টেনিস গ্র্যান্ড স্ল্যামের আদলে ৬ হাজার কোটির সৌদি টি-টোয়েন্টি লিগ
_original_1742056389.jpg)
স্পোর্টস ডেস্ক: টেনিস গ্র্যান্ড স্ল্যামের আদলে চালু হতে যাচ্ছে ক্রিকেট লিগ। প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করে সৌদি আরব চালু করতে যাচ্ছে একটি বিশ্বব্যাপী টি-টোয়েন্টি লিগ, যা ক্রিকেটের মানচিত্রে বড় পরিবর্তন আনতে পারে।
অস্ট্রেলিয়ার ‘দ্য এজ’ পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, টেনিস গ্র্যান্ড স্ল্যামের আদলে আয়োজিত হবে এই লিগ। এতে আটটি দল চারটি ভিন্ন ভেন্যুতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। তবে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরুর আগে সৌদি কর্তৃপক্ষের প্রয়োজন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) অনুমোদন।
সৌদির ‘এসআরজে স্পোর্টস ইনভেস্টমেন্টস’ এই মেগা টুর্নামেন্টের পৃষ্ঠপোষকতা করবে, যা মূলত দেশটির এক ট্রিলিয়ন ডলারের তহবিলের অংশ। ক্রিকেটকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া এবং রাজস্ব বাড়ানোই এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য। বিশেষ করে ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের বাইরের দেশগুলোতে টেস্ট ক্রিকেটের আর্থিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করাও অন্যতম উদ্দেশ্য।
অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ক্রিকেটার ও প্লেয়ার ম্যানেজার নিল ম্যাক্সওয়েল এই লিগের মূল পরিকল্পনাকারী। তিনি এটিকে আইপিএল, বিগব্যাশের মতো জনপ্রিয় লিগগুলোর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে গড়ে তুলতে চান।
সৌদি আরব ইতোমধ্যেই ফুটবল, গলফ, ফর্মুলা ওয়ান ও বক্সিংয়ে বিশাল বিনিয়োগ করেছে। এবার ক্রিকেটেও তাদের আগ্রহ বাড়ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৫ সালের আইপিএলের নিলাম জেদ্দায় আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া, ক্রিকেট উন্নয়নে ৫০০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ এবং নতুন টি-টোয়েন্টি লিগের জন্য ৮০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে সৌদি সরকার।
আরও পড়ুননতুন এই টি-টোয়েন্টি লিগে থাকবে আটটি ফ্র্যাঞ্চাইজি, যার কিছু দল থাকবে ঐতিহ্যবাহী ক্রিকেট দেশগুলোতে, আর কিছু দল উঠে আসবে নতুন বাজার থেকে। পুরুষ ও নারী উভয় বিভাগেই আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয়, ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে সৌদি আরবে।
টেনিস গ্র্যান্ড স্ল্যামের মতো এই লিগের ম্যাচ বিভিন্ন দেশে আয়োজন করা হবে, যা বিশ্বব্যাপী ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে বিশেষ আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে পারে। আইপিএলসহ অন্যান্য টি-টোয়েন্টি লিগের জন্য এটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
সৌদি লিগ চালুর জন্য আইসিসির অনুমোদন প্রয়োজন। পাশাপাশি, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াসহ বড় ক্রিকেট বোর্ডগুলোর সমর্থনও দরকার। অনুমোদন পেলে বিশ্ব ক্রিকেটে নতুন যুগের সূচনা হতে পারে। নতুন প্রতিযোগিতার সুযোগ পাবে ক্রিকেটার ও দলগুলো, পাশাপাশি ক্রিকেট বিস্তৃত হবে নতুন অঞ্চলগুলোতে।
এখন প্রশ্ন একটাই—সৌদির এই বিপুল বিনিয়োগ কী সত্যিই আইপিএলের একাধিপত্য চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে? সময়ই দেবে উত্তর।
মন্তব্য করুন