লালমনিরহাটে হাসিনা হত্যাকান্ডে পুলিশের পাতানো জালে ধরা পড়ল ঘাতক স্বামী আশরাফুল

লালমনিরহাট প্রতিনিধি : লালমনিরহাটে ভুট্টাক্ষেত থেকে এক নারীর মাথাবিহীন মরদেহ উদ্ধারের আলোচিত ঘটনায় অবশেষে ওই নারীর স্বামী আশরাফুল ইসলাম ধরা পড়েছে। ঘটনার পাঁচদিনের মাথায় আজ রোববার (৯ মার্চ) সে পুলিশের জালে ধরা পড়ে। জানা গেছে, পুলিশের পাতানো ফাঁদ অনুযায়ী আশরাফুল আজ রোববার (৯ মার্চ) বিকেলে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে এলে প্রথমে তাকে ডিবি পুলিশ ধরে ফেলে।
এরপর তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয় এবং সেখান থেকে পরে আশরাফুলকে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করে সদর থানার ওসি নুরনবী বলেন, আশরাফুলকে আগামীকাল সোমবার আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চাওয়া হবে।
এদিকে এর দু‘দিন আগে দ্বিখন্ডিত মাথা উদ্ধার করেছে পুলিশ। জেলার আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের নামাটারী কুটিবাড়ী এলাকার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের নো-ম্যান্স ল্যান্ড থেকে ওই দ্বিখন্ডিত মাথাটি উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুনপুলিশ জানায় নিহত হাসিনার স্বামী আশরাফুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী মেহেরুন নেছা’র দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে সীমান্তের নো-ম্যান্স ল্যান্ডের মাটির নিচে পুঁতে রাখা অবস্থায় মাথাটি উদ্ধার করার পর এ মামলায় পুলিশ মেহেরুন নেছাকে গ্রেফতার দেখায়। এর আগে গত বুধবার বিকেলে লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের ফুলগাছ বামনটারী শ্মশান এলাকার একটি ভুট্টাক্ষেত থেকে হাসিনার মাথাবিহীন মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত হাসিনা বেগম ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষা লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের কুটিবাড়ি গ্রামের ভ্যানচালক আশরাফুল ইসলামের দ্বিতীয় স্ত্রী। তিনি পাশের দেশ ভারতের দিনহাটা থানার হরিরহাট ইউনিয়নের জারিধল্লা গ্রামের কাশেম আলীর মেয়ে। আর মেহেরুন নেছা তার বড় সতিন।
মন্তব্য করুন