষের জন্য এটি অত্যন্ত জরুরি। ভূ-গর্ভস্থ পানি উত্তোলন করে দিনদিন আমরা পরিবেশকে বিরাট হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছি। সংকট থেকে উত্তরণের রাস্তা থাকা সত্ত্বেও সে কাজটি এত বছর ধরে করা হয়নি।
যমুনায় এ বৈঠকে স্থানীয় সরকার বিভাগ, ঢাকা ওয়াসা, পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি), পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। খবর বাসসের।
আরও পড়ুনসংশ্লিষ্ট বিভাগ ও মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রকল্প দুটি শুরু করতে কোথায় বাধা, তা জানতে চান প্রধান উপদেষ্টা। পাশাপাশি খরচ কমানোর বিষয়েও আলোচনা করেন। সংশ্লিষ্টরা জানান, ঢাকা শহরে মোট পানি সরবরাহের প্রায় ৭০ শতাংশ ভূ-গর্ভস্থ উৎস থেকে আসে। দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে পানির স্তর প্রতিবছর প্রায় ২-৩ মিটার নিচে নেমে যাচ্ছে; যা ভবিষ্যতে বড় রকমের বিপর্যয়ের আশঙ্কা তৈরি করছে। এ সংকট মোকাবেলায় প্রকল্প দুটি নেওয়া হয়। এতে সহায়তা করছে জার্মানি, ফ্রান্স, ডেনমার্ক ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘মেঘনা নদী বাঁচানোর জন্য আমাদের দ্রুত কাজ শুরু করতে হবে। বাংলাদেশের নদীগুলোকে দূষণমুক্ত করা সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। তা না হলে এ এলাকার জনজীবন বাঁচানো যাবে না।’ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে চলতি অর্থবছরের মধ্যে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন তিনি।
মন্তব্য করুন