বগুড়ায় সালিশি বৈঠকে চারজন ছুরিকাহত

স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ায় সালিশি বৈঠকে চারজনকে ছুরিকাহত করা হয়েছে। এর মধ্যে একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। পাওনা টাকা চাওয়ার জের ধরে গত বুধবার রাত ৮টার দিকে বগুড়া সদরের সাবগ্রাম বন্দরে এ ঘটনা ঘটে। আহত অপর তিনজনকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন- বগুড়া শহরের নারুলী নতুন পাড়ার মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে শরিফুল (২৪), সদরের চান্দপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে মুক্তা ভল্কানাইজিংয়ের স্বত্বাধিকারী মুক্তার (৩৫) একই এলাকার টুকুর ছেলে তাজু (৩০) এবং একই এলাকার মৃত ইদা ফকিরের ছেলে আব্দুল খালেক (৫৩)।
শরিফুলের স্বজনরা জানান, কিস্তিতে একটি ট্রাক কেনেন শরিফুল। সেই ট্রাকের কিস্তির টাকা দিতে না পেরে ট্রাকটি মুক্তারের কাছে বিক্রি করলেও পুরোপুরি টাকা না দেওয়ায় কাগজপত্র শরিফুলের নামেই থেকে যায়। এ জন্য ট্রাক বিক্রির ২০ হাজার টাকা দিতে তালবাহানা করে আসছিল মুক্তার। এ নিয়ে তাদের মাঝে কয়েক দফা ঝগড়া এবং রেষারেষির মতো ঘটনাও ঘটে। এক পর্যায়ে গত বুধবার সন্ধ্যায় বকেয়া ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করার জন্য একটি বৈঠক ডাকা হয়। সেখানে রাত ৮টার দিকে পূর্ব ঘটনার জের ধরে কথা কাটাকাটি ও উত্তেজনার এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটে। এসময় উভয়পক্ষের ওই চারজনকে ছুরিকাঘাত ও অন্যান্য ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত করা হয়।
আরও পড়ুনএদিকে মুক্তারের পরিবার জানায়, ট্রাক কেনার প্রায় সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করা হলেও মাত্র ২০ হাজার টাকা বাঁকি থাকে। এ অবস্থায় শরিফুলকে কাগজপত্র তার নামে করে দিয়ে বাঁকি টাকা নিয়ে যেতে বললেও সে ওই টাকা দিতে বলে আগে। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে বাক-বিতন্ডার এক পর্যায়ে মারপিটের ঘটনা ঘটলে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে চারজন আহত হন।
এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি এসএম মঈনুদ্দীন দৈনিক করতোয়া’কে জানান, পাওনা টাকার বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ করা হয়। কিন্তু ওই এলাকার একজন সাবেক ইউপি মেম্বার বিষয়টি মিমাংসা করে দিবে বলে দায়িত্ব নেন। কিন্তু তিনি মিমাংসা করে দিতে পারেননি। উল্টো বৈঠকে দু’পক্ষের মারামারি হয় এবং উভয়পক্ষের চারজন ছুরিকাহত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে কোন পক্ষই থানায় গতকাল পর্যন্ত মামলা করেনি।
মন্তব্য করুন